- ধ্রুবতারা এবং আমরা দুজন-
প্রাগ-ঐতিহাসিক ড্রাগন যুগ পার হয়ে
শিলার পালাবদলে নতুন পৃথিবীর যাত্রী আমরা।
উত্তর আকাশের ধ্রুব তারাটি হায়
তারই উজ্জলতায় তুমি জ্বলেছিলে-
আমি নীল আকাশ হয়ে তোমাকে ছিলাম ঘিরে।
তোমার হাসির ফোটনগুলি ইথারে পাখা মেলে-
আমাতে গিয়েছে হারায়ে বারে বারে;
তোমার আমার স্পন্দনে হয়েছে
নতুন নতুন স্পন্দন।
কখোনোবা আবার হিজল নদীর বাঁকে
অজস্র হিজল ফুলে তোমাকে খুঁজেছি।
কখোনোবা পাতার রসে হয়েছি সবুজ।
তোমার আরক্তিম মুখখানি ঘিরে রেখেছি;
পরশে পরশে- তোমার রক্তিম মুখ আরো হয়েছে
রক্ত লাল।
মুর্তিমতি হয়ে তুমি ধরায় নেমেছো,
আমার পাশে বসেছো,
তোমার গানের সুরে সুর মিলায়ে-
তুমি আমি ঊড়ে চলেছি।
সোনালী আলোর পাখায় আমাদের
নতুন চলার বেগ;
মনে অফুরান প্রান বন্যার নতুন আবেগ।
আমরা চলেছি বন হতে বনান্তরে
ধান সিঁড়ি নদীটির পাড় ঘেষে-
চলার নেশায় আমরা চলেছি।
সন্ধ্যা এক সময় নিঃশব্দে এলো নেমে
আকাশ ফুঁটো করে বেড়িয়ে এলো হৈমন্তী চাঁদ-
পুর্ণতার ইংগীতে দেখলে সে চাঁদকে তুমি,
আমি দেখলাম হৈমন্তীক ধুসরতায়
ঝরে যাওয়া ব্যাকুল বেদনা!
অথচ আমরা ঊভয়ই চলেছি
সমান বেগে-আবেগে, একই আকাশের নীচে;
স্বাতী নক্ষত্রটির মুক্ত আলোকে।
তোমার আমার পাখার বাতাস
অতি বেগুনী রশ্মি অণুরনিত হচ্চে একই ভাবে।
এমনি করেই এক দিন বিবর্তণের নতুন অধ্যায়ে
কালিন্দি কুল যায় ভরে-চলার বেগ হারিয়ে-
নদী যায় মরে, শুরু হয় জীবন্ত প্রকৃতির নতুন গতি।
মনের ক্লান্তিতে প্রিয়ার পাখা আসে জড়িয়ে,
চলার বেগ হারিয়ে চোখের পাতায় অন্ধকার নামে,
গতিবেগ ফুরিয়ে যায়-
নিশচল বালুচরে আমি যাই থেমে,
তুমিও হারিয়ে যাও ধ্রুব তারার মাঝে।
তোমাদের সবাক পৃথিবীতে
আমাদের এই অসীম শুণ্যতা পুরিয়ে দেয়
রাতের শিশির
আর তোমার দুফোঁটা অশ্রুজল।
*** পুণশ্চঃ সাজি আপু, তোমাকে বলেছিলাম-এক দিন আমিও তোমার মতো একটা বড় কবিতা লিখবো............
* আমার এই লেখাটা উতসর্গ করছি সকল ব্লগার ভাই-বোনদের যারা আমাকে এই ব্লগে আবার ফিরিয়ে এনে লেখার সুযোগ করে দিয়েছেন!*