নফসঃ নিজের অনুসন্ধান -২
মাহি শশুর বাড়ীতে সুখে ছিল। স্বামীকে সাথে নিয়ে বাপের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। একদিন বাপের বাড়ীর কাছের দোকানের সামন দিয়ে স্বামীর সাথে চলে যায়।
দোকানে বসা ছিল হাসান (ছব্দনাম)। কিছুক্ষন পর মুরাদের সাথে হাসানের দেখা হয়।
হাসান মুরাদকে বলে, দুস্ত তোর সেই মেয়েটাকে দেখেছি তার স্বামীর সাথে, শাড়ীতে কি দারুন লাগছিল দুস্ত, মুক্তা ঝরানো হাসি, তুই যদি এই দৃশ্য দেখতে দুস্ত, তুই বিষ খেয়ে মরে যেতে।
মুরাদের মুখটা কালো হয়ে যায়,গলা তার শুকিয়ে যায়, কাপাকাপা কন্ঠে বলে, কোন রংঙ্গের শাড়ি- রে?
হাসান উত্তর দেয়, নীল শাড়ী।
মুরাদ বিষন্ন, কোন কথা না বলে হাটতে থাকে। হাসান পিছন থেকে জিজ্ঞাস করে কোথায় যাচ্ছিছ?
মুরাদ বিড়বিড় করে কি যেন বলল, হাসান কিছুই বুঝতে পারে নাই।
মুরাদ বাজারে যায়, বিষ কিনে বাড়িতে আসে। পর দিন সাকালে ঘরের ভিতর মুরাদের মৃত দেহ পাওয়া যায়।
মুরাদ তার বন্ধুর কথা শুনার পর বিষ পানের সিদ্ধান্ত নেয়।
হাসানের প্রত্যকটা কথা মুরাদের বুকে বুলেটের মত আঘাত করে।
মুরাদ মাহিকে নিয়ে যে কল্পনা করেছিল, বাস্তবে তা দেখলো হাসানের চোখে, তবে নীল শাড়ী পড়া মাহির পাশে সে ছিল না, ছিল অন্যজন।
মুরাদ বাপের হোটেলে থাকে খায়, স্বপ্ন দেখত আকাশ জুড়া। মাহিকে নিয়ে সে সুখি হবে, আনন্দে দিন কাটাবে, বাস্তবে দেখলো মাহি সুখি তবে অন্য জনকে নিয়ে সুখ আনন্দ ভোগ করতেছে।
মুরাদের তা সহ্য হয় নাই, অর্থাৎ হিংসায় সে তার নফসকে কালো করে দিয়েছে।
সব কিছু মিলে সে জ্ঞান শুন্য হয়ে যায়, অর্থাৎ তার নফস একটা কালো পর্দায় ঢেকে যায়।
যেমন ক্যামেরার লেন্সকে যদি কালো কিছু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, তখন সব ছবি হবে ব্লাঙ্ক।
তদ্রূপ নসফকে কালো পর্দা দ্বারা ঢেকে দিলে, জ্ঞানের আলো প্রবেশ করতে পারে না।
অথবা নিজের হাত দিয়ে ক্যামেরার লেন্সকে ঢেকে দিলে আলো ঢুকতে পারবে না।
এই অবস্তায় যত ছবি তুলা হবে, সব হব বাজে, অর্থহীন।
ছবির মালিক কি করবে? বাজে বা ব্লাঙ্ক ছবি গুলা ডাস্টবিনে ফেলে দিবে।
তদ্রূপ নফসের মালিকের মালিক বাজে নফস গুলাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন। যাহাকে আমরা বলি জাহান্নাম।
এই জন্যই তো আমরা বলে থাকি, ‘আত্বহত্যা মহাপাপ’ !
—————————-অসমাপ্ত ————————-
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১