এর আগের খন্ডে পুলিশের অনুজ্জ্বল
দিকগুলো মোটামুটি তুলে ধরলাম । আগের খন্ড
যাঁরা পড়েছেন,সম্ভবত আপনাদের পুলিশ হবার শখ
মিটে গিয়েছে।তারপরও যদি কিঞ্চিৎ শখ অবশিষ্ট
থাকে তবে একটু কষ্ট করে এই খন্ডের লেখাটা এক
নিমিষে পড়ে নিন।ভালো দিকগুলোও
কিছুটা শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নিন,কেমন?
১)সামাজিক নিরাপত্তাঃ আপনি পুলিশে যোগদান
করার পর দেখবেন আপনার সব আত্মীয়/বন্ধু/
পরিচিতদের ভেতরেই একটা অন্যরকম আত্মবিশ্বাস
কাজ করছে।আমাদের সমাজে দুষ্টলোকের অভাব
নেই।এই দুষ্টলোকের দল
যদি জানে যে আপনি পুলিশ,আপনার
সাথে ঝামেলা করার আগে দশবার ভাববে।
বাংলাদেশের মত দেশে আমার মনে হয়
এটি একটি বিশাল সুবিধা।আশা করি এমন দিন
আসবে যেদিন নিরাপত্তার জন্যে কারো পুলিশ
আত্মীয় থাকা লাগবেনা,প্রতিটি মানুষই পুলিশের
কাছে যথাযথ নিরাপত্তা পাবে।কিন্তু যতদিন
এটি না হচ্ছে,আপনার পুলিশ হওয়া আপনার
গোটা পরিবারের জন্যে, আত্নীয়দের জন্যে, বন্ধুদের
জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ।
(বিঃদ্রঃ ইহা খুব-ই সত্য যে- আপনার কাছ
থেকে আপনার আত্নীয়/বন্ধু/
পরিচিতজনেরা ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট
যেভাবেই উপকার পেয়ে/নিয়ে থাকুক না কেন ,
এরপর আর আপনাকে তাদের প্রয়োজন নাই বা পান
থেকে চুন খসলেই দেখবেন এরাই পুলিশের
চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করবে, পুলিশের বদনাম
করবে বা যেকোন সময় ফুঁ দিয়ে পুলিশের
চাকরি খাওয়ার মতো ক্ষমতা আছে বলে দম্ভ
দেখাবে- যা আপনাকে মেনে নেয়ার
মতো মানসিকতা তৈরী রাখতে হবে ।)
২)আর্থিক নিরাপত্তাঃ আমার পুলিশে যোগদানের
পেছনে এটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ
করেছে,যে কারণে আমি পেশা হিসেবে পুলিশ পছন্দ
করেছিলাম।কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে পরীক্ষায় পাশ
করে ইউএন মিশনে যাওয়া সম্ভব।ইউএন মিশন
দুপ্রকারঃ ফর্মড পুলিশ ইউনিট(এফপিইউ)
এবং সিভিলিয়ান পুলিশ(সিভপোল)।এফপিইউ
মিশনে গেলে এক বৎসরে আপনি আয় করবেন ২০ লক্ষ
টাকা,আর সিভপোলে গেলে এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০
লক্ষ টাকা।মোটামুটি তিনটি মিশন করার সুযোগ
সবাই পায়-এবার হিসেব করুন সম্পূর্ণ হালাল
উপায়ে কত টাকা আপনি উপার্জন করতে পারছেন।
এক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য সংযোজন
করা যেতে পারে,বাংলাদেশের ডিফেন্স
সার্ভিসের(আর্মি,নেভী,এয়ারফোর্স) সদস্যদের
ক্ষেত্রেও মিশন থেকে আয় এতটা নয়।বাংলাদেশের
সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন পেশার যে বেতন
কাঠামো তাতে পরিবার নিয়ে সম্পূর্ণ
স্বাচ্ছন্দে চলা খুবই কঠিন।যে কয়টি পেশা এর
ব্যতিক্রম,এর মধ্যে পুলিশ সর্বপ্রথমে আসবে।
সৎভাবে এত অল্প সময়ে এই পরিমাণ অর্থ উপার্জনের
সুযোগ একমাত্র পুলিশেই রয়েছে।মিশন ছাড়াও
পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যোগ্যতা অনুযায়ী ইউএন এর
বিভিন্ন উচ্চপদে নিয়োজিত হন-
সেক্ষেত্রে বেতনটা প্রায় অবিশ্বাস্য
পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে।এছাড়া আপনি ও আপনার
পরিবার স্বল্প টাকার বিনিময়ে রেশন
সুবিধা পাবেন,ঝুঁকি ভাতা পাবেন, মহার্ঘ
ভাতা পাবেন, ঈদ বা পূজায় পাবেন বোনাস,
চিকিৎসা সুবিধা পাবেন, কল্যাণ ফান্ড
থেকে আর্থিক সুবিধা পাবেন ।সর্বোপরি বর্তমান
বেতন কাঠামোতে আপনি যে বেতন-ভাতা পাবেন
তা নেহায়েত মন্দ নয় ।
৩)অবকাঠামোগত সুযোগ
সুবিধাঃ আপনি যদি বি.সি.এস পুলিশ
হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন তবে প্রশিক্ষণ শেষ
হবার সাথে সাথেই বরাদ্দ
হিসেবে বাড়ী,গাড়ী,ড্রাইভার,বডিগার্ড
ইত্যাদি পেয়ে যাবেন যদি কোন সার্কেল
বা জোনে পোস্টিং পান।এছাড়া অন্যান্য
যে জায়গাতেই পোস্টিং হোক
না কেন,থাকা এবং যাতায়াতের
সুবিধা তাঁকে সরকারীভাবে প্রদান করা হয়।
চাকুরির শুরু থেকেই এরকম অবকাঠামোগত সুযোগ
সুবিধা পুলিশ ক্যাডারের একটি অন্যতম ভালো দিক।
যদিওবা অন্য নীচের র্যাঙ্কের পুলিশ সদস্যরা এরকম
অবকাঠামোগত সুবিধাদি পান না ।
৪)বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং ভ্রমনঃ পুলিশ ক্যাডারের
সদস্যরাসহ নির্বাচিত অন্যান্য র্যাঙ্কের
সদস্যরা আমেরিকার এফবিআই,ইতালির
কারাবিনিয়ারি,ইংল্যান্ডের স্কটল্যান্ড
ইয়ার্ড,মালয়েশিয়ার রয়াল পুলিশসহ পৃথিবীর
মোটামুটি অধিকাংশ উন্নত দেশের আইন-
শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ
পেয়ে থাকেন।চাকুরির সুবাদে প্রায়
প্রতিটি সিনিয়র অফিসারই বিশ্বের প্রধান প্রধান
দেশগুলো ভ্রমন করেন।ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত
এফবিআই একাডেমীর সরাসরি গ্র্যাজুয়েট হবার
সুযোগ বাংলাদেশ পুলিশ ক্যাডারের একটি অত্যন্ত
আকর্ষনীয় দিক।নিম্নপদের পুলিশ সদস্যরা দেশে ও
কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে গিয়ে নানারকম বিশেষজ্ঞ
প্রশিক্ষন পেয়ে থাকেন ।
৫)উচ্চতর পড়াশোনার সুযোগঃ পুলিশ
ক্যাডারে নির্বাচিত হবার পর সারদায় এক বৎসর
প্রশিক্ষণ শেষে আপনি বেসিক
ট্রেনিং সার্টিফিকেটের
পাশাপাশি আরেকটি সার্টিফিকেট
পাবেনঃরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে মাস্টার অফ পুলিশ সায়েন্স ডিগ্রির
সার্টিফিকেট।কাজেই,আপনি যে বিষয়েই
মাস্টার্স করুন না কেন এই ডিগ্রিটি আপনার
ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক চাকুরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে এই
ডিগ্রিটি আপনার বেশ কাজে আসবে।
এছাড়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য
হিসেবে আপনি বিশ্বের যে কোন
দেশে মাস্টার্সের জন্যে যোগ্যতার
ভিত্তিতে স্কলারশিপ পাবেন।বিশেষ
করে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড
এবং আমেরিকার বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আপনি পড়তে চান, সে পথ
আপনার জন্যে খুবই সুগম।আপনি যদি এমনকি পাঁচ
বছরের ছুটি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন
করতে চান সেই সুযোগও আপনাকে পুলিশ বিভাগ
করে দেবে।বর্তমানে পুলিশিংকে ধরা হয়
একটি আন্তর্জাতিক পেশা হিসেবে,এ
কারণে বাইরে পড়াশোনা করাটাকে এ
বিভাগে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়।“পুলিশ
হওয়া মানেই পড়াশোনার ইতি ঘটা”- প্রচলিত এই
ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
৬)মেয়েদের অগ্রাধিকারঃ পুলিশ
সার্ভিসে মেয়েদের বেশ কিছু
ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে।
যেমনঃইউএন মিশনগুলোতে নারী অফিসাররা পুরুষ
অফিসারদের চাইতে আগে ও একাধিকবার যাওয়ার
সুযোগ পেয়ে থাকেন।পোস্টিং-এর ক্ষেত্রেও
নারী পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের সুবিধা-
অসুবিধার কথা বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধার
ক্ষেত্রে নারী অফিসার ও ফোর্সদেরকে প্রাধান্য
দেয়া হয়।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী পুলিশ
অফিসারদের জন্যে প্রচুর ঈর্ষনীয়
চাকুরি রয়েছে যেগুলো তাঁরা অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে পেয়ে থাকেন।
৭)আন্তঃবাহিনী পর্যায়ে কাজ করার
সুযোগঃ সম্মিলিত বাহিনী'র মিলিত স্পেশাল
সিকিউরিটি ফোর্স(SSF)-এ বিশেষ
নিরাপত্তা বাহিনীতে পুলিশ
অফিসাররা প্রতিরক্ষা অফিসারদের
সাথে একত্রে কাজ করতে পারেন। এবং এই বৎসর
জুলাই মাসে গঠিত পুলিশের নিজস্ব এস.পি.বি.এন
( স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন
ব্যাটালিয়ন) ভিভিআইপিদের (প্রেসিডেন্ট
এবং প্রধানমন্ত্রী)নিরাপত্তার জন্য
বিশেষভাবে গঠিত।পুলিশের নবগঠিত এই ইউনিট
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও
ভিভিআইপি সদস্যরা যখন দেশের বিভিন্ন
স্থানে যাবেন তখন এসপিবিএন সদস্যরা তাদের
নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন।
এছাড়া বিদেশ থেকে আসা ভিভিআইপিদের
নিরাপত্তাও দেবে এ বিশেষ ইউনিট। এজন্য
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ
ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব
পালনে তাদের যোগ্য ও দক্ষ
হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই ইউনিটের
সদস্যরা ভিভিআইপিদের সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন
অনুষ্ঠানের আশপাশের এলাকায় সড়ক ও ভবনগুলোর
নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
একইসঙ্গে তারা নাশকতামূলক গোপনীয় তথ্য
উদ্ধারেও কাজ করবে। বর্তমানে পুলিশের বিশেষ
ইউনিট এসপিবিএন অস্থায়ীভাবে উত্তরা এপিবিএন
সদর দফতর থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর
ফলে একদিকে যেমন তাঁদের পেশাগত
দক্ষতা বৃদ্ধি পায়,অন্যদিকে তাঁরা এই এলিট
বাহিনীর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ
করতে পারেন।এছাড়া অনেকেই জানেন
না যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(RAB)
একটি পুলিশ ইউনিট যার প্রধান এডিশনাল
আইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ অফিসার।এখানেও
পুলিশ অফিসার ও
ফোর্সরা আন্তঃবাহিনী পর্যায়ে কাজের সুযোগ
পেয়ে থাকেন।
৮)পদোন্নতি এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতঃ কিছুদিন আগেই
মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী এএসপি থেকে আইজি পদমর্যাদার
৬৭৩টি নতুন পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন যা খুব
শিঘ্রি কার্যকর হবার পথে রয়েছে।এছাড়া “পুলিশ
ন্যাশনাল ব্যুরো ফর কাউন্টার টেররিজম”,”পুলিশ
ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন” ইত্যাদি নতুন নতুন পুলিশ
ইউনিটও সৃষ্টি হবার পথে।আইজি পদমর্যাদার
দশটি পদ সৃষ্টি হওয়া,লেফটেন্যান্ট জেনারেলের
পদমর্যাদার “চিফ অফ পুলিশ” পদ সৃষ্টি-এগুলোও
বর্তমানে সময়ের ব্যাপার মাত্র।এছাড়া মেরীন
পুলিশ, সী-বীচ পুলিশ সহ আরো অনেক নতুন নতুন
ইউনিট গঠিত হয়েছে ও হচ্ছে ; এর ফলে পুলিশের
জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশের পদোন্নতি খুব
দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়েছে ও হচ্ছে।বাংলাদেশের
পুলিশের জনবল প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই
অপ্রতুল,তাই সরকার এই সার্ভিসের প্রসারণ
এবং উন্নতিতে বদ্ধপরিকর।এ কারণে পুলিশ সার্ভিস
ক্যারিয়ার হিসেবে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি পথ।
৯)বৈচিত্রময় কাজের সুযোগঃ মূলধারার
পুলিশিং যদি আপনার
ভালো না লাগে সেক্ষেত্রে পুলিশে বিভিন্ন
বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে যেখানে আপনি কাজ
করতে পারবেন।যেমনঃডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ,স্পেশাল
ব্রাঞ্চ,সিআইডি ইত্যাদি।পুলিশের বিশেষায়িত
কমান্ডো ইউনিট সোয়াট(SWAT-Special Weapond
And Tactics), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন(সেনা
বাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি ইউনিটের
আদলে গড়ে তোলা বিশেষ পুলিশ
বাহিনী),রেলওয়ে পুলিশ,টুরিজম পুলিশ
প্রভৃতি বিচিত্র ধরণের পুলিশ ইউনিটে কাজ করার
সুযোগ আপনাকে একঘেয়েমি থেকে রক্ষা করবে ও
এনে দিবে বৈচিত্র।
১০) অবাধ বিচরণঃ একজন পুলিশ অফিসার
হিসেবে বস্তি থেকে রাজপ্রাসাদ- সব জায়গায়
আপনার অবাধ বিচরণের সুযোগ রয়েছে। আপনার উপর
যে ক্ষমতা ন্যস্ত
করা হয়েছে তা দিয়ে আপনি সমাজের তৃণমূল
থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ নাগরিক-সবারই
সরাসরি উপকার করতে পারবেন।আপনার সৎকর্মের
সুফল দেশের জনগন তাৎক্ষণিকভাবে পাবে-
যা আপনাকে অপরিসীম মানসিক তৃপ্তি এবং সম্মান
এনে দেবে।
১১) গৌরবময় ঐতিহ্যঃ ১৯৭১ সালের মহান
মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়
রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে।মুক্তিযুদ্ধে প্রায়
সতের হাজার পুলিশ অফিসার বীরত্বের সাথে যুদ্ধ
করেন।যুদ্ধের সময় থানার যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র পুলিশ
সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের কাজে ব্যবহার করেন-
যা মুক্তিযুদ্ধের গতিকে দারুণভাবে ত্বরান্বিত
করেছিলো।প্রায় ১২০০ পুলিশ সদস্য মহান
মুক্তিসংগ্রামে শহীদ হন।পুলিশ বাহিনীর
আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে এবছর বাংলাদেশ
সরকার এ বাহিনীকে “স্বাধীনতা পদকে” ভূষিত
করেছে।
# দেশের ভেতরে পুলিশদের নানান সীমাবদ্ধতার
মধ্যে কাজ করতে হয় এ কারণে হয়তো সব সময়
জনগণের প্রত্যাশিত মানের
সেবা আমরা দিতে পারিনা।
আপনারা হয়তো অনেকেই এটি জানলে অবাক হবেন
যে ইউএন পুলিশে সারা বিশ্বের
মধ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যাক সদস্য কাজ
করেন।বাংলাদেশ পুলিশের পেশাগত
দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্যে প্রভূত
সম্মান বয়ে এনেছে।সেই পুলিশ যাদেরকে দেশের
অনেকেই আমাদের সীমাবদ্ধতার
কথা জানে না বলেই"খুব খারাপ" বলে ও জানে।
উপসংহারঃ দেশের মাটিতে আড়াইশ বছরের
ঔপনিবেশিক প্রথার উপস্থিতি এবং নানাবিধ
সীমাবদ্ধতার কারণে পুলিশ কোন কোন
ক্ষেত্রে আশানুরূপ দক্ষতা প্রদর্শনে সক্ষম হচ্ছেনা।
পুলিশের ভূমিকাও বিভিন্ন
কারণে হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ।যদিও পুলিশ বাহিনী আজ
অনেক আধুনিক,শিক্ষিত ও সভ্য বলে আমরা গর্ববোধ
করতে পারছি;কারন আজ পুলিশে কেউ-ই
এস.এস.সি পাশের নীচে নিয়োগ পাচ্ছে না।
তাইতো পুলিশ আজ 'পেটোয়া' বাহিনী না,
'সেবাধর্মী' প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয়
দিতে পারছে।বাংলাদেশের একজন সচেতন ও
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে পুলিশ বাহিনীর এই
সীমাবদ্ধতাগুলো দূরীভূত করবার দায়িত্ব আপনার
কাঁধেও বর্তায়। কাজেই,অন্ধভাবে বিষোদগার
না করে এই বাহিনীতে যোগদান করুন।এই পুলিশ
বাহিনী আপনার-ই বাহিনী,এর কোনকিছু অপছন্দ
হলে তার পরিবর্তন আপনিই আনতে পারবেন।পুলিশ
সার্ভিসে আপনার আগমন ও আসার বাসনা স্বার্থক
হোক।
......সংগৃহীত ও সংকলিত......
ধন্যবাদান্তেঃ সিনিয়র এ.সি.পি মাশরূফ স্যার,
আপনাকে ।।