ঠোটের যত্ন
ঠোঁট ফাটা দূর করতে গ্লিসারিন অতুলনীয়। ঘুমাতে যাবার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন।
কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন আর চিনির দান ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁট ফাটা দূর হবে এবং ঠোট নরম ও সুন্দর হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে গ্লিসারিন ভারী হতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্লিসারিনের সাথে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।
হাত-পায়ের যত্নে গ্লিসারিন
যাদের পা ফেটে যাবার সমস্যা আছে তারা গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। এটা পায়ের এই সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। গ্লিসারিন কয়েকভাবে ব্যবহার করতে পারেন,
রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। তারপর পায়ে গ্লিসারিন লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
হালকা কুসুম গরম পানিতে হাফ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পা নরম হবে এবং পা ফাটা সমস্যারও সমাধান পাবেন সাথে পা আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।
গ্লিসারিন হালকা হলে তার সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন
প্যাক এবং টোনার হিসেবে
ফেইসপ্যাক ব্যবহার করলে স্কিন একটু টানটান এবং ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই। তবে প্যাকের সাথে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ব্যবহার করলে স্কিন ময়েশ্চারাইজড এবং সুন্দর থাকবে।
গ্লিসারিন এবং হালকা গোলাপজলের মিশ্রণে গ্লিসারিনকে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এটা সাথেও রাখা যায়। যারা বাইরে বাইরে ঘুরেন তাদের জন্য ভালো।
ক্লিনজার এবং মেকআপের বেজ হিসেবে
সাধারণ ত্বকে গ্লিসারিন ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। ক্লিনজারগুলোতে গ্লিসারিন মেশানো থাকলে ত্বক থাকে ময়েশ্চারাইজড এবং এটা ত্বককে পরিষ্কার ও সুন্দর রাখতেও সাহায্য করে।
যদি তাও ত্বক কোনো কারণে শুষ্ক মনে হয় তাহলে ফেসওয়াশের সাথে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানিয়ে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন শুষ্ক থাকবেনা। গ্লিসারিন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করার কারণে মেক আপের বেজও খুব সুন্দর করে বসে। গ্লিসারিন নিয়ে কিছু কথা,
প্রায় সব ধরনের ত্বকেই গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্লিসারিনে এক্সট্রা অয়েল নেই।
গ্লিসারিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।
গোসলের পর স্কিন পরিষ্কার এবং শুষ্ক থাকে। তাই তখন গ্লিসারিন ব্যবহার করা ভালো।
শরীরের যেসব স্থান শুষ্ক থাকে সেসব স্থানে গ্লিসারিন ব্যবহার করা ভালো।
যেকোনো বয়সের মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এতে আর্টিফিসিয়াল কোনো পদার্থ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৮