আমেরিকানরা বা কোন মানুষ কি সত্যিই চাঁদে গিয়েছিল?
(দুঃখিত ছবি ঢুকানোর অপশন সমন্ধে সমস্যা তাই প্রয়োজনীয় ছবি দিতে পারলাম না, কেউ কি আছেন লেখায় ঠিক কিভাবে ছবি যূক্ত করা যায়)
(পাঠক উপরোক্ত শিরোণাম ঠিক মুসলমান বা ইসলামী কোন চিন্তা ধারা থেকে নয় বরং আমি চাই মানুষ জ্ঞান চর্চা করে চাঁদে কেন মঙ্গল সম্ভব হলে অন্য কোন গ্রহেও যাক। তবে কৌতুহল বশত ও যৌক্তিক কারণে কিছূ বিষয় তুলে ধরলাম)
মানুষের চাঁদে যাওয়ার বা প্রচলিত ভাবে আমরা জানি এ বছর ২১শে জুলাই চাঁদে যাওয়ার ৩৮ বছর পূর্ণ করবে। সেই ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক নামক প্রথম কোন মহাশূন্যে মানুষের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন পাঠায়। আমরা পদার্থ বিজ্ঞান অনুযায়ী জানি যে পৃথিবীর জন্য এর মধ্যাকর্ষন বল বা গ্রাভেটি পেরুতে হলে যে কোন বস্তুর সেকেন্ডে ৬.৮১ বা ৭ মাইল বেগে চলতে হয়। তো সে ক্ষেত্রে সোভিয়েত বা রুশরা স্পুটনিক ও পরবর্তীতে প্রথম নভোযারী হিসেবে ইউরি গ্যাগরিন পৃথিবীর অভিকর্ষ পরিসীমা পেড়িয়ে পৃথিবী পরিভ্রমণ করেন। বিষয়টি আমেরিকানদের নিকট খুব চ্যালেঞ্জের ছিল। তাই তারাও চেয়েছিল মহাশূন্যে তো যেতেই হবে এবং সোভিয়েতদের কে ছাড়াতে হবে। সময়টাও ছিল ঠান্ডা বা স্নায়ু যুদ্ধের যূগ। তাই শেষমেশ আমেরিকানরাও ১৯৬৯ সালের ২১ শে জুলাই তাদের নীল আর্মষ্ট্রং ও অন্যদের মহাশূন্য যানে করে চাঁদে পৌছানোর ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নত হওয়ার ফলে বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, গবেষক এমন কি খোদ আমেরিকাতেও অনেকে চাঁদে যাওয়ার বিষয়টিকে মিথ্যা, কাল্পনিক, ড্রামা শো, সেট আপ ও আমেরিকার খাজনা দাতাদের ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের একটা বাহানা বলে অভিহিত করেন।
প্রথম ব্যাপার টি হচ্ছে অনেক বিজ্ঞানী, গবেষক ও অধ্যাপক মনে করেন যে আমাদের পৃথিবী কে ঘিরে একাধিক রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয় বেল্ট বা বলয় সমূহ আছে যা কোন জীবিত মানুষ বা প্রাণীর পক্ষে এখন পর্যন্ত অতিক্রম করা সম্ভব নয়। ১৯৫৮ সালে James A. Van Allen নামক এক ব্যাক্তি এগুলো কে প্রথম সনাক্ত করেন। কারণ এটি মহাশুন্য যানের ধাতব কাঠামো ভেদ করে স্পেস স্যুটের ভিতর দিয়ে মানুষের শরীরে ক্ষতি করে। এটা হচ্ছে একধরণের অতিক্ষুদ্র ইলেকট্রন যা খুনী ইলেকট্রন নামে পরিচিত। এটা এমন কি বিভিন্ন ধরণের নভোযান ও স্যাটেলাইটের ধাতব শরীর কাঠামো ভেদ করে তাদের যথেষ্ঠ ক্ষতি সাধন করে।
(সুত্রঃ Click This Link)
এর ইনার বেল্টের অবস্থান পৃথিবী ও চাঁদের মাঝে অবস্থিত। এর অর্থ একটাই যে আমেরিকানরা যে ১৯৬৯ সালের ২১ শে জুলাই চাঁদে গেছে তা সম্পূর্ণটাই ভোগাস বা মিথ্যা। সোভিয়েত ইউনিয়নই প্রথম চাঁদে রোবট প্রেরণ করে এবং চাঁদের বিভিন্ন ছবি ও এর চারপার্শ্বের মহাশূন্য ও আমাদের পৃথিবীর চিত্র ধারণ করে।
দ্বিতীয় ব্যাপারটি হচ্ছে চাঁদের আলোর একমাত্র উৎস হচ্ছে সূর্য। তথাকথিত চাঁদে ভ্রমণকারী দের কথিত চাঁদে অবস্থান কালে বিভিন্ন ছবি আলোকীয় বিশ্লেষণ করলে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যৌক্তিক প্রশ্ন উঠে যা প্রচলিত ছবি চাঁদে তোলা নয় বলে প্রমাণ করে। এর জন্য নিম্নের ওয়েব লিংক পাঠকদের দেখার জন্য বিশেষ ও সবিনয় অনুরোধ রইল;
Click This Link
এছাড়াও আরও একটি নিম্নের লিংক দেখার জন্য অনুরোধ রইল;
http://www.thule.org/moon.html
এখন দুটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে এ পর্যন্ত কেবল আমেরিকান মহাশুন্যচারী বা নভোচারী মানুষই চাঁদে পৌছূতে পেরেছেন তো অন্যরা বিশেষ করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যকেউ কেন এখন পর্যন্ত পারে নি? দ্বিতীয়ত আমেরিকান সরকার আজ পর্যন্ত Unidentified Flying Object সমন্ধে
¯^xKvi করে নাই। বলা হয়ে থাকে ১৯৫০ সালে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে একটি অন্য গ্রহের নভোযান ও তার পরিচালনকারী ভিন গ্রহের প্রাণী যারা মানুষের আবিস্কারের চেয়ে বহু এগিয়ে আছে তাদের মৃতদেহ সমূহ উদ্ধার করা হয়। এটাকে আমেরিকার খুব সম্ভবত নেভাডা রাজ্যে কঠোর গোপনীয়তায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে যার নাম Area-51| সাধারণ জনগণ তো নয়ই এমন কি ক্লিয়ারেন্স ছাড়া কোন সরকারী লোকও সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
(সুত্রঃ Click This Link)
কিন্তু আমেরিকান সরকার এই এরিয়-৫১ এর কথা ১৯৯৭ সালে ¯^xKvi করলেও এখন পর্যন্ত এটা আনুষ্ঠানিক ভাবে ¯^xKvi করে নি যে সেখানে ১৯৫০ এর দশকে উদ্ধারকৃত UFO সংরক্ষিত আছে, উল্টো তারা বলে এ সমস্ত স্রেফ কাল্পনিক, মিথ্যা ও ট্যাবলয়েড পত্রিকার কাটতি এবং বিভিন্ন মিডিয়া টু-পাইস কামানোর রাস্তা। অথচ কিছুদিন আগে ফরাসী সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের দেশে, ইউরোপে সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রাপ্ত উৎস হতে UFO সমন্ধে প্রাপ্ত তথ্য, ছবি ও ¯^P‡ দেখা মানুষের বর্ণনা প্রকাশ করেছে।
Click This Link
এখন চিন্তার বিষয় কে মিথ্যা কথা বলছে আমেরিকা নাকি ফ্রান্স?
আসলে আমি যা মনে করি আমেরিকানরা স্রেফ মিথ্যা প্রতিহিংসার বশে সোভিয়েত ইউনিয়নকে মিথ্যা টেক্কা দেওয়ার জন্যই ১৯৬৯ সালে তাদের অর্থ ও মিডিয়ার জোড়ে চাঁদে যাওয়ার মিথ্যা ঘটনাটি কে সত্য বলে সাজায়। নীল আর্মষ্ট্রং সহ অন্যান্য তথাকথিত চাঁদে ভ্রমণকারীদের দিয়ে তাদের ইচ্ছাতেই হৌক বা অনিচ্ছাতেই হৌক তারা এই চাঁদে হাটার ঘটনা সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। এখন শোনা যায় ড্রাগ প্রয়োগ ও বিভিন্ন সম্মোহনের মাধ্যমে তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে। আর আমাদের মুসলমানদেরকেও চাঁদের ফাটল যা আর্মষ্ট্রং দেখেছেন ও ইসলাম গ্রহণ করেছেন ইত্যাদি কথা বলে বোকা বানানো হয়েছে। আমরা মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি যে আল্লাহ্ তালা তার ক্ষমতা বলে রাসুল (সাঃ) এর মাধ্যমে চাঁদ কে দ্বিখন্ডিক করেছিলেন। অত্যন্ত সুকৌশলে মুসলমানদের সরল বিশ্বাসের সুযোগে এ কথাটি প্রচার করা হয়েছিল। দুঃখের বিষয় ঐ সময় ১৯৬৯ এ যদি ৩০ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যে মহা-মিথ্যা প্রচার না করে ঐ দুটি তেজস্ক্রিয় বলয় কিভাবে একটি সুরক্ষিত নভোযানে করে একজন মানব নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারে তার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করলে সবচেয় ভাল হত।
বর্তমানে একক পরাশক্তি হওয়া এবং মিডিয়ার জোরেই আমেরিকা গোয়েবেলসীয় কায়দায় মিথ্যা কে সত্য বানাতে পারে। যার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ ইরাকে ২০০৩ সালে আগ্রাসন। আর সত্যি কথা বলতে আমেরিকার সিংহভাগ জনগণ আমার মতে ঘুমন্ত। অশুভ কর্পোরেট কালচার ও নিউকনগণ তাদের কে বিভিন্ন বিষয়ে সম্মোহিত করে রেখেছে। এই সকল অসেচতন আমেরিকান কবে জাগবে, তা ভবিষ্যতই বলতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০০