খোকা ঘুমালো
পাড়া জুড়ালো
র্যাব এলো দেশে
সন্ত্রাসীরা ধান খেয়েছে
খাজনা দিবো কিসে...।।
নন্দীত কথাসাহিত্যিক
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর
"হলুদ হিমু কালো র্যাব"
বইতে র্যাবকে এভাবেই
তুলে ধরছে ।
পুরো বইটা জুড়েই তিনি
র্যাবকে নিয়ে চরম
রসিকতায় মেতেছিলেন ।
তিনি তীব্র নিন্দা করেছিলেন
র্যাবের বিনা বিচারে
ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে ।
তিনি তাঁর বইতে বলেছিলেনঃ
"প্রকৃতি অনেক যত্নে একটি
মানুষ তৈরী করে,নির্বিচারে
পাখীর মতো গুলি করে
সেই মানুষটিকে মারার
অধিকার মানুষের নেই ।"
র্যাব প্রকতপক্ষেই বেশি
বেড়ে গেছে ।
র্যাবকে ক্ষান্ত করতে হবে ।
এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে
র্যাবকে পাল্টাতে হবে ?
র্যাবকে বাতিল করে
দিয়ে কোনো সমস্যার
সমাধান হবেনা ।
কারন র্যাবের ভিতর
খারাপ মনমানসিকতার
ব্যক্তি আছে ।
কর্মক্ষেত্র বদলালেও এদের
মানসিকতা পাল্টাবে না ।
তাই প্রথমেই র্যাবের
ক্ষমতার দৈর্ঘ্য কমাতে হবে ।
র্যাবকে একটা নির্দিষ্ট
সীমানার মধ্যে রাখতে
হবে ।
যেমনঃ
১।যেখানে-সেখানে র্যাবের
আনাগোনা কমিয়ে আনতে
হবে ।
২।অনুমতি ব্যতিত এক
রাউন্ড গুলিও যেনো
খরচ না করে সে ব্যবস্থা
করতে হবে ।
৩।সামান্য চোর ধরতেও
যেনো র্যাবকে ডাকা না
হয় ।
৪।রাজনৈতিক সহিংসতা
এড়াতে র্যাবকে ব্যবহার
করা যাবেনা ।
সে জন্য পুলিশ আছে ।
৫।র্যাবের দপ্তর আলাদা
করতে হবে ।
পুলিশের সাথে থাকতে থাকতে
তাদের মন মানসিকতা খারাপ
হয়ে যায় ।
তখন পুলিশের অপকর্ম
মনোভাব তারা পেয়ে যায় ।
এ ধরনের নানা
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে
র্যাব নামক ভয়ংকর
আতংক থেকে দেশ ও
দেশের মানুষকে রক্ষা
করা যাবে ।
খালেদা জিয়ার
"বিলপ্ত করতে
হবে র্যাবকে"
নীতির সাথে
আমি একমত নয় ।
র্যাব শব্দটা আছে বলেই
সন্ত্রাসীরা থেমে যায় ।
ভীত থাকে সন্ত্রাসীরা ।
আর র্যাবের ক্ষমতা
পুলিশকে দিলে পুলিশ
অপকর্ম করবে
কয়েকগুন বেশি ।
অতঃপর র্যাবের ক্ষমতা
কমিয়ে তাদের সেনাবাহিনীর
মতো রেখে দেওয়া হোক ।
সামান্য ব্যাপারে রাস্তায়
আসাটা র্যাবের অনুচিত ।
প্রয়োজন ব্যতিত র্যাব
রাজপথে থাকবেনা ।
র্যাব ব্যস্ত থাকবে সন্ত্রাসী
ধরতে ।
তাই র্যাবের
সংস্কার চাই,বিলপ্তি নয় ।।