বইঃসাইলাস মারনার
ধরণঃউপন্যাস
মূলঃ জর্জ এলিয়ট(মেরি আন ইভান্স)
ভাষান্তর ও পুনর্কথনঃতুহিন কুমার মুখোপাধ্যায়
আমার কিছু কথাঃএই অদ্ভুত রকমের সুন্দর উপন্যাসটা পড়ে আমি আমার মত করে কিছু লেখার মত সাহস পাচ্ছি না।তাই বইয়ের প্রচ্ছদে দেয়া গ্রন্থ পরিচিতি অনেকটাই হুবহু লিখে দিচ্ছি। উল্লেখ্য যে,যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি (সম্মান) পড়ুয়া তাদের জন্য এটা অবশ্যপাঠ্য।এবং উপন্যাসটা পড়ার পুরো স্বাদ নিতে চাইলে ইংরেজিটা পড়ার অনুরোধ রইবে।
গ্রন্থ পরিচিতিঃসাইলাস মার্নার। এক ধর্মপ্রাণ যুবক। তার বসবাস ল্যান্টার্ন ইয়ার্ড নামক জায়গায়।উইলিয়াম ডেন তার অন্তরঙ্গ বন্ধু। আর সারা তার প্রেমিকার নাম। সুখেই কাটছিল সাইলাসের জীবন। কিন্তু তার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল।প্রিয় বন্ধুর ষড়যন্ত্রে।মিথ্যে চুরির অপরাধ স্বীকার না করে সে ক্ষোভে নিজের প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করে চলে যায় সে। একই সাথে সারা তাকে ভুল বুঝে এবং বিশ্বাসঘাতক ডেনকেই বিয়ে করে।
মার্নার চলে আসে উনবিংশ শতাব্দীর শিল্পবিপ্লবে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের মহাআয়োজনে ব্যস্ত শহর থেকে অনেক দূরের ছোট্ট সুন্দর গ্রাম র্যাভেলাতে।হতাশ সাইলাস সেখানে একাকীই দিন কাটায়।কারো সাথেই মিশে না।নিভৃতচারী এ যুবকের কাছে পরিশ্রম করা ও বিনিময়ে স্বর্ণমুদ্রা সঞ্চয় করাই হয়ে ওঠে আনন্দের উৎস।বেচে থাকার মানে। কিন্তু তাও বেশিদিন স্থায়ী হল না।খোয়া গেল।শোকে দুঃখে যখন সে পাগলপ্রায়, তখন মৃত্যুপথযাত্রী এক মা'র ছোট্ট মেয়ে তার নিকটে আসে।কালক্রমে সেই হয়ে ওঠে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার, বেচে থাকার সর্বস্ব।
মন্তব্যঃ
১.মার্নাররা নির্দিষ্ট দেশ সময় কালের গন্ডিতে আবদ্ধ থাকেনা। সীমাবদ্ধ থাকেনা শুধু এলিয়টের উপন্যাসের পাতায়ই।আমাদের আশপাশে খুজলে এমন হাজারো সাইলাসের খোজ পাওয়া যেতে পারে।আমরা হয়ত তাদের পাগল বলে অবজ্ঞা করি।
২. উপন্যাসের গডফ্রে কাস চরিত্রটার দিকে নিজের এক ব্যাপারে মিল খুজে পাই।আমি আর গডফ্রে কোন ঝামেলা পাকিয়ে গেলে সবসময় এক দৈবদুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করি।যা সাধারণত ঘটে না।
অনুরোধ/উপরোধঃ
এখনো পড়া না হয়ে থাকলে পড়ে ফেলুন এই উপন্যাসটা। একটু করে হলেও মার্নারদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগবে।