ঘরে সামনে তাবলিগ জামাতের কয়েকজন মুরুব্বী, আমি দরজায় দাড়িয়ে, কথা হয়। তাহাদের সাথে আছরের নামাজে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। তাহাদেরকে বললাম, কাজ আছে, এজন্য যেতে পারবো না। পরে জেনেছি বা বুঝেছি, কাজের দোহাই দিয়ে তাহাদের সাথে না যাওয়াটা ঠিক হয় নাই, এর জন্য আমার গুনা হবে। পক্ষান্তরে আগত মুরিব্বীদের নেকির কোন ঘাটতি হবে না।
দ্বিতীয়বার, তিন চার জন পঁচিশ তিশ বয়সী যুবক আসলেন, অনুরোধ করলেন তাদের সাথে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে। তাদেরকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনারা কি তাবলিগ জামাতের লোক? তারা বললো, হ্যা। তাহাদের সাথে রাগারাগী করলাম। তাহারা চলে যাবার পর অনুতপ্ত হলাম, নিজের অন্যায় ব্যবহারের জন্য।
তৃতীয়বার, তাবলিগ জামাতের কয়েক জন দেশি বিদেশী মুরুব্বী আসলেন, এশার নামাজের পর কিছু আলোচনা হবে এবং তাদের সাথে খাওয়ার আমন্ত্রণ করলেন। আমন্ত্রণ গ্রহন করলাম, যাব বলে যাই নাই।
তাবলীগ জামাতের মানুষ তো এক প্রকার নিরব প্রানী, তাহারা অন্যায়ের বিরুদ্ধ প্রতিবাদ করে না, রাজনীতিতে নাক গলায় না, তাহারা সবার কাছে ভাল, তাহাদের কোন শত্রু নাই, তাহারা শুধু দ্বীনের একটা অংশ প্রচার করে।
এত ভাল একটা ইসলামিক সংগঠন, সৌদী সরকার কেন বিদাতি এবং সন্ত্রাসবাদের দরজা বলে নিষিদ্ধ করলো?
ইসলামী জ্ঞান আমার খুব অল্প। এই অল্প জ্ঞান দিয়ে তাবলিগ জামাতের মত একটা বিশাল সংগঠনের আলোচন সমালোচনা করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।
তবে তাহাদের কিতাব ফাজায়েল আমল পড়ে যেটা মনে হয়েছে, কোন মুসলিম ফাজায়েল আমলের উপর ঈমান আনতে পারে না বা বিশ্বাস করতে পারে না। যার মধ্যে আছে মিথ্যা বানোয়াট আমলের নসিহত।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১