somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এরশাদ বাদশা
জীবনের সব রঙিন মূহুর্তগুলো এখন শুধুই দুই এনজেল এর মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। তারা হাসলে আমি হাসি..তাদের বিন্দুমাত্র কষ্টে ভীষন ব্যথিত হই.. ব্যস্ততা যদিও দেয়না অবসর..তবু এক আধ টুকরো অবসরের মুহুর্তগুলো রাঙিয়ে দেয় ওরা দুজন..দে আর মাই ওয়ার্ল্ড..দে আর মাই ডটার..দ

ব্লগার্স মেন্টাল হসপিটাল :| :| :| ;) ;) ;) ;) - ১ম পর্ব

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সনঃ ২০২০
প্রেক্ষাপটঃ সামহ্যোয়ার ইন ব্লগ

ভূমিকাঃ১- গল্পটি লেখা হয়েছে ২০২০ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গল্পের সব চরিত্রই নিরেট বাস্তব, ব্লগ থেকেই নেয়া। কারো সাথে মিলে গেলে তা ইচ্ছাকৃত বলেই গন্য করবেন :-P পিটানী দিতে চাইলেও দিতে পারবেন:P
২- আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারন যাদের নিয়ে এই লেখা তারা হয়তো মাইন্ডাইতে পারেন। ফান হিসেবে নিলে খুশি হবো;)

ব্লগার্স মেন্টাল হসপিটালে আজ সাজ সাজ রব। কারন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আসিতেছেন হসপিটাল পরিদর্শনের নিমিত্তে। এই হসপিটালের প্রতি সব শ্রেনীর মানুষের কৌতুহল বিদ্যমান। আরম্ভ হইবার পর হইতে রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়িয়াই চলিতেছে। তাই প্রেসিডেন্ট মহোদয় এই হাসপাতাল পরিদর্শন করিবার সিদ্ধান্ত লইয়াছেন। হাসপাতালের ডিন কেতাদূরস্ত পোষাক পরিয়া মুখমন্ডলে হালকা প্রসাধনী লাগাইয়া অপেক্ষা করিতেছেন। তিনি নিজেই প্রেসিডেন্টকে হাসপাতাল পরিদর্শন করাইবেন। ইতোপূর্বে সিদ্ধান্ত হইয়াছে কোন কোন সেলে তাহাকে লইয়া যাওয়া হইবে। বাছাই করা কিছু রোগীর সেলে তাহাকে লইয়া যাওয়া হইবে। ডিন উহাদের কেস স্টাডিগুলো একেবারে পূঙ্নানুপঙ্কু রুপে মুখস্থ করিয়া লইয়াছেন। যাহাতে প্রেসিডেন্টকে ব্যাখ্যা করিতে অসুবিধা না হয়।
নির্ধারিত সময়ের আধঘন্টা পর প্রেসিডেন্ট আসিলেন। অর্ভথ্যনা, আপ্যায়ন ইত্যাদির পর প্রেসিডেন্ট পরিদর্শনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলেন। ডিন সুযোগ পাওয়া মাত্রই তা লুফিয়া লইলেন। মাখনের মতো নরম সুরে তিনি বলিলেন, ''স্যার, পরিদর্শনের পূর্বে হাসপাতাল সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করা আমার কর্তব্য মনে করিতেছি।''
''জ্বি, অবশ্যই।'' অনুমতি দিলেন প্রেসিডেন্ট।
''ব্লগার্স মেন্টাল হসপিটালের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় আজ হইতে দুই বৎসর পূর্বে। তারও অনেক পূর্বে ''ব্লগারগনের'' অত্যাচারে পর্যদুস্ত হইতে ছিলেন তাহাদের অভিভাবকগন। ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সম্মুখে বসে থাকা, হঠাৎ হঠাৎ অকারনে হাসিয়া উঠা, কারনে অকারনে ছাগু ছাগু, ধর ধর বলিয়া উঠা,:P দেয়ালের গায়ে +/- চিহ্ন সমূহ অংকন এ সমস্ত লক্ষন ব্লগারদের মাঝে দেখা যায়। জানা যায়, সামহোয়্যার ইন ব্লগ নামে একট ব্লগ সাইটে দিনরাত পড়িয়া থাকিবার কূফল হিসেবে মাথা বিগড়াইয়া যায় এই সব ব্লগারদের। শুধু ইহাই নহে, অদ্য এ সমস্ত উৎপাত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিলেও ধীরে ধীরে তাহা বাহিরেও ঘটিতে আরম্ভ করে। একটি ঘটনা তো পুরো দেশকেই কাঁপাইয়া দেয়। এক লোক দিনে দুপুরে দিগম্বর হইয়া নিজের শরীরে লাল কালি দিয়ে লিখে- আনব্যান মি!! পুলিশ তাকে পাকড়াও করে, টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ আইটেম প্রচার করে। সাংবাদিকগুনে প্রশ্নের জবাবে সে জানায়, ব্লগে সে বহুদিন ধরিয়া ব্যান। তাই আর কোনো উপায় না দেখিয়া সে এই পথ বাছিয়া লইয়াছিলো!!;)

এরুপ বহুবিধ ঘটনার জন্ম দিতে থাকে ব্লগার নামের উদ্ভট এইসব মানুষগুলো। ফলশ্রুতিতে সরকার সামহোয়্যার ইন বন্ধ করিবার উদ্যোগ লয়। কিন্তু তাহাতে ফল আরো খারাপ হয়। ব্লগিং করিতে করিতে যাহাদের মষ্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেনাই, তাহারা রাস্তায় নামিয়া আসিলো। আর যাহাদের স্ক্র ঢিলা:P হইয়া গেছিলো তারা উন্মাদের ন্যায় আচরন করিতে লাগিলো। ফলে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করিতে বাধ্য হয়। কিন্তু অভিভাবকগনের অনুরোধে সরকার একটি পাগলখানা খুলিবার সিদ্ধান্ত লয়, যেখানে ব্লগপাগলদের চিকিৎসা দেওয়া হইবে। তারই ফলস্বরুপ ''ব্লগার্স মেন্টাল হসপিটাল''
ব্রিফিং শেষ হইবার পর প্রেসিডেন্ট প্রথম সেলে গেলেন। প্রবেশ করিয়াই তাহাকে সভয়ে দুই কদম পিছনে সরিয়া আসিতে হইলো। কারন, সেলের লোকটি তাহাকে খামচি:| দিবার চেষ্টা করিয়াছিলো!! প্রেসিডেন্ট ডিনকে শুধাইলেন- ''এই লোক খামচি দিতে চাহিতেছে কেন??? কি সমস্যা ইহার?"
ডিন ততোধিক মোলায়েম গলায় বলিতে লাগিলেন- ''এর নাম গুলাবী। অধ্যাপক গুলাবী:P
''গুলাবী!!! ইহা কি জাতীয় নাম!!! ইহার কি গোলাপের প্রতি আসক্তি ছিলো?" বিস্মিত কন্ঠ প্রেসিডেন্টের।
''জ্বি না মহোদয়। গুলাবী এর ব্লগের নাম। বাপ মার দেওয়া নাম হইলো তামিম ইরফান। তবে সবাই ইহাকে গুলাবী নামেই জানে। এর প্রোফাইলে মানুষকে খামচি দেওয়া, আইট্টা কলা এবং উকুনের প্রতি আসক্তি আছে বলিয়া লেখা ছিলো। কিন্তু কে জানিতো মজা করিয়া লেখা এইসব বাক্য সত্যি সত্যিই তাহার মধ্যে দেখা দিবে!! এই লোক ব্লগে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন মহোদয়। কিন্তু পাগলামীর লক্ষন প্রকট হইবার পর তাহার প্রানপ্রিয় সহধর্মীনী তাহাকে ছাড়িয়া চলিয়া যায়। তাহার ঠিকানা হয় এই হসপিটাল।''
''চুক চুক চুক।'' সমবেদনা জানালেন প্রেসিডেন্ট।

অতঃপর দ্বিতীয় সেলে প্রবেশ করিলেন প্রেসিডেন্ট। দেখিলেন হালকা-পাতলা গড়নের এক যুবক জমিদারি ভঙ্গিতে কেদারায় বসিয়া আছে। তার এক হাত শুন্যে। কি যেন আঁকিবুকি করিতেছে। যুবকের দাড়ি লম্বা হইতে হইতে বুক পর্যন্ত নামিয়াছে। ''ইহার ঘটনা কি?" শুধাইলেন প্রেসিডেন্ট।
''ইহার নাম মানুষ।''
''মানুষ!! আল্লাহ সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত সবাইতো মানুষ। ইহা আবার কোন ধরনের মানুষ?":P
''মহোদয়, এর ব্লগ নাম মানুষ। বাপ মা শখ করে নাম রাখিয়াছিলেন, রঞ্জন। ব্লগে কেউ রমজান, কেউ মানু বলিয়া ডাকিতো। ব্লগের তাবৎ নারীকূলের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা ছিলো তাহার। সে রবীঠাকুরের আদলে নিজ মাধুরী মিশাইয়া হরেক রকম লেখা ব্লগে পোস্টাইতো। বিধাতার কি খেল, ব্লগিং করিতে করিতে রবীঠাকুরের ভূত উহার মধ্যে চাপিয়া বসিলো। ফলশ্রুতিতে নিজের সবচাইতে বড়ো খায়েশ বিবাহ করিবার পূর্বেই বেচারার মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটিলো!!'':-/
''তাহা হইলে আমার মনে হয়, ইহাকে বিবাহ করাইয়া দিলেই ঠিক হ্ইয়া যাইবো। মনে হয় বিবাহ করিবার নিমিত্তেই ভং ধরিয়াছে সে''(!!):P অভিমত ব্যক্ত করিলেন প্রেসিডেন্ট। তাহার পর পরবর্তী সেলের দিকে পা বাড়াইলেন। সেলে প্রবেশ করিয়া দেয়ালের পানে নজর পড়িলো তাহার। কারন, কক্ষের দেয়ালে গানিতিক আঁকিবুঁকি করিতেছেন এক সৌম্য চেহারার বৃদ্ধ(কল্পিত :P) মনোযোগ সহকারে উহা পর্যবেক্ষন করিতে লাগিলেন তিনি। কিন্তু বলাই বাহুল্য, উহার কিছুই তাহার মাথায় ঢুকিলোনা। ''মহোদয়, এর নাম ম্যাভেরিক।'' পরিচয় পর্ব শুরু করিলেন ডিন।
''খ্রিষ্টান ধর্মের লোকও আছে তাহলে!!!'' কথাটা বলিয়াই প্রেসিডেন্ট বুঝিতে পারিলেন, গর্দভের মতো সওয়াল হইয়া গিয়াছে। খ্রিষ্টান ধর্মে কি পাগল হইতে মানা আছে নাকি:P বেসামাল সওয়ালের রেশ ছড়াইয়া পড়িবার আগেই তিনি প্রাসঙ্গিক দ্বিতীয় প্রশ্ন জুড়িয়া দিলেন- ''এই লোকের ঘটনা কি?"
''ইনি গনিতপাগল ব্যক্তি। ব্লগে গনিত নিয়া ব্যপক মজাদার পোস্ট দিয়া অল্প দিনেই বিখ্যাত হইয়া গিয়াছিলেন। তবে অনেক গনিত ভীতু তাহার ব্লগ আবার এড়াইয়া চলিতো(লেখক সমেত/:) )।
মেধাবী মানুষেরা এমনিতেই খানিক পাগলাটে টাইপ হয়। তো ব্লগে গনিতের কারবার চালাইতে চালাইতে বেচারা ম্যাভেরিক এর মস্তিষ্কবিকৃতি দেখা দেয়।''
''চুক চুক চুক।'' জিভ ও টাকরা সহযোগে আবারো প্রেসিডেন্টের সমবেদনা জ্ঞাপন।
পরের কক্ষে খাটে বসা আপাত শান্ত চেহারার লোকটির দিকে ক্ষনিক তাকাইয়া রহিলেন প্রেসিডেন্ট। লোকটির মধ্যে কোনো প্রকার পাগলামীর লক্ষন দেখিলেন না তিনি, বলিলেন-''ইহাকে তো ভালোই মনে হইতেছে, ইহার নাম কি?"
''ইহার নাম রাতমজুর।''
''রাতমজুর!!!! ইহা আবার কোন প্রকারের নাম??? সে কি দিনে ঘুমাইতো, আর রাত্রে চুরি-চামারি করিতো??:P
''জ্বি না মহদোয়। এর ব্লগ নাম রাতমজুর। বাপ মার দেওয়া নাম হইলো, শাহরিয়ার। অফিস ফাঁকি দিয়া দিবারাত্রি ব্লগে পড়িয়া থাকিয়া এর মাথা বিগড়াইয়া যায়। এক বহুজাতিক কোম্পানিতে কোটেশন পাঠাইয়া ছিলো রাতমজুর। কিন্তু মজার ব্যপার হইলো, কোটেশনে কোম্পানীর রিকোয়ারমেন্টের পরিবর্তে সে ব্লগের কিছু উদ্ভট জিনিসের কথা কোট করিয়া দ্যায়। যেমন- প্লাস.......১০০ ... মাইনাস....২০...গদাম লাথি...১০ ...ছাগু.....নেগোশিয়েবল.....:P এইরকম। বলাই বাহুল্য কোটেশনটি গদাম লাথি সমেতই ফেরত আসে। বরখাস্ত হয় সে, তাহার পর হইতেই চরমভাবে মষ্তিষ্কবিকৃতি।'':P
''বেচারা....!!!''
ইহার পরের সেলে ঢুকিয়া তাজ্জব বনিয়া গেলেন তিনি। কারন ফর্সা, গোলগাল মতো শিশুসুলভ চেহারার অধিকারী এক যুবক তিড়িং বিড়িং করিয়া কি সব উদ্ভট কথাবার্তা বলিতেছে। তাহার যা কিছু প্রেসিডেন্টের বোধগম্য হইলো তাহা নিম্নরুপ- ''স্বপ্নে পাওয়া অষুধ.....আফসুসিত হইবার কুটিল কাহিনী....
অনেকটা ক্যানভাসাররা যেইরকম বলে সেরকম।
''ঘটনা কি?'' প্রেসিডেন্ট এর প্রশ্ন।
''ইহার নাম চান্কু। কানাডায় বসবাস করিতো। চাকুরি আর ব্লগিং নিয়া ভালোই ছিলো সে। কিন্তু আফসুসিত হইবার কুটিল কাহিনী তাহার মাথার মধ্যে এমনভাবে ঢুকিয়া যায়, যে উহার হাত থেকে আর রক্ষা পায়নি সে। ব্লগে তাহার দেওয়া এই পোস্টটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাইয়াছিলো। সম্মান করিয়া লোকে তাহাকে জ্যাডা বলিয়া ডাকিতো। কানাডার রাস্তায় এই স্বপ্নে পাওয়া অষুধ বিক্রি করিতে শুরু করিবার পর কানাডার সরকার তাহাকে দেশে পাঠাইয়া দ্যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকেরা তাহাকে ইহা স্থানান্তর করে।'' ডিন খানিক ক্লান্ত বোধ করেন। একটানা কাহিনী বলিয়া চলা কম পরিশ্রমের কাজ নহে। মনে মনে স্বীকার গেলেন তিনি। প্রেসিডেন্টকে চায়ের আমন্ত্রন জানালেই তিনি। সানন্দে সায় জ্ঞাপন করিলেন তিনি।
চা পানের বিরতির পর আবারো পরিদর্শন। এইবারের জনের বয়স ৩০ এর উপরে হইবে, অনুমান করিলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বয়স নিয়া চিন্তা করার সময় পাইলেন না তিনি। কারন, কক্ষে শাল গায়ে জড়ানো অনেকটা দেবদাস স্টাইলে(দাড়ি বিহীন) দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির হাতে একটি শুকনো বেলী ফুলের মালা। মালাখানি সে দুহাত ধরিয়া রাখিয়াছে আর মুখে বলিয়া যাইতেছে-
"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
''ইহার নাম কালপুরুষ।'' শুরু করিলেন ডিন, ''যদিও শত্রুরা ইনাকে লুল বিশেষনে বিশেষিত করিয়া থাকিতো।''
''লুল??''
''জ্বি মহোদয়। কথিত আছে, ব্লগের নারীকুলের প্রতি ইনার বিশেষ দূর্বলতা সর্বদা দৃশ্যমান হইতো। পুরোনো নারীদের ব্লগে তো বটেই, নতুন কেহ, তাহার নিকটি যদি নারী হয় তাহা হইলে এই কবির পদধূলি সেখানে নিশ্চিত। ইহা ত্যাঁদড় আর অসভ্য বালকদের সহ্য হইতোনা বিধায় এই ভদ্রলোকের নাম বিকৃত করিয়া লোলপুরুষ বানাইয়া দিয়াছিলো। তবে সেটা তাহার জনপ্রিয়তায় কখনোই বাধা হইয়া দাঁড়ায়নাই। তিনি স্বভঙ্গিতেই ব্লগিং করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটিয়া গেলো তখনই, যখন তাহার এহেন লুলামী(কথিত)র খবর তাহার স্ত্রীর কর্নগোচর হইলো। বেচারী মনের দুঃখে তাহাকে ছাড়িয়া চলিয়া গেলো। আর স্ত্রীকে হারাইয়া কালপুরুষের মস্তিষ্কবিকৃতি। এই ঘটনায় ইহাই প্রতীয়মানা হ্য় যে, আসলে এই ভদ্রলোক লুল না।''/:)
''ইন্টারেস্টিং!!'' এইবার যেন মজা পাইলেন প্রেসিডেন্ট।

পরবর্তী কক্ষে প্রবেশ করিতেই প্রেসিডেন্টের আঁখি কেমন যেন কোমলাকার ধারন করিলো। তাহার আঁখি অনুসরন করিয়া ডিন দেখিলেন, তাহারা এক নারীর কক্ষে প্রবেশ করিয়াছেন। ''হালার, এ দেখি বড়ো লুল!!" :P মনে মনে প্রেসিডেন্টকে গালি দিলেন তিনি।
''এ অপরুপার নাম কি??'' ততোধিক কোমল সুরে শুধাইলেন প্রেসিডেন্ট।
''মহোদয় এর নাম অপসরা।''
''আহা!! কি সুন্দর নাম। যেমন চেহারা তেমন নাম!!''
বুইড়া ভাম, হালার লুল...মনে মনে গালির তুবড়ি ছোটাইলেন ডিন।
''ইহার কি হইয়াছিলো?"
''ব্লগে অল্পদিনেই বিখ্যাত হইয়া যান এই নারী। তাহার এক পোস্টে ৫০০ এর উপরে মন্তব্যও আছে। অল্পদিনেই অতিরিক্ত খ্যাতি পাইয়া গেলে যা হয়, ইহার ক্ষেত্রেও তাই হইলো। মাথা আউলাইয়া গেলো। নিদ্রার মধ্যেও পুস্টাইতে লাগিলো। রেসিপি হইতে শুরু করিয়া, গান, কবিতা সব। পরিবারের লোকেরা বাধ্য হয়ে ইহাকে এইখানে হস্তান্তর করেন।''
''না, না। এই সামান্য ব্যাপারকে পাগলামী ধরা যায়না। আপনি একে ফেরত পাঠাইবার ব্যবস্থা করুন। আমি নিজে ইনার ব্যাপারটা দেখিবো।'' প্রেসিডেন্ট যেনো চিন্তায় অস্থির।''
তুইতো লুলদিগের শিরোমনি...!! ডিন তখন বেজায় ক্ষ্যাপা ভেতরে ভেতরে। এতোগুলো রুগী দেখিলো, চুক চুক ব্যতিরেকে কোন শব্দ বাহির হইলোনা আর নারী দেখিতেই.....

১ম পর্ব শেষ

***আরো কিছু সিলেক্টে ব্লগার আছেন আমার নজরে। তাদেরকেও আগামী পর্বে পাগলখানায় পাঠানোর অভিপ্রায় রইলো
।'' :P


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:০১
৯৩টি মন্তব্য ৮০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×