সেই ২০০০ সালের কথা। একদিন এলাকায় আমার আব্বা কিছু কেনা কাটার জন্য বের হলে আশে পাশের কয়েকজন বাড়ীওয়ালারা উনাকে ঘিরে ধরেন। তারা বলে "আংকেল আপনে যদি আপনের রুমে/ফ্ল্যাটের ভাড়া কম নেন তাইলেতো আমাদের ভাড়াটিয়ারা চলে যাবে"। ঘটনা হইল আমরা একটা কামরার ভাড়া নিতাম ৮০০ টাকা/মাস যা একই স্কয়ার ফিটের সেই বাড়ীওয়ালাদের রুম প্রতি ভাড়া নিত মাসে ২০০০ টাকা। তখন তাদের চাপে পড়ে আব্বাও বললেন ঠিক আছে তিনি ভাড়া বৃদ্ধি করবেন তবে সেটা ১৫০০ টাকার মধ্যে কারণ একলাফে এটা ২০০০ টাকা করা সম্ভব না। এভাবেই এটা ২০১৮তে এসে হইছে প্রায় ৬০০০টাকা মাসে ইলেকট্রিক ও পানির বিল আলাদা। এই রকমই পুরো ঢাকা শহড়েই ভাড়া বৃদ্ধি পাইছে ৪-৬ গুণ। অথচ সেই ২০০০ সাল হতে বর্তমানে কারো বেতনই ৩গুণ হয় নাই। তার উপর ইলেকট্রিক বিল বাড়ছে। বেশীর ভাগ গার্মেন্টসে কর্মরত ছাড়াও দোকান, অফিস, খেটে খাওয়া মানুষই এই সব রুমের ভাড়াটিয়া। ঐ দিকে পরিবার নিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাও আরো বেশী বিপাকে। কারণ এত ভাড়া দিয়ে তাদের মাস চলাটাই দায়। ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ তথা ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের মতে ঢাকা শহড়ে বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে এখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে;
২৫ বছরে বাড়িভাড়া বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ
http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1497006
এই সমস্ত রিপোর্ট দেখে খুবই শংকিত হই।
বৃটেনে আসছি ৮ বছরের উপর। কি সরকারী কাউন্সিল কি প্রাইভেট কোথাও এই ৮ বছরে তেমন বাসা বাড়ীর ভাড়া বৃদ্ধি পায় নাই। আমি যে কাউন্সিলের ফ্ল্যাটে থাকি তার ভাড়া অপরিবর্তিত আছে। যদিও এখানে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল কিছুটা বাড়ছে তাতে বাড়ীওয়ালাদের বাসা ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতের উপায় নাই। প্রথম আলোর রিপোর্টে দেখলাম বাসা ভাড়া বৃদ্ধি যেন লাগামহীন না হয় তার জন্য আইন আছে। কিন্তু আফসোস যে এই বিষয়ে কোন প্রয়োগই নাই।
এর জন্যই প্রশ্ন কিভাবে এই বাসা ভাড়ার বৃদ্ধির অযৌকিত্তক হার রোধ করা যায়?