"উকিল: তোমার পেশা কী?
কমলাকান্ত: আমার আবার
পেশা কী?
উকিল: খাও কি করিয়া?
কমলাকান্ত: ভাতের সঙ্গে
ডাল মাখিয়া, দক্ষিণ
হস্তে গ্রাস তুলিয়া, মুখে
পুরিয়া গলাধঃকরণ করি।"____ বঙ্কিমচন্দ্রেরর কমলাকান্তের জবানবন্দী হতে।
‘ খাও কি করিয়া ’ প্রশ্ন
দ্বারা কমলাকান্তের
পেশা তথা জীবিকা
অর্জনের উপায় কী, উকিল
তা জানতে চেয়েছেন।
আর কমলাকান্ত নিজের
খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া মনে
করে এই উত্তর দিয়েছে।
২। "পথিক : মশাই, একটু জল পাই
কোথায় বলতে পারেন ?
ঝুড়িওয়ালা : জলপাই ?
জলপাই এখন কোথায়
পাবেন ? এ ত জলপাইয়ের
সময় নয় ।"
এই সংলাপটি সুকুমার
রায়ের ‘অবাক জলপান ’
নাটিকা হতে নেয়া। পথিক
বলেছেন পানি পাওয়ার
কথা, আর ঝুড়িওয়ালা বুঝল
জলপাই(ফল)!
৩। "সভাকবি: ওদের শব্দ আছে
বিস্তর কিন্তু মহারাজ
অর্থের বড় টানাটানি।
নটরাজ: নইলে রাজদ্বারে
আসবে কোন দুঃখে?"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এখানে সভাকবি ‘অর্থ’
দিয়ে তাৎপর্য বা
অন্তর্নিহিত ভাব
বুঝিয়েছেন কিন্তু নটরাজ
‘অর্থ’ মানে টাকাপয়সা
বুঝেছে।
★ কখনও মজা করার জন্য ইচ্ছা
করেও এমন অন্য অর্থ ধরে
নিয়ে উত্তর দেওয়া হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম একদিন দোতলায়
বসে আছেন, এমন সময় তাঁকে
একজন ডাকতে এল,-
“কাজীদা, ইন্দুদি(বিখ্যাত
গায়িকা ইন্দুবালা)
আপনাকে নিচে
ডাকছেন।” কাজীদা উত্তর
দিলেন “আর কত নিচে নামব
ভাই?” এখানে বক্তা নিচে
যাওয়া মানে নিচতলায়
যাওয়া বুঝিয়েছেন। আর
নজরুল নিচে যাওয়া মানে
অধঃপাতে যাওয়া অর্থ
করে এই মজার উত্তর
দিয়েছেন! :p
৫। আরেকটি কৌতুক দিয়ে
শেষ করা যাক
১ম বন্ধুঃ বন্ধু, তোমার পথের
সাথিকে চিনে নিও।
২য় বন্ধুঃ চিনে কেন, আমি
তো তোমাকে নিয়ে
আমেরিকা যেতেও
রাজি।(যদিও আমরা China কে চীন লিখি,কিন্তু সঠিকতর বানান চিন।)
অলঙ্কারশাস্ত্র অনুযায়ী এই ঘটনাকে বক্রোক্তি বলা হয়।
(ব্যক্তিগত ব্লগ পোস্ট অবলম্বনে)