মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে না এমন চিন্তাশীল মানুষদের দ্বারাই কেবল সমাজের দুর্বল মানুষদের উপর অমানবিক আচরণ সম্ভব । ছোট বেলায় বড় লোক নামের শব্দ শুনতাম কিন্তু বুঝতাম না । ওই বড় কোন মানুষ হবে হয়তো । আর সবার মতই সময় যখন আমার উপরও সমান বিচার করল আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম আর বড়লোক নামের শব্দটার অর্থ কেমন জানি তার অর্থ বদল করতে থাকলো। না শুধু বড় হলেই বড়লোক না, সাথে বেশ টাকা পয়সাও থাকতে হয় । বুদ্ধির বিকাশ বড় হবার সাথে সাথে হতে থাকলো ।নাহ, এতোদিন যা ভেবেছি তা নয়।আমরা অহরহই শব্দ গুলা ব্যবহার করি শুধু মাত্র টাকা পয়সা ওয়ালা কোন মানবদের ক্ষেত্রেই। বড় লোক হতে গেলে যে টাকা পয়সা না একটা বড় মন লাগে সেটা আজকালকার মানুষের কাছে চিন্তার বিষয় না । আজ যারা সমাজে বিত্তবান তার বড় একটা অংশই তাদের সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন আমাদের মত যারা মধ্যবিত্ত,নিম্ন বিত্ত শ্রেনীর মানুষদের সম্পদ লুট করে । যেটার প্রমান খুব সহজেই পাওয়া যায় । হয়তো কাউকে কাজ করে দিবে বলে বাড়তি টাকা নেয়া, জবরদস্তি করে জায়গা দখল করা। আমার এলাকার একজন বড় নেতা, তিনি বেশ বড় সড় এক নেতাই বলা চলে। তিনি মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল এমনকি কলেজ করে দিছেন। তার অঢেল সম্পদ থাকার কারনে তার এই কাজ গুলো করতে কোন সমস্যা হয় নি। কলেজের নামটাও তার নামে করা এবং তিনার নামের আগে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা টাইটেল লাগানো আছে । ভাবছেন এটা কেন বললাম? এইটা বলার যথেষ্ট অকারণ আমি খুজে পাইনি। আমাদের এলাকার দাগি একজন রাজাকার ছিলেন তিনি । তার এতো সম্পদের খোরাক ছিলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে করা তার এই লুটপাট ও চাদাবাজি ।ভাবছেন এটাকি সম্ভব? হুম এটাই সম্ভব। জোড় যার মুল্লুক তার। কথাটাকে মেনেই আসলে আমরা অনেকটা চলছি, তাই নিজের মুল্লুক্টা বাড়ানোর জন্যে যে কারো সাথে জোড় করতেও আপত্তি নেই। নিজ তাগিদে, নিজ পরিশ্রমে, নিজ প্রচেষ্টায় যারা জীবনে সফল হয়েছে তাদের কাছে হাত পেতে কেউ আজ পর্যন্ত ফিরে এসেছে তা খুজে পাওয়া খুব দুস্কর । আজ যদি আমাদের দেশের প্রত্ত্যেক বিত্তবান তাদের আদর্শকে ঠিক রেখে কাজ গুলো করতেন তাহলে আমাদের দেশের মানুষেরা এতোটা নির্যাতিত থাকতো না । এক পাক্ষিক চিন্তা চেতনাই এমনটা হওয়ার কারন.................
চলতে থাকবে.....