আমাদের আজকের আলোচনা হচ্ছে ব্লগিং আর সোশ্যাল ব্লগিংয়ের পার্থক্য নিয়ে।অনেকেই বিশেষ করে বাংলাদেশে অনেকেই এই দুইটিকে গুলিয়ে ফেলেন বলে দেখতে পাই।
প্রথমেই ব্লগিং।
ব্লগিং হচ্ছে একান্তই নিজের কথা বলার মাধ্যম।ব্লগ শব্দটি এসেছে ওয়েব লগ কথাটি থেকে।যারা অর্থ হচ্ছে ওয়েবে নিজের কথাগুলোকে ধরে রাখা বা হিসেব করা ।
এটাকে অনলাইন ডায়রি বলা যেতে পারে।এ ধরনের ব্লগিংয়ের সুযোগ দিচ্ছে বিভিন্ন সাইট।তার মাঝে ইয়াহ (৩৬০) ওয়ার্ডপ্রেস আর গুগুলের (ব্লগার/ব্লগস্পট)সব চেয়ে জনপ্রিয়।
সোশ্যাল ব্লগিং:
সোশ্যাল ব্লগিং হচ্ছে এমন ব্লগ যা ব্লগের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা দিয়ে আমাদের বেধে দেয়।
উদাহরন হিসেবে সামহোয়্যারের কথা বলা যায়।
এখানে প্রথম পাতার মাধ্যমে আপনার লেখা অনেকের চোখের সামনে আপনি উপস্থাপন করতে পারেন,এই পাঠকরা কিন্তু আপনার ব্লগে যান নি,আপনিই তাদের কাছে এসেছেন আপনার ব্লগ নিয়ে।
তাই এই পাঠকদের রূচি,সম্মান,আগ্রহ, এই সব বিবেচনায় রেখে আপনাকে সোশ্যাল ব্লগিংয়ে থাকতে হবে।
সোশ্যাল ব্লগিং একটা প্লাটফরম যেখানে পরষ্পরের প্রতি সম্মান,ভদ্রতা ইত্যাদি বজায় রেখে লেখালেখি করতে হয়।
যদিও ব্লগাররা এখানে নিকের আড়ালে থাকেন তবু এটা মনে রাখুন ,যে কথাটি আপনি নিজে শুনতে পছন্দ করেন না সেই কথাটি দয়াকরে অন্য কাউকে বলবেন না।
ব্লগে অনেক সময় বিশেষ বিশেষ লোক তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক,সামাজিক বা গোষ্ঠিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এসে থাকে।উনাদের সাথে আপনার দ্বিমত হওয়ার সুযোগ আছে।
সেক্ষেত্র আপনার দ্বিমতটিকে যুক্তি দিয়ে স্পষ্ট করে কমেন্ট করুন।কখনোই বাজে তর্কে যাবেন না।
যদি তর্ক বা আলোচনা হয় তাহলে সেখানে অংশ নিন ,কিন্তু অপ্রয়োজনীয় ফালতু কথা খরচ করতে যাবেন না।
যদি দেখেন কোন ব্যক্তির ব্লগ পাতা তার নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য অথবা ব্লগ কমিউনিটিকে অশান্ত করার জন্য করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সেই ব্লগ বা ব্লগারকে এভয়েড করে যান।
মনে রাখবেন ভার্চুয়াল সমাজ হলেও সোশ্যাল ব্লগিং একধরনের সমাজ,সেখানেও নিজেকে ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত করে তুলুন।
ভদ্রতা এমন একটা বিষয় যেটি সবসময়ই চর্চার বিষয়। আপনি হাজার লোকের মাঝে থাকুন কিংবা একান্তে নিজের ঘরে,সবসময়ই ভদ্রলোক,ভালো লোক হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।
আপনার সোশ্যাল ব্লগিং প্লাটফরমটাও এর বাইরে নয়।
(আগামীতে আলোচনা করব,সামাজিক কল্যানে সোশ্যাল ব্লগিংয়ের ভুমিকা রাখার সুযোগ।)