ধর্মঘরে প্রার্থনা শেষে সকালের সূর্যে কুমারিত্ব
কেঁপে উঠে বারবার,
কোন নারীর বিবাহিত সংবাদ
তোমাদের আনন্দিত করেছে, পুরুষ?
নারীরা পৃথিবীতে চিরদিন কুমারী যৌবনবতী থাকবে
এটাই তোমাদের চিরকালীন কামনা-লালসা।
হাজেরা, রাবেয়া, অনুরাধা কিংবা সীতা কিছু নয়,
মধুমতি বয়ে চলে অবিরাম, যুবকেরা দল বেঁধে নাচে
অনীলা নামের সেই মেয়ে
যার অবিবাহিত থাকার সংবাদে ওরা উদ্দাম।
অনীলা নামের এক মেয়ে আছে
স্বপ্ন ও ভালবাসায়,
অভিমানে ভালবাসায়
অনীলা নামের এক মেয়ে আছে কষ্টের।
দশজোড়া ঐক্যের হাত ভেঙ্গে
ধ্বসে পড়ে নেতৃত্বের সংঘাতে,
জনতার দামী মাথা কাটা পড়ে, বিক্রি হয়,
আর স্ত্রীরা হন্তারক হলে,
অবিশ্বাসী নারীতে পদদলিত হয় আমাদের চেতনা।
অনীলা এখনো আভিমানী, আয়নায় সাজগোজে
আঙ্গুলে স্পর্শে সুড়সুড়ি হাসে?
তেলাপোকা দেহে পড়লে চেচায় আদুরে ভয়ে,
অকারন অনাহারে খাবার প্লেটে।
নিদ্রাহীন যন্ত্রনাময় অনেক রাত্রি গেল
অনীলা নামের সেই মেয়ে আর
মধুমতি অবিরাম বয়ে চলে।
যুবকেরা দল বেঁধে নাচে দুর্গাদেবীর ঘাড়ে
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অনীলা বিয়োগান্ত সময়ে জীবন্ত কল্পলোকে
নটীর নৃত্যের পদক্ষেপে কেঁদে ওঠে মাঝরাত্রির অনীলা,
বয়ে চলে একইভাবে অনীলা ও নদী।
নগরের চায়ের কাপে হাতড়ায় ভালবাসা
ঝড় ওঠে নেশাগ্রস্ত অন্ধকার সময়ে
তবুও বয়ে চলে অনীলা নামের এক রক্তপাতহীন নিরপেক্ষবাদ।
আমার কথাঃ
অনেক... অনেকদিন পর কোন লেখা পোস্ট করলাম। প্রায় বছর পাঁচেক হবে। পুরানোরা হয়তো আমাকে ভুলে গিয়েছেন আর নতুনরা নিশ্চয়ই চিনবেন না। অনেকদিন পর ব্লগে এসে আমি নিজেই কেমন নতুন অজানাবোধে ডুবে যাচ্ছি। জানিনা কিভাবে মানিয়ে নেওয়া হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫