১২ জুন থেকে
থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব
ফুটবলের সবচেয়ে বড়
আসর ।
ফিফার ২০ তম বিশ্বকাপ
অনুষ্ঠিত হবে জোগো বনিতার
দেশ ব্রাজিল ।
ব্রাজিল জুড়ে তাই সাজসাজ
রব,
চলছে বিশ্ব ফুটবলের
সেরা দলগুলিকে গ্রহণের
প্রস্তুতি ।
তবে এতোসব আনন্দের
মধ্যে আশংকাও যে
নেই তা কিন্তু নয় ।
ইতোমধ্যেই ব্রাজিল জুড়ে
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে
প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু
করেছে সরকারী কর্মচারীরা ।
সমাবেশকারীদের অংশ
ক্রমেই ব্রাজিল জুড়ে ছড়িয়ে
পড়ছে ।
তাই সহিংসতার সম্ভাবনাকে
উড়িয়ে দেওয়া যায়না ।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে আসা
পর্যটকদের নিয়ে তাই
ব্রাজিল সরকার সামান্য
হলেও চিন্তিত ।
তাছাড়া ভয়ংকর ব্যাপার
হচ্ছে ব্রাজিল জুড়ে দশ
লাখের অধিক যৌন
কর্মী প্রস্তুত যা আফ্রিকা
বিশ্বকাপের থেকে কয়েক
গুণ বেশি ।।
তবে সবাই এতোসব আশংকার
মাঝেও বিশ্বাস করে বিশ্বকাপ
স্বাভাবিক ও সুন্দর মতোই
অতিবাহিত হবে ।।
বেশি বকবক করা হয়ে
গেলো এবার আসি আসল
কথায় ।
পতাকা তো বোধহয়
কিনে ফেলেছেন সবাই ।
এখনো যারা কেনেন নাই
তারাও হয়তো শীঘ্রই কিনে
ফেলবেন ।
কেউ ব্রাজিলের পতাকা
কিনবেন,
কেউবা আর্জেন্টিনা আবার
কেউ কেউ ইতালি,জার্মানীর
পতাকা কিনবেন ।
যার যে দল পছন্দ সে
সেটাই কিনবেন ।
এখন প্রশ্ন হলো
রক্তের কালিতে আঁকা
বাংলাদেশের বুকে আপনি
অন্য দেশের পতাকা
কোন বিবেকে উড়াবেন ?
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি
বাড়ির ছাদে থাকে পতাকা
আর পতাকা ।
একবার ভাবুন তো
স্বাধীনদেশের বুকে অন্য
দেশের কোটি কোটি
পতাকা নিদ্বিধায় উড়ছে
ব্যাপারটা কতটা খারাপ
দেখায় ।
আমাদের মুক্তির দিন,
আমাদের আনন্দের দিন
বিজয় দিবসেও কি
কারো বাড়ির ছাদে
একটি পতাকা থাকে ?
অথচ এ দিনটায়
লাল-সবুজের পতাকা দিয়ে
বাংলাদেশ ছেঁয়ে ফেলা
উচিত ।
আমি বাড়ির ছাদে
পছন্দের দলের পতাকা
উড়ানোর বিপক্ষে নই ।
আমি নিজেও ব্রাজিলের
পতাকা উড়াবো ।
আপনিও উড়াবেন ।
কিন্তু খেয়াল রাখবেন
যে দেশের পতাকাই উড়ান
না কেনো তার উপর
বড় হোক আর ছোট
হোক একটা লাল সবুজের
পতাকা রাখবেন ।
একবার চিন্তা করুন-
আপনি বিকেলে বাড়ির
ছাদে গিয়ে দেখলেন
চারপাশটা লাল সবুজে
ছেঁয়ে আছে আর তার
নিচে আপনার পছন্দের
দলের পতাকা ।
আপনার নিজেরই তখন
ভালো লাগবে ।
আপনার মাঝে
জাতীয়তাবোধ তৈরী হবে ।
তাই লক্ষ্য কোটি
পতাকা উড়ান আর যাই
করুন না কেন তার
উপর লাল সবুজের পতাকা
রাখবেন অবশ্যই ।
আর রাস্তায় অন্য দেশের
পতাকা আঁকা থেকে
বিরত থাকবেন ।
কারন জাতীয় পতাকাকে
কখনো অসম্মান
করতে নেই ।
সে যে দেশেরই হোক ।
বিশ্বকাপে সবাই সবার
দলের পক্ষে চিত্কার
করুন তবু সহিংসতায়
জড়িয়েন না ।
প্রায়ই দেখা যায়
কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে
প্রায়ই এসব নিয়ে
হাতাহাতি এমনকি
আহত-নিহতও হয় ।
মনে রাখবেন,
ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা
আপনার নিজের
দেশ নয় ।
তাদের জয়-পরাজয়ে
আপনার কিছু যায়
আসবেনা ।
তাই কম উত্তেজিত হবেন ।
গতবার পত্রিকায়
পড়েছিলাম-
"নিজ দলের
পরাজয় সহ্য করতে
না পেরে একজন হার্ট
এট্যাক করেছে "।
এটা গ্রহণযোগ্য ও কাম্য
নয় ।
মাথা ঠান্ডা রাখুন ।
যা হোক,
ভুলে যাবেন না
১১ জুন থেকে
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ
শুরু হচ্ছে ।
ফুটবল উত্তেজনায় যেনো
নিজের দেশের কথা ভুলে
যাইয়েন না ।
বাংলাদেশ জিতলে সবাইকে
কিন্তু রাস্তায় নামতে হবে ।
সেদিকে খেয়াল রাখবেন ।
সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল
করুক ।।