পৃথিবীর সবচেয়ে হাসিখুশী মানুষ কে কখনও দেখেছেন? না দেখে থাকলে আপনার আশেপাশে চোখ রাখুন। আপনার চারপাশেই অসংখ্য এমন কিছু মানুষকে খুঁজে পাবেন যারা কিনা প্রায়শই হাসিখুশী থাকে। অনেক দুরবস্থায় থাকার পরেও তারা সেই হাসিখুশী গাম্ভীর্য ভাব নিজের মুখে ফুটিয়ে তুলে ধরে রাখে। আপনি তাদের লক্ষ করতে থাকুন। বিষদভাবে লক্ষ করতে থাকুন। সেটা হতে পারে এক বা দু দিন অথবা ক'মাস কিংবা এর হিসাব বছরের পাতায় গিয়েও পাড়ি জমাতে পারে। হঠাৎ করেই একদিন আপনি দেখবেন সেই চিরাচরিত হাসিখুশী মানুষটা বিমর্ষ ভাব ধরে সবার অগোচরে এক কোনায় একাকিত্বকে অমৃত সুধা হিসেবে পান করছে।
-
আপনি তার কাছে যান। জ্বি, আপনি ঠিক সেসময়টায়ই তার কাছে যান। আপনি তার স্বভাবনুযায়ী তার সাথে হাসিখুশী ভাবে কথা বলুন। অথবা কোনো হাস্যকর মুহুর্তের স্মৃতি মনে করে দিয়ে হাসানোর চেষ্টা করুন। তাদের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে হাস্যকর বস্তু ও তখন বিষের কাঁটার মতো মনে হবে। রঙ্গিন সবকিছু তার কাছে সাদা কালোর ন্যায় মনে হবে। একটা সময় আপনার অনবরত চঞ্চলকর কথাগুলোও তার কাছে একঘেয়েমিতার কারণ হয়ে দাড়াবে। হয়ে দাড়াবে তার বিষণ্নতার কারণ। একটা সময় হয়তো সে মলিন কণ্ঠে আপনাকে জানাবে, "প্লিজ লিভ মি এলোন।"
-
এর মানে কি সে হঠাৎ করেই বদলে গেলো? কিংবা হঠাৎ করেই সে পৃথিবীর সিরিয়াস প্রজাতির কিছু মানুষের ন্যায় হয়ে গেলো? না, এর মানে দাড়ায় সে ক্ষনিকের জন্য হলেও একাকিত্বকে আপন করে নিতে চায়। কিংবা আপনার সঙ্গ পেতে চায় একটু অন্যভাবে, নিরবতার ন্যায়। কিন্তু আপনি যদি এই বিষয়টি অনুভব করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে তাকে কিছু নামগড়া উপাধি দিয়ে বসেন। যা কিনা তার স্বভাববিরুদ্ধ। তাহলে আপনার প্রতি তার আস্থা, আপনার প্রতি তার বিশ্বাস ক্রমাগত হারিয়ে যাওয়ার পাতায় নাম লিখাবে। আপনার সেই "আই বিলিভ ইউ।" কিংবা "আই ট্রাস্ট ইউ" কথাগুলো তখন অচিরেই তার কাছে মুল্যহীন হয়ে পড়বে। ভালো থাকুক দুই প্রজাতির মানুষগুলোই। খুউব করে ভালো থাকুক। থাকুক পার্থিব জিবনের নিরন্তর অজানা সুখের সাগরে বহমান নদীর স্রোতের মতো প্রবাহমান।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২