somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেলা। অস্থির আনন্দ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আর ১০ দিন, ৯ দিন, এক সপ্তাহ ...... কর গুনে গুনে হিশেব করতাম। মাঝখানের সময়টা খুব দীর্ঘ মনে হলেও অপেক্ষার পালা এক সময় শেষ হইত। আর ঐ দিন সকাল থেকে শুধু একটাই চিন্তা, কোন সময় নিয়ে যাবে। কিন্তু আব্বা দুপুরে খাবারের পর একটু রেস্ট নিয়ে পত্রিকা নিয়ে বারান্দায় বসতেন, আর ওঠার কোন নাম গন্ধ নাই। আমার ত অস্থির অবস্থা, একটু পর পর হয় ছোট বোনরে পাঠাইতাম না হয় নিজে গিয়া শুনতাম ''কখন নিয়া যাবা??'' শেষে বিরক্ত হইয়া ধাবাড় দিত, ''আররে, এগো জ়্বালায় শান্তিতে একটু বসতেও পারি না''-- কিন্তু তাতে কি, ঝাড়ি দিলেও একটু পরে ঠিকই নিয়া যাইত। বৈশাখী মেলায়।।
দুই ভাইবোন আব্বার হাত ধরে মেলায় যেতাম, অস্থির আনন্দ, মনে হইত, মেলার মধ্যে যা আছে সব কিছু যদি কিনে দিত। কি আনন্দ। বরগুনার জেলা শহরের ছোট মেলার মাঠ, কিন্তু ছোটবেলায় সেটাই আমার কাছে অনেক বিশাল কিছু মনে হত। অনেক মানুষ, অনেক আয়োজন, অনেক ঘুরে খাওয়া দাওয়া করে একগাদা খেলনা পাতি কিনে তারপর রাতে ফিরতাম। সেই আনন্দের আবেশ কাটতে সপ্তাখানেক লেগে যেত। কি এক ঘোরের মধ্যেই না থাকতাম।
১৪২০ এর বৈশাখের ১ম দিন, আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র। মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাই, ক্যাম্পাসে ঘুরি, টি এস সি যাই- কিন্তু বৈশাখের মেলার সেই আবেশ মনে হয় সময়ের চোরাগলিতে হাওয়াই মিঠাই হয়ে মিলিয়ে গিয়েছে।
ভুভুজেলার আর্তচিতকার ও ধুলোময়লায় একাকার হয়ে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসি।
দিন শেষে আবারো সব কিছু সেই আগের মতই, গতানুগতিক নাগরিক জ়ীবন। পুরোনো রুটিনে ব্যাস্ত হওয়ার পায়তারা।--

তবুও সব ভুলে সকল প্রানে বাজ়ুক- ''মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা''- শুভ নববর্ষ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×