এক মাহমুদুর রহমান কারাগারে লক্ষ মাহমুদ অন্তরে অন্তরে।
তাদের বিকাশ ঘটাতে হবে। জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলাই সবচেয়ে বড় জিহাদ। সেই জিহাদ মাহমুদ সাহেব করেছেন। সবাই যখন আপসকমিতার পথ বেছে নিয়েছেন রুটিরুজির অজুহাতে তিনি তখন নিজের প্লেটের দামি খাবারের লোভ ভুলে নেমেছেন সত্যপ্রতিষ্ঠায়। তার সেই সত্য বলায় নানা জন নানাভাবে আপসের বীজ রোপণ করতে চেয়েছেন কিন্তু একজন মাহমুদুর রহমান কখন্ও হার মানেননি। তিনি আজ কারাগারে। কী নি:সীম কষ্টভোগ তিনি করছেন তা আমরা জানি। তিনি কি জানতেন না এমন পরিণতি তার হবে? জানতেন, তাই হয়ত নির্বিকারভাবে সবকিছু মেনে নিতে পারছেন। কিন্তু জালিমেরা কি এভাবেই একটা একটা করে সত্যের পক্ষের কণ্ঠস্বরগুলো স্তব্ধ করে দেবে? আর একজন মাহমুদুর রহমান কারাগারে গেলেই কী সত্য অপ্রকাশিত থেকে যাবে? আপাতদৃষ্টে যখন সকাল হলেই আমারদেশ হাতে পাই না তখন মনে হয় মাহমুদ সাহেব বোধয় হেরেই গেলেন। কেউ কি নেই তার যায়গাটা পূরণ করবেন? নেই, থাকার কথাও না। বাঘ বা রয়েল বেঙ্গল টাইগার দুর্ল্যভই হয়।
অসত্যের বিরুদ্ধে তিনি যে লড়াই শুরু করেছিলেন তার রেখে যাওয়া সেই কাজ এগিয়ে নেয়ার মতো কেউ কি নেই? শুনেছি তাকে জঙ্গীকানেকশানে ঢুকানোর চক্রান্ত চলছে। জঙ্গীই বটে। যদি জিহাদের কথা বলে কেউ তাকেতো জংগী বলতেই শিখিয়েছে আমাদের মিডিয়াগুলো।.....
হে বীর! তোমার প্রতিটি মুহূর্তের কষ্টের দাবানলে একদিন পুড়ে ছাই হবে জালিম শাসকের প্রতিটি পাখনা। তুমি ভয় পেও না। যদি জীবনও যায় মনে রেখ এ বাংলার সত্যাশ্রয়ী মানুষ তোমার রক্তের শোধ না নিয়ে ছাড়বে না।......
আল্লাহই পারেন তোমার রিমান্ডের সব যন্ত্রণা কারাভোগের কষ্ট লাঘব করতে, তিনিই পারেন সত্যের সাহসী সহিসদের রক্ষা করতে।