আমাদের নিকটে একজন যুবক কাশফওয়ালা বলিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছিল । সে নাকি বেহেশত ও দোজখ দেখিতে পাইত আমি উহাতে সন্দেহ করিতাম । একসময় ঐ যুবক আমার সহিত আহার করিতে বসিয়া হঠাৎ চিৎকার করিয়া উঠিল ও বলিল, আমার মা দোজখে জ্বলিতেছেন । তাহার অবস্থা আমি দেখিতে পাইতেছি । যুবকের অস্তিরতা দেখিয়া করতবী (রহ: ) বলেন, আমি মনে মনে সত্তর হাজার বার পড়ার একটা নেছাব ঐ যুবকের মায়ের জন্য বখশিশ করিয়া দিলাম; কিন্তু এক আল্লাহ ব্যতীত আমার এই আমলের কথা আর কাহারও জানা ছিল না । হঠাৎ যুবক বলিয়া উঠিল চাচা! আমার মা দোজখের আজাব হইতে নাজাত পাইয়া গেলেন । করতবী বলেন, কেচ্ছা দ্বারা আমার দুইটি বিষয়ে জ্ঞান লাভ হইল । প্রথমতঃ ৭০ হাজার বার কালেমা পড়ার বরকত দ্বিতীয়ত: ঐ যুবকের কাশফের সত্যতাও প্রমাণিত হইল ।
এই কিচ্ছার প্রিন্ট কপি আমার ফেইস বুকে প্রকাশ করলাম । স্ট্যাটাস এ লিখলাম :
ছোটবেলার শুনেছিলাম যত কিচ্ছা তত মিছা (মিথ্যা) । "ফাজায়েল আমল" তবলিক জামেতের কিতাবের এই কিচ্ছাটা ও কি মিছা !
তিনটা উত্তরের আশা করেছিলাম: ১- মিছা, ২- সত্য এবং ৩- সত্য হতে পারে - মিথ্যা হতে পারে ।
কোন প্রতিক্রিয়া না দেখে ৩ নাম্বার এর কথা ভেবে আরেকটা গল্পের কথা মনে হলো : দুই জন লোক তর্ক করছে। এক জন বলছে আমার আল্লাহ সত্য । আরেক জন বলছে আমার ভগমান সত্য । দুয়ে জনে সিদ্ধান্ত নিলো একটা গাছে উঠে জাম্প দিবে । তখন দেখা যাবে কে রক্ষা করে , আল্লাহ না ভগমান । হিন্দু লোকটা ভগমান রক্ষা কর বলে গাছ থেকে জাম্প দিলো। মাটিতে পড়ার পর দেখা গেল তার কিছুই হয় নাই - হাত পা ভাঙ্গে নাই । মুসলিম লোকটা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেল- তার ভগমান তারে রক্ষা করেছেন এখন যদি আমার আল্লাহ আমারে রক্ষা না করেন । মনে মনে সে বললো আল্লাহ রক্ষা না করলে ভগ্মান তুমি তো আছো । মুখে বলল আল্লাহ তুমি রক্ষা কর বলে গাছ থেকে জাম্প দিলো । মাটিতে পড়ে পা ভেঙ্গে গেল ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮