এই লেখার মাধ্যমে কাউকে জুয়া খেলায় উৎসাহিত করা হচ্ছে না, বরং জুয়া কিভাবে বিরক্তিকর একটি খেলায় পরিণত হতে পারে তার দৃষ্টান্ত আঁকার চেষ্টা করা হচ্ছে।)
-----------------------------------------------------------------------------
চিৎ কাত থেকে ব্লাইন্ড নামক সর্বনাশা এক জুয়ায় আমি বাধা পড়ে গেছি। ট্রয়-রানিং-রান আমাকে টানছে। বিকেল নাগাদ কী এক আকর্ষণে সোহেলের রুমের দিকে রওনা হই। আজ পকেটে বেশ কিছু টাকা নিয়ে বের হয়েছি। গতকালের লাভের টাকাটা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি। সকাল বেলায়ই ক্যাম্পাসে চাউর হয়ে গিয়েছে যে আমি থ্রি কার্ড খেলে বেশ টাকা জিতেছি। সবাই মিলে ধরেছে খাওয়ানোর জন্য। আমিও উদার হস্তে সবাইকে খাইয়ে দিলাম। এই টাকার উপর আমার কোনো মায়া জন্মায় নি। কারণ এটি তো আমার কষ্টে উপার্জিত টাকা না।
সোহেলের রুমে পৌঁছে দেখি ওরা চারজন বসে বসে চিৎকাত খেলছে। আমার উপস্থিতিতে একযোগে সবাই স্বাগত জানায়। মনে হলো এতক্ষণ আমার অপেক্ষাতেই ছিল সবাই। আমি বসা মাত্রই খেলা শুরু হয়ে যায়। থ্রি কার্ড খেলার সমস্ত নিয়ম-কানুন এখন আমার নখদর্পণে। আজ পকেটের স্বাস্থ্য ভালো। তাই মনটাও ফুরফুরে। সোহেল অফার দিল বোর্ড ৫ টাকা থাকবে। হিট ওভার হিট ১ টাকা ২ টাকাই থাকবে। আমিও আর আপত্তি করলাম না। খেলা চলছে। অনেক বড় বড় রিস্ক নিচ্ছি। ঘন্টাখানেক পার হয়ে গেছে কোন দিক দিয়ে খেয়াল করি নি। শীতের সন্ধ্যায় আমি ঘামছি। আমার পকেট ক্রমশ ফাঁকা হয়ে আসছে। কোনো দান পাচ্ছি না। রানিং, রান, কালার- এ জাতীয় বড় বড় কার্ড পাচ্ছি কিন্তু অবাক হয়ে যাই যখন দেখি শো এর পর ওদের মধ্য থেকে কেউ না কেউ আমার চেয়ে বড় কার্ড শো করছে।
আমার ভাবনায় আসে ওরা আজ আমার পকেট ফাঁকা করার জন্য যুক্তি করে খেলছে। ওরা নিশ্চয়ই চুরি করছে। আমি একা আর ওরা তিনজন। নবীশ খেলোয়ার আমি। তাদের চুরি করার পদ্ধতি টা বুঝতে পারছি না। খেলা হচ্ছে চুপচাপ। যখনই আমার হাতে কোনো বড় কার্ড পড়ে কিভাবে যেনো বুঝে যায় ওরা। ওদের হাতে বড় কার্ড থাকলেও সাইড দেখে একে একে সবাই বসে পড়ে। আবার ওদের কারো হাতে যখন বড় কার্ড থাকে তখন সিস্টেমটা ভিন্ন হয়ে যায়। একজন ব্লাইন্ডে থেকে বাধ্যতামূলক তিনবার ঝুল দেয়। এতে্আমার বেশ টাকা গচ্চা যায়। শো করার পর দেখা যায় আমি সেকেন্ড হয়েছি। জুয়া খেলায় সেকেন্ড ব্যাক্তি থাকে সবচেয়ে কপাল পোড়া। আমি বুঝতে পারছি ওরা সুক্ষ্ম বা স্থুলভাবে কোনো চুরি করছে কিন্তু বিষয়টা ধরতে পারছি না। নতুন কার্ডে খেলা হচ্ছে। কার্ড গুণি। নাহ্, বায়ান্ন কার্ড ঠিকই আছে। ওদের কৌশল ধরতে না ধরতেই আমার পকেট থেকে তিনশ টাকা বেরিয়ে গেল।
ফতুর হয়ে খেলা ছেড়ে চলে আসলাম। গতকাল জিতেছিলাম একশ টাকা আর আজ হেরেছি তিনশ টাকা। এই হারটাই আমার মনে জেদ চাপিয়ে দেয়। কাল আবার দেখা যাবে। তারপরদিন আবার সেই আড্ডায় যাই। আবারও হারি। তারপরদিনও যাই। আবারও হারি। প্রতিনিয়তই হারি আর প্রচণ্ড এক নেশা এবং জেদ নিয়ে তার পরের দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এই কয়েকদিনে আমার মধ্যে একটা ঘোরের জন্ম নিয়েছে। প্রায় হাজারখানেক টাকা হেরেছি। নভেম্বর মাসের শেষ দিক। বন্ধু বান্ধব থেকে ধার নিয়ে চলছি আর খেলছি। জুয়ার নেশাটা একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে আমাকে বেধে ফেলেছে।
একদিন খেলতে খেলতে ওদের চুরি করাটা ধরে ফেললাম। ঘরোয়া পরিবেশে ওরা সবাই লুঙি পড়ে খেলতো। একমাত্র আমিই প্যান্ট পড়া। লুঙির কোচরে টাকা রাখতো সবাই। কার্ড বাটার কোনো এক ফাঁকে একটি কার্ড সরিয়ে লুঙিতে রেখে দিত। আমার মনোযোগ যখন আমার হাতের কার্ডে থাকত তখনই সুযোগ বুঝে সেই কার্ড মিলিয়ে বড় কার্ড বানিয়ে ফেলত। আরও অনেকভাবেই তারা কার্ডে চুরি করত। কার্ড শাফলিং করার সময় কি এক কৌশলে কার্ডে ভাঁজ দিত। অনেক সময় বড় বড় কার্ডগুলোতে খুব সুক্ষ্মভাবে কলম দিয়ে চিহ্ন দিয়ে রাখতো। এই চিহ্নগুলো একমাত্র ওরাই বুঝতো, আমি ঘুণাক্ষরেও টের পেতাম না। এগুলো পরে শুনেছি। নবীশ খেলোয়ার হিসেবে আমি এগুলো কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু ওদের এই প্রতারণার প্রতিবাদ স্বরূপ আমি জীবনেও আর ওদের সাথে মিশবো না প্রতিজ্ঞা করে চলে আসলাম।
চবি ক্যাম্পাসে শুধু সোহেলের রুমেই যে এ খেলা চলতো তা নয়। আরও অনেক আড্ডার জায়গা ছিল গোপনে। শাহ আমানত, শাহজালাল, এফ রহমান, ফরেস্ট্রি, শিক্ষকদের আবাসিক ক্যাম্পাস অনেক জায়গাতেই এই আড্ডা চলতো। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন কটেজগুলোতেও হরদম এই আড্ডা চলতো। একেকদিন একেক আড্ডায় চলে যেতাম। সিনিয়র জুনিয়র অনেকেই মিলে এই আড্ডা চলতো। অনেক সময় আট দশজনও হয়ে যেতো খেলায়। নতুন আড্ডায় আগে থেকেই নিয়মকানুন গুলো বলে দেওয়া হতো। কেউ চুরি করে ধরা পড়লে কি শাস্তি সেটা সবাই মিলে ঠিক করে নিতাম। এভাবে অনেকটা পরিচ্ছন্নতা ফিরে আসলো। ভাগ্যের সহায়তায় কোনো দিন জিতি কোনো দিন হারি। এভাবেই দিনুগলো কাটছিল। সামনে অনার্স পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। নাহ্ এবার বাদ দিতে হয়। কঠিন এক প্রতিজ্ঞা নিয়ে খেলাটা বাদ দিলাম। ভালো এক রেজাল্ট নিয়েই অনার্স পাস করলাম।
অনার্স শেষে মাস্টার্সে উঠেছি। ক্যাম্পাসে ছাত্র শিবিরের আধিপত্য বিস্তারের প্রভাবে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা। রাজনৈতিক মারামারির কারণে প্রতিপক্ষ ছাত্রশিবিরের হাতে ছাত্রদলের একজনের মৃত্যু। ক্যাম্পাস স্থবির। ছাত্র ধর্মঘটের কারণে ক্লাশ বন্ধ। ভার্সিটির অলস দিনগুলো অসহনীয় ঠেকছে। সময় কাটতে চায় না কিছুতেই। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক বন্ধু- বান্ধবী জুটিয়ে চুটিয়ে প্রেম করছে আর সময় কাটাচ্ছে। পাহাড় জঙ্গল পরিবেষ্টিত চবি ক্যাম্পাসে বিনোদনের আর কোনো উপায়ও নেই। আবারও সেই তিন কার্ডের মায়ার বন্ধনে পড়ে গেলাম। তবে এবারের পড়াটা ছিল আমার মাইন্ড গেম।
এখানে বলে রাখা ভালো, কার্ড নিয়ে আমার এই মাইন্ড গেমটা সম্পূর্ণ আমার আবিষ্কৃত। অনার্সে বিজনেস ম্যাথ সাবজেক্টে একটা অধ্যায় ছিল প্রবাবিলিটি বা সম্ভাব্যতা। ইন্টারে হায়ার ম্যাথ করতে গিয়ে এই অধ্যায়ের সাথে পরিচিতি ঘটেছিল। কিন্তু অনার্সে এটা ভালোভাবে রপ্ত করেছিলাম। আমি জুয়া খেলায় যখন এই এই প্রবাবিলিটি পদ্ধতিটা আরোপ করলাম এক ভয়াবহ সফলতা আমার ভাগ্যাকাশে ধরা দিল। একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই-
পাঁচজন খেলতে বসেছি। সবাইকে তিনটি করে কার্ড বেটে দেওয়া হয়েছে। সবাই তিন দান করে ব্লাইন্ড মেরেছে। ততদিনে অবশ্য আমাদের খেলাটা এক দুই টাকার পরিবর্তে পাঁচ দশ টাকায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ ব্লাইন্ড পাঁচ টাকা এবং সিনে দশ টাকা। কেউ যখন সিনে তিন কার্ড দেখে ফেলে, কার্ড বড় মনে হলে সে সিনে দশ টাকা বোর্ডে ফেলে। আর যদি খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো মনে না হয় তখন বসে যায়। যখন আমার সিন হওয়ার সময় আসে আমি কার্ড তিনটিকে ভাঁজ করে খুব সন্তর্পণে প্রথম এবং দ্বিতীয় কার্ডটি দেখি। প্রথম দুটি কার্ডের মধ্যে যদি সিকুয়েন্স (ক্রম)থাকে তাহলে আমি আর তৃতীয় কার্ডটি দেখি না। আমি নির্লিপ্ত ভাবে বোর্ডে দশ টাকা করে দিয়ে যেতে থাকি। প্রতিপক্ষ ভাবে আমি বোধহয় প্রথম দুই কার্ডে জোড়া নিয়ে খেলছি। কারণ তারা লক্ষ্য করেছে যে আমি মাত্র দুই কার্ড দেখেই খেলছি। এভাবে আমি তাদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দেই।
আমার মাইন্ড গেমটা এখানেই। ধরা যাক, আমি প্রথম কার্ড দুটো দেখলাম ইস্কাবনের আট এবং নয়। প্রবাবিলিটি প্রক্রিয়ায় এই কার্ড দুটো তেমন কিছুই না যদি তৃতীয় কার্ডটি ইস্কাবনের সাত অথবা দশ না হয়। আমি জানি না তৃতীয় কার্ডটি কি। কিন্তু আমি প্রবল মানসিক শক্তি নিয়ে খেলে যেতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমার এই মাইন্ড গেমের কাছে পরাজিত হয়ে অনেক সময় ছোটখাট কার্ড যেমন টেক্কা এবং সাহেব টপ বা জোড়া নিয়ে বসে যায়। সম্ভাব্যতার নিয়ম অনুযায়ী আমার হাতে প্রায় ২৩টি অপশন থাকার কথা।
আরেকটু ভালো ভাবে বুঝাই-
এক সেট কার্ডে ইস্কাবনের কার্ড থাকে সর্বমোট ১৩ টি। আমার হাতে আছে ২ টি। তাহলে বাকি থাকে ১১ টি। অর্থাৎ তৃতীয় কার্ডটি ইস্কাবন হওয়ার সম্ভাবনা ১১। তৃতীয় কার্ডটি ইস্কাবনের সাত অথবা দশ হলে আমি একটি রানিং নিয়ে খেলছি-যদিও আমি জানিনা। আর যদি সাত অথবা দশ না হয়ে ইস্কাবনের অন্য কোনো কার্ডও হয় তাহলে আমার হাতে আছে কালার বা ফ্ল্যাশ। এছাড়াও রুহিতন, হরতন, চিরতনের সাত এবং দশ আছে মোট ৬ টি। তৃতীয় কার্ডটি এগুলোর যে কোনো একটি হলেও আমার হাতের তিনটি কার্ড মিলে রান হয়ে যায়। অর্থাৎ এখানে আরও ৬ টি সম্ভাবনা আছে। তাহলে প্রথম ১১ টি এবং পরবর্তী ৬ টি মিলে মোট সম্ভাবনা ১৭। আচ্ছা যদি এর কিছুই না হয় রুহিতন, হরতন এবং চিরতনের আট এবং নয় আছে আরও ৬ টি। এই ছয়টির যে কোনো একটি পড়লে আমার হাতে কমপক্ষে আট অথবা নয় এর জোড়া পড়বে। তাহলে এখানে সম্ভাবনা আরও ৬টি। অর্থাৎ সর্বমোট ২৩ টি সম্ভাবনা নিয়ে আমি মাইন্ড গেম খেলছি।
প্রতিপক্ষ বুঝতে পারছে না আমার মনোভাব। প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে আমি খেলে যাচ্ছি। আমার এই মানসিক শক্তি কোথা থেকে জাগ্রত হয়েছে তা আমি জানি না। আমি শুধু জানি এই ২৩ টি সম্ভাবনার কোনো একটি অবশ্যই আমার কার্ডকে শক্তিশালী করে দেবে। প্রতিপক্ষের সর্বশেষ ব্যক্তি কেউ যখন শো করে তখন আমাকে তৃতীয় কার্ড দেখতেই হয়। আমি শেষ কার্ডটিকে প্রথম দুই কার্ডের মাঝখানে এনে প্রবল মানসিক শক্তি নিয়ে আস্তে আস্তে দেখতে থাকি। হ্যাঁ হ্যাঁ, ওইতো! ইস্কাবনের পানপাতার লোগোটার কিয়দংশ দেখা যাচ্ছে। আমার হার্টবিট বাড়তে থাকে। মানসিক টান টান উত্তেজনায় আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি এটি ইস্কাবনের কোনো একটি কার্ড। তারমানে এটি নিশ্চিত কালার। আর্টিস্টিকভাবে পুরোটা দেখি...ই্য়াহু...এটি ইস্কাবনের সাত অথবা দশ...আমার হাতে ইস্কাবনের রানিং...মাইন্ড গেমে এরকম ঘটনা আমার ক্ষেত্রে প্রায়শঃই ঘটতো। অবশ্য সিকুয়েন্স না থাকলে তিন কার্ড দেখেই খেলতাম। বড় কার্ড না পড়লে খেলা ছেড়ে দিতাম।
আমি অনেকভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি আমার এই মাইন্ড গেম নিয়ে। এই খেলায় একসময় দুই কার্ড দেখে খেলা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে নানা ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে আমি আসলেই দুই কার্ড দেখে খেলি কিনা। এমনও হয়েছে আমার এই দুই কার্ড দেখে খেলার কৌশলে বিভ্রান্ত হয়ে অনেকে ভুয়া কার্ড নিয়ে এসে অযথা বোর্ডে টাকা ঢেলে গিয়েছে আমার শেষ দেখার জন্য। অনেক সময় মানসিক পরীক্ষায় টিকতে না পেরে বড় কার্ড নিয়েও ছেড়ে দিয়েছে খেলা। এমনও হয়েছে প্রতিপক্ষের খেলা ছেড়ে দেওয়ার কারণে শুধু আট টপ দিয়েই পুরো বোর্ড পেয়েছি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর কার্ড দেখানোর নেয়ম নেই তাই আমিও বিষয়টি চেপে গিয়েছি। আবার অনেক সময় পীড়াপীড়িতে ভাগ্যে ওঠা বড় কার্ড দেখিয়ে তাদের ভড়কে দিয়েছি।
এই খেলায় অনেক ধরনের প্রতারণামূলক কৌশল নেওয়া যায়। প্রফেশনাল অনেক জুয়ারী আছে যারা এই প্রতারণার আশ্রয় নেয়। কার্ড শাফলিং এ এই প্রতারণা অনেকটা হয়। কিন্তু আমি কখনো প্রতারণা করে খেলিনি। আমার এই মাইন্ড গেম নিয়ে মজার মজার অনেক স্মৃতি আছে। এমনও হয়েছে জিতার কারণেও বাধ্য হয়ে আমাকে খেলতে হয়েছে হেরে যাওয়াদের মন রক্ষার্থে। এই খেলা ছেড়ে দেওয়ার আগে আমার স্মৃতিতে আসছে না কবে আমি হেরেছিলাম। আজ আমি প্রকৃত অর্থেই খেলাটি ছেড়ে দিয়েছি কেননা এতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়।
পাদটীকাঃ আমার এই মাইন্ড গেমের কৌশল যে অন্য কারো ক্ষেত্রে কাজে লাগবে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ রইলো প্রবল মানসিক শক্তির অধিকারী না হলে এই কৌশলে না খেলাই ভালো। আর একেবারে ছেড়ে দেওয়া আরও ভালো। কারণ দুনিয়াতে আরও অনেক ভালো ভালো কাজ আছে যেগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রবল মানসিক শক্তি খুবই দরকার।
আগের পোস্ট চিৎকাত, ব্লাইন্ড এবং মাইন্ড গেম
সমাপ্ত