আমি ভণ্ডদের বিরুদ্ধে
কোনো ভণ্ড কোনোকালে আমার কাছে সামান্যতম আশ্রয়প্রশ্রয় পায়নি। আর আজও পাবে না। ভণ্ডদের আমি খুব ঘৃণা করি। দুনিয়ার সমস্ত অন্যায়-অপকর্মের মূলেও এই ভণ্ডামি। তাই, আমি ভণ্ডদের আর ভণ্ডামিকে খুব ঘৃণা করি।
আমি একজন মানুষ মাত্র। খুব সামান্যই আমার ক্ষমতা। তারপরও আমার কিছু যোগ্যতা আছে। আর এই যোগ্যতার বলে আমি দেশ মানুষ ও মানবতার জন্য কিছু একটা করতে পারি। জাদুর কাঠি আমার হাতের মুঠোর মধ্যে। আমি কেন ধর্মবিরোধী হবো? বরং আমি হবো ভণ্ডবিরোধী। দুনিয়ার যেকোনো ভণ্ডকে আমি ঘৃণা করতে পারি। কিন্তু কারও ধর্মকে আমি অবজ্ঞা করতে পারি না। এটা আমার ধর্ম নয়।
বাংলাদেশে ইদানীং ভণ্ডের সংখ্যাটা একটু বেশিই বেড়ে গেছে বলে আমার মনে হয়। আর এর মূলে রয়েছে সামাজিক মানুষের সীমাহীন স্বার্থপরতা ও পাশবিক লোভ-লালসা। আমরা দিন দিন যেন কেমন হয়ে যাচ্ছি। লোভ-লাভ ও স্বার্থ আমাদের জীবনের চেয়েও প্রিয় হয়ে উঠেছে। কারও-কারও কাছে স্বার্থপরতা জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয়।
মানুষ এখন স্বার্থপর হতে ভালোবাসে। আর সে মনে করছে: দুনিয়াতে একজন স্বার্থপর হওয়ার জন্যই বুঝি তার জন্ম হয়েছে। মানুষ এখন সার্টিফিকেটধারী মূর্খ হচ্ছে। আর এই মূর্খতার কোনো শেষ নাই। মূর্খতাই এখন যেন কারও-কারও একনাম্বার আদর্শ। মূর্খদের দাপটে ও তাণ্ডবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আজ হুমকির সম্মুখীন। তবুও মানুষ এই দুরাশার পিছনেই বেপরোয়াভাবে ছুটছে।
মূর্খমানব আর ভণ্ড---এই দুইই সমান। আর আমি সবসময় এই ভণ্ডদের বিরুদ্ধে। আমার শেখনিশক্তি কখনও এই ভণ্ডদের ক্ষমা করবে না। দুনিয়ার সমস্ত ভণ্ডের বিরুদ্ধে আমি দাঁড়িয়েছি, আর আমি শেষপর্যন্ত তাতে লেগে থাকবো। মহান স্রষ্টা আমাকে সাহায্য করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৪