প্রথমেই মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া করি যে ছাত্র ও জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভোট ডাকাত ও ভারতীয় তাবেদার হাসিনার BAL রেজিমকে উৎখাতের জন্য! ৫ই আগষ্ট ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন। তবে এটা প্রাথমিক সাফল্য। এখনও দেশে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভোটের আগে অনেক গুলি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। সেগুলি নিম্নে আলোচিত হইল!
(১) সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগ: শেখ হাসিনা গং পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগে ভারতীয় "র"র এর এজেন্ট এবং দালালে ভরা। এটা শুরু হইছে ১/১১, ২০০৭ হতে এবং ২০০৯এ সাজানো বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে ৫৭ সেনা অফিসারদেরকে হত্যা করে। মঈন ইউ. আর্মি প্রেরণ করতে চাইলেও শেখ হাসিনা পিলখানায় যেতে বাধা দেয়। সে তার বন্ধু প্রণব মুখার্জীকে দিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে দিয়ে ভয়ও দেখায়;
https://www.hindustantimes.com/delhi/iaf-on-stand-by-ready-to-help-bangladesh/story-APlOKNxML0MIG9qiQRR0dP.html
এরপরেই সেনাদের ভয় দেখিয়ে সমানে সেনাবাহিনীতে ভারতীয় "র"র এজেন্টে পরিপূর্ণ হয়। এবার এদের বিরুদ্ধে শক্ত শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। মঈন ইউর মত আর যেন কোন জেনারেল ভারতের জন্য তাবেদারী না করতে পারে সেটা ঠিক করতে হবে।
(২) বিচার বিভাগ: সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে যেভাবে অপমান করে টেনে হিচড়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় তাতেই বুঝা যায় দেশের বিচার বিভাগ ছিল হাসিনার ক্রীতদাস। বিচারপতি মানিক ও ইনায়েতুর রহিমদের মত হাসিনার সাজানো লোকদেরকে বিচার বিভাগ হতে সরাতে হবে।
(৩) প্রশাসন: পুলিশ, বিজিবি, RAB ও সিভিল সার্ভিসেও প্রচুর ভারতীয় "র"র এজেন্ট আছে। এদেরকেও ধীরে ধীরে সনাক্ত করে সরাতে হবে। নতুবা তারা প্রশাসনে স্যাবোটাজ ঘটাবে।
(৪) ব্যাংকিং সেক্টর: বিভিন্ন আর্থিক সেক্টর যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকেও ভারতীয় চর আছে। যখন বিবিতে হ্যাক হয় তখন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা এসে আভ্যন্তরীন এই বিশাল অর্থের আত্নসাৎ ধামাচাপা দেয়!
(৫) বিবিধ: আইটি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি যত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলিকেও ভারতীয় কুপ্রভাবমূক্ত করতে হবে!
দেশে একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পথ সুগম করে জনগণই ঠিক করবে দেশের নতুন বা পুরাতন সংবিধানের সংস্কার সহ কোন পথে চলবে। আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি। ভারত বা অন্যকোন বিদেশী রাষ্ট্রের কাছে নিজেদের মর্যাদা ও স্বার্থ বিকিয়ে গোপন চুক্তির চির অবসান হউক। দেশের মর্যাদা ও ন্যায্য লাভ নিশ্চিত করেই তবেই বিদেশী কোন রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি হবে। দেশের সংসদে খোলা আলোচন, বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং প্রয়োজনে জনগণের গণভোট নিয়ে বিদেশী ও দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর বিরোধীতাকারীরা ফ্যাসিষ্ট ও বিদেশীদের দালাল তথা জাতির শত্রু!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ! বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!