যারা মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন, মিথ্যা বলে তারাতো চ্যাটিং এ এস ব্যাপারটা ফায়সালা করতে পারেন!
আজ সকালেই আমার সফল চ্যাটিং শুরু।
এর আগে এভাবে কখনও সফলভাবে চ্যাটিং করিনি। প্রথম চ্যাটিং মেট ইউনুস আলী খান। তাকে ধন্যবাদ ইনভাইট করার জন্য। তার সঙ্গে কী কথা হলো তাতো একবার কপি করে দিয়েছি। কত সন্দেহবাতিকেরা কিছু বলে না ক্যান?
আর ইউনুসখানের হৃত ইমেজ ফিরে এলো কি না তাওতো জানলাম না? হয়ত সবাই ব্যস্ত!
সে যাক, একটু আগের একটা ঘটনা বলি...
জানেন নিশ্চই যে সব বাজার ঘাট আমিই করি, ও কিছুই করে না।.. সকালে গিয়েছি দোকানের বিল পরিশোধ করতে। ৫১৬টাকা। তেলের দাম বেড়েছে, আর বাড়বে এই আশঙ্কায় রোজার মাসেরটা কিনে রাখলাম। অবম্য আমি আদৌ জানি না ততদিন একসঙ্গে থাকার সৌভাগ্য আমার হবে কি না।...
তো দোকানদার! যিনি আমাকে আপা ডাকেন, অথচ আজও পর্যন্ত জানেন না আমার নাম কী? আমার স্বামীর নাম কী? আমাদের বাসা কত নাম্বার! তবু পরম বিশ্বাসে সে আমাকে বাকী দেয়।...
সেবার। প্রথম বাকীর ঘটনা।...
২৬৭টাকা বাকী এনে ১৫০টাকা বাকী রেখে বাকী টাকাটা দিই অন্যদিন বাজার করতে এসে। এর মধ্যে আমার স্বামীর মাথায় হঠাৎ ভুত ওঠে, সে আমাকে যত্নের উসিলায় আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।...
আমি ওকে রিকোয়েস্ট করি একদিন, যে দোকানের বাকীটা দিয়ে দিতে। ও বলে আমি দোকান চিনি না। আর তাছাড়া এই বিলটাতো তোমার দেয়ার কথা। তুমিই বাজেট ক্রস করেছ।...
তো সেই লোক কে তবু ও যায় বিলটা দিতে। লোকটা বিল নেয়, দেরির জন্য কিছুই বলে না। বরে আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম! আপা কই, আপারে দেখিনা!...
এরপর আমি ফিরেএলাম...
বাকী চলছে.. চাল ৪৪টাকা। তেল ১২৮টাকা। কোনওটাই গায়ে বাধে না। যখন যা খুশি নিয়ে আসি।...
সেদিন ডাক্তারের দেকানে গিয়ে দেখি টাকা নাই, কী করি? ওনার দোকান থেকে এনে দিতে চাইলাম, ফার্মেসীর লোকটা বলে দরকার নাই কাল দিয়েন।...
মানুষের বিশ্বাস করার ক্ষমতা অসাধারণ!
আজ সেই দোকানী লোকটি মালপত্র বেশি হওয়ায় নিজে আমার জিনিসগুলো বাসায় পৌঁছে দেয়। তার দোকানে আরও দুজন আছে। আমাকে কোনও সওদা নিয়ে দরদাম করতে হয় না। আমারও একান্ত বিশ্বাস সে আমাকে ঠকাবে না।... বিশ্বাসের পৃথিবী আমার অনেক বড়! শুধু ব্লগে এসে ভিমড়ি খাই, অবিশ্বাসের অনলে পুড়ি