শুভ্র ধুতি পরনে এক গৌরবর্ণ লোক; প্রৌঢ় হবে। বলল, "মড়া আনলুম ডোমবাবু, চিতা জ্বালতে হবে।"
দুপুরে দু'মুঠো চাউল ফুটিয়ে মরিচ ডলে কোনোরকম উদরপূর্তি করে ঘুমুতে শুয়েছিল বিনায়ক দাশ। এ তল্লাটে 'বিনু ডোম' নামে তার প্রসার। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- সবকালেতেই সে ব্যস্ত থাকে। সবচাইতে বেশি ব্যস্ত শীতকালে। এই সিজনে মানুষ মরে বেশি। বয়সের ওজনে যাদের শরীরে বার্ধক্য চলে আসে কিংবা গ্রাস করে ধরে সর্বনাশা জরা, তাদের শরীর আর শীততীব্রতা সইতে পারে না। সেইসব বুড়োবয়স্করা দুমদুমাইয়া অক্কা যায়।
সারাবছর কোনো একভাবে পার হয়ে গেলেও বিনু ডোম সবচাইতে বেশি প্রফুল্লিত থাকে শীতকালে। লোকজন লাইন ধরে পটল তুলতে থাকে। আর তাদের মড়া পুড়িয়ে বিনুর পকেট ভারী হয়। মড়া পুড়ানির কাজে কাঁচা পয়সা। কেউ হাম্বিতাম্বি করেনা। বিনু যা চায়, তাই দিয়ে দেয়। ওরা তখন মড়ার শোকে কাতর। পয়সা নিয়ে দর কষাকষির মনোবৃত্তি কই?
গতবছর শীতের সময় বিনু মোট ছয়পঞ্চাশটা মড়া পুড়িয়েছিল। সারাগাঁয়ে জালের মত মড়ক ছড়ায়ে পড়ছিল। মানুষজন এখন মরে তখন মরে। মড়কের তাণ্ডবে সারা গাঁ উজাড়। চিল্লাচিল্লি আর কান্দন-বিলাপে গাঁয়ের গাছগাছালিও দুঃখে পাতা ঝরায়ে দেয়। শ্মশানে চিতার আগুন জ্বলতেই থাকে। হাওয়া-বাতাসে পোড়া মাংসের গন্ধ। কী এক নির্মম গণমরণ! কে কার দিকে চাইবে? যমের হাত থেকে নিজেরই নিস্তার মেলে কিনা সন্দেহ।
মড়কের মৌসুমে গাঁয়ের মানুষের যখন এই অবস্থা, তখন ব্যতিক্রম একমাত্র বিনু ডোম। তার হাতে দৈনিক একটা-দুইটা মড়া পুড়ে। সেখান থেকে পয়সা আসে। কারো-কারো চিতা জ্বালানির কাঠ-লাকড়ি সে নিজেই বন্দোবস্ত করে দেয়। সেখানে আবার আরেক ধান্দা। কামাই আর উপরি-কামাইতে বিনুর পকেট লালে লাল। শেষকালে এমন অবস্থা হলো যে- গাঁয়ের কোনো হিসসা থেকে কারো বিলাপ শোনা গেল, অমনি বিনুর চোখ দুইটা চকচক করতে লাগল। জিভ দিয়ে একবার ঠোঁট ভিজাত সে। যত বেশি মরণ, তত তার পকেট ভরণ।
এইভাবে বছর পার হয়ে গেল। শীতের মৌসুম ফুরোল। ফের আকাশে জারি হলো সুরুজদেবের শাসন। তীব্র রোদুত্তাপে গাঁয়ের মানুষের ন্যাংটো হবার জোগাড়। কিন্তু মড়ক চলে গেল। গাঁয়ে এখন মানুষ মরে কম। গত দশ-পনেরো দিন ধরে বিনু বেকার। একটা মড়াও পুড়ানো হয়নি। শ্মশানঘাটে সে বিনা কারুর আসা-যাওয়া নেই। এমন হলে তবে চলবে কেমন করে? বিনুর হাত খালি। পকেট গড়ের মাঠ। ওর পয়সা সঞ্চয়ের বালাই নেই। গতবারের শীতে যা কামাই করেছিল, তার বেশঅর্ধেকই খরচা হলো জুয়োশালা আর খারাপ পাড়ায় গিয়ে। ঐ পল্লীতে অঞ্জলি নাম্নী এক রূপসী গণিকা আছে, বিনু ওর নিয়মিত খদ্দের। সপ্তাহে একদিন অঞ্জলির সঙ্গে রাত্রিযাপন না করলে বিনুর চলে না। এই গণ্ডগেরামে দেহোপজীবিনী হিসাবে অঞ্জলির প্রচুর নামডাক। বাকি গণিকাগণের চাইতে তার চাহিদা বেশি। দরও বেশ উঁচুতে। বিনুর পয়সাপাতির একটা বড় অংশই অঞ্জলির দেহভোগে চলে যায়।
হাতে যেহেতু কাজ নাই, মড়ার পার্টি নাই, শ্মশানে চিতা জ্বলেনা, তবে তো বিনুর পকেট ফুটো হবারই কথা। অন্নাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। দিনে দু'বেলা উদর ভর্তি করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারওপর গত তিনটে পক্ষ ধরে অঞ্জলির কাছে যাওয়া হয়নি। ওর কাছে তো আর পয়সা ছাড়া যাওয়া যায় না। বিনুর মাথা গেছে বিগড়ে। মানুষই যদি না মরে, তবে ওর মত বিনু ডোম যাবেটা কোথায়! বাপদাদার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কোনো ভিটেমাটিও নাই যে চাষবাস করে চালিয়ে নেবে। এবার শুধু নিজে মানুষ মেরে নিজেই পুড়ানো বাকি।
কাজকম্মের এই অকালে চকিতে হাতে নতুন পার্টি আসায় বিনুর চোখ জ্বলজ্বল করে উঠল। অভ্যাসবশত মুখ থেকে বেরিয়ে এলো তার লোভাতুর জিভ। চেটে নিলো বিড়ির ছ্যাঁকায় পোড় খাওয়া কালো দুটি ঠোঁট। অঞ্জলির ঢলঢলে যৌবনময় শরীরটাও চোখের তারায় ভেসে উঠল। বিনু খুব খুশি। এই বুঝি হাতে কিছু পয়সা আসলো। বিনু ঘর থেকে বেরুল। দোরগোড়ার সামনে এসে দাঁড়াতেই সে লোকটিকে দেখতে পেল। একহারা গড়ন, জীর্ণশীর্ণ শরীর। তবে গাত্রবর্ণ গৌর। পরনে দুগ্ধফেননিভ শুভ্র ধুতি। ঊর্ধ্বাংশ নগ্ন। চেহারাতে অসীম দুঃখের ছাপ। বিনুকে দেখে প্রৌঢ় বলল, "ডোমবাবু, মড়া আনলুম। একটু চলুন না।"
বিনু প্রৌঢ়ের আপাদমস্তক লক্ষ্য করে বলল, "আপনি কে গো মশাই? এগাঁয়ে তো কস্মিনকালে দেখিনি। ভিনগাঁ থেকে আইয়াছেন?"
"হ্যাঁ গো বাপু। আমি সুদূর উত্তরপুর থেকে এসেছি।"
"তা ও গাঁয়ে বুঝি শ্মশান নেই? এখানে এলে যে?"
"স্বাধে কি আর এলাম বাবু! উত্তরপুরের শ্মশান সত্য-সত্যই শ্মশান হয়ে গেছে। মড়কের বেলায় ডোম পর্যন্ত মরে পঞ্চভূত। খালি আমি এখনো মরবার জন্য বেঁচে আছি।"
"তা কার মড়া আনলেন মশাই? আপনার সঙ্গে আর কারুকে দেখছিনি যে?"
"মড়া আমি একাই আনলুম। চলুন না, গেলে পরে দেখতে পাবেন।"
বিনু একমুহূর্ত মনে-মনে ভাবল- আগে পয়সাপাতির পাট চুকিয়ে নেওয়া ভালো। প্রৌঢ়মশাইকে উচ্চজাতের মনে ঠেকছে না। এদের কাছে পয়সা বেশি থাকেনা। বিনু বলল, "আমি কিন্তু মশাই পয়সাপাতির ব্যাপারে কাটকাট কথা বলি। ডোম হয়েছি বলে মানুষ আমায় পিশাচ বলে গণ্য করে। ভাবে যে বিনু ডোমের পেট নাই, খাওন-দাওন লাগে না। পয়সা দিতে চায় না। সেরকম হলে কিন্তু আমি মড়ায় হাতও দিব না।"
প্রৌঢ় মুখ বিকৃত করে থুথু ছুঁড়ে বলল, "ও আমি জানি বাপু। গণিকাপল্লীর অঞ্জলির কাছে শুনলুম, পয়সা পেলে তুমি জ্যান্ত মানুষও চিতায় উঠাও। পয়সা তোমায় বাড়িয়েই দেব। সঙ্গে আমার সোনার হারটুকুও এনাম হিসাবে পাবে।"
এতক্ষণ প্রৌঢ়ের গলার দিকে নজর পড়ল। চকচকা সোনার হার। বিনুর যেন জিভে জল চলে এলো। এই হার গঞ্জে বেচে দিলে এবছর আর পয়সা নিয়ে চিন্তা করা লাগবে না।
"ঠিক আছে মশাই। চলুন। চিতার জন্য লাকড়িজ্বলা আনছেন তো?"
"ও কি আমার কাম", প্রৌঢ় যেন একটু খেপে গেল, "আমি কি লাকড়ি ফারি? ও ব্যবস্থা তুমি কর। এরজন্য আলগা পয়সা পাবে।"
বিনু বুঝল এই প্রৌঢ়ের ভালো পয়সাপাতি আছে। যাদের পয়সাপাতি থাকে, তাদের গলায় আলাদা একটা তেজ চলে আসে। সেই তেজ এই প্রৌঢ়ের গলায় আছে। অতএব তাঁকে সমীহ করে চলতে হবে। তাহলে যদি কিছু আরো সিকি-টিকি মিলে। লোকজনের কাছ থেকে পয়সা ভাঙানির কায়দা বিনু ভালোমতোই জানে।
বিনু কাঁধে কুড়ুল তুলে লোকটিকে নিয়ে জঙ্গলে চলে গেল। গাছ কেটে কাঠ ফারতে শুরু করল। প্রৌঢ় বটতলায় বসে বিড়ি ফুঁকছে। বিনু একটু অবাকই হলো। শ্মশানে যারা মড়া নিয়ে আসে, তারা কান্দন-বিলাপ আর আহাজারি করে দুই চারবার মূর্ছা যায়। অথচ এই প্রৌঢ়ের মধ্যে শোকের কোনো নিশান নাই। কৌতূহল দাবতে না পেরে বিনু বলল, "তা মশাই, কার মড়া আনলেন বললেন না তো।"
"তুমি ডোম মানুষ, তোমার এত জেনে কাজ নেই।"
"কাজ আছে। মড়ার গায়ের মাপ অনুসারে কাঠ ফারতে হয়। মড়া যদি আধহাতি শিশু হয়, তাহলে আমি দশহাতি মানুষের কাঠ ফারব কেন?" বিনুর কথায় রাগ ঝরে পড়ল।
"মড়ার সাইজ আমার সমান। এই মাপে কাঠ বানাও।"
বিনু আবার কাঠ ফারতে আরম্ভ করলো। গা দিয়ে তিরতির করে ঘাম ছুটছে। বিনু তবু ক্লান্ত হয় না। গাধার মত পরিশ্রম করতে পারে সে। এতবছরের অভ্যাস, সারাদিন কুড়ুল চালালেও তার বল ফুরোয় না। বিনু মুখে তালা মেরে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। সে কথা চালিয়ে যাবার জন্যেই বলল, "অঞ্জলিরে জানেন ক্যামনে? আপনি ওর খদ্দের?"
প্রৌঢ় হাসি চেপে বলল, "এ অঞ্চলে এমন কেউ আছে যে অঞ্জলির খদ্দের না? অমন রাজমহিষীর মত রূপ তার। পুরুষলোকের মাথা ঘুরায়ে দেয় সে। এমনও আছে- একঘরের বাপ-বেটা, ওরাও অঞ্জলির বান্ধা কাস্টমার।"
"একদম ঠিক কথা বললেন মশাই। আপনার নামটা যেন কী?"
"খগেন পাল।"
এরই মাঝে রোদ পড়ে গেল। সুরুজদেব বিদেয় হবার জন্য তৈয়ার হতে লাগলেন। বিনু ডোম কাঠ ফেরে শ্মশানে নিয়ে আসলো। একটার উপর একটা তাক-তাক করে রেখে চিতা বানাল। তারপর বলল, "পালবাবু, মড়া নিয়া আসেন। আমার কাজ শেষ করে দিই।"
খগেন পাল নির্বিকারে চিতার উপর শুইলেন। তারপর বললেন, "আমিই মড়া। পুড়াও আমারে।"
বিনুর চক্ষু ললাটদেশে উঠে এলো। এই ডোমকম্মের দীর্ঘ জীবনে এইরকম অদ্ভুত কাণ্ড আর ঘটেনি। এ কী আচানক কারবার! জ্যান্ত মানুষ পুড়ানি তো ডোমের কম্ম নয়।
"পাগল নাকি মশাই? ইয়ার্কি মারার আর জায়গা পান না?" বিনু গর্জে উঠল।
খগেন পাল অত্যন্ত শান্ত স্বরে বললেন, "আমি পাগল না। ইয়ার্কিও করছি না। তুমি পুড়াও আমারে।"
"আমি মড়া পুড়াই, জিন্দা না। মানুষ খুন করা আমার কাজ না।"
"তুমি তো খুন করছ না বাপু। আমি নিজেই মরতে আসছি।"
"আমি পারব না মশাই। আপনি যান। অনেক ত্যক্ত করছেন।"
"ভেবে দেখো ডোমবাবু। তোমারে যা দিছি, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি পাইবা।"
বিনু খানিক নরম হয়ে এলো। বলল, "আপনি মরতে চাইতেছেন ক্যান?"
খগেন পাল বলল, "সে'কথা তোমার জানতে হবে না। তোমার দরকার পয়সা, আমার দরকার মুক্তি। ব্যস, এইখানে আর কথা কীসের?"
বিনু নিঃশব্দ হয়ে ভাবতে লাগল- কী করবে এখন। চারদিকে অন্ধকার নেমে পড়ছে, শ্মশানঘাটে তারা দুইজন ছাড়া তৃতীয় কোনো ব্যক্তি নাই। খগেন পালকে পুড়িয়ে দিলে কেউ টের পাবে না। মাঝখান থেকে সে অনেক পয়সার মালিক হতে পারবে। কিন্তু বিনুর মনটা তবু খচখচ করতে লাগল। জিন্দা মানুষ পুড়ানো তো মুখের কথা নয়।
খগেন পাল বললেন, "অত কী চিন্তা কর ডোমবাবু? চিন্তার তো কিছু নাই। তুমি আমারে খুন করতেছ না। আমি নিজেই আত্মাহুতি দিতেছি। তুমি পয়সা পাবে, সোনা পাবে। অন্নাভাব ঘুচে যাবে। শোনো বাপু, অঞ্জলিরও তো দর বাড়ছে। তার কাছে যে যাবা, বেশি পয়সা না দিলে ও তো তোমারে জায়গাই দিবে না।"
অঞ্জলির কথা বলাতে বিনু কেঁপে উঠল। তার চোখে জ্বলে উঠল কামনার আগুন। অঞ্জলির কাছে অনেকদিন যাওয়া হয়নি। পালবাবুকে পুড়িয়ে দিলে যে পয়সা আসবে, তা দিয়ে সে চাইলে আজই অঞ্জলিকে ওর কণ্ঠলগ্না বানাতে পারে। কিম্বা অঞ্জলিকে ছেড়ে সে অন্য গণিকাকে কিনেও নিতে পারে। বিনুর মনে বড় লোভ জাগল। সে বলল, "ঠিক আছে মশাই। আগে আমার পাওনাগণ্ডা মিটায়ে দিন। তারপর আপনার ইচ্ছা পূর্ণ করা যাবে।"
খগেন পাল তাঁর গলার হার, হাতের রুপোর বালাসহ অনেক পয়সাপাতি বিনুর হাতে তুলে দিলেন। একসঙ্গে এত পয়সা দেখে বিনুর মাথা ঘুরে গেল। এ পয়সা দিয়ে সে নিশ্চিত জমি কিনে ঘর তুলে বিয়ে-থা করে সুখের জীবন যাপন করতে পারবে।
বিনু আর দেরি করল না। সে খগেন পালকে চিতায় শুইয়ে তাঁর উপর কাঠচাপা দিতে লাগল। চিতা বানানো শেষ হলে বিনু মশাল জ্বালালো। খগেন পাল ভয়ার্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। বিনু বলল, "চোখ বন্ধ করুন পালবাবু। চোখ খোলা থাকলে আপনারে জিন্দা-জিন্দা লাগবে। তখন আর পুড়াইতে পারব না।"
খগেন পাল চোখ বন্ধ করে বললেন, "সবার আগে মুখে আগুন দিও বাপু। যাতে গলা দিয়া কোনো আওয়াজ না বেরোয়।"
বিনুর মুখ ঘেমে উঠল। সে নিজেও চোখ বন্ধ করে চিতায় মশাল ছুঁয়ে দিল। দাউদাউ করে সে আগুন পুরো চিতায় ছড়িয়ে পড়ল। খগেন পালের গগণবিদারী চিৎকার শুরু হয়েছে। বিনু দৌড়ে চলে গেল জঙ্গলের ভেতর।
জঙ্গলের একটা মোটা গাছের নিচে বসে বিনু ডোম লুকিয়ে-লুকিয়ে দেখতে লাগল। খগেন পাল জ্বলে-পুড়ে ভস্ম হয়ে যাচ্ছে। বাতাসে মাংসের পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মাংসের পোড়াগন্ধ বিনুর অতি পরিচিত। কিন্তু আজকে যেন ব্যতিক্রম। গন্ধে ঝাঁঝ বেশি। তার নাড়ি উল্টে বমি এলো।
বিনু ডোম বুঝল না- চিতায় সে খগেন পালকে নয়, সে তার নিজেকেই পুড়ায়ে মারল।
বিবাগী শাকিল
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৩