মা দিবসের প্রাসঙ্গিকতা ও মা'কে নিয়ে কবিতা
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পশ্চিমারা মা দিবস পালন করে আসছে অনেক আগে থেকে, সেই দেখাদেখি আমরাও আজ গত ২ দশক থেকে এই দিবস টা পালন করে আসছি, এখনকার ফেসবুক জগতে তো এই দিবস কে লক্ষ্য করে মায়ের জন্যে সবাই ভালোবাসার ডালি নিয়ে বসে, জানিনা এই ডালিটা কতটুকু সবাই নিজের মা'কে প্রত্যক্ষ ভাবে দেখায়, পশ্চিমারা সারা বছরের এই দিনে ওল্ডহোমে রাখা তাদের মা কে দেখতে যায়, তাদের দেশে রবিবার ছুটি থাকে তাতো আপনারা জানেনই, সারা বছরের ভালোবাসা তারা এই দিনে দেখায় তাদের মা কে।
আমরা এই দিন টি কে নির্দিষ্ট দিনের গণ্ডিতে না রেখে এই দিনের দেখানো ভালোবাসা সারা বছর আমাদের মা কে দেখাবো আমি তাই প্রত্যাশা করি, সুতরাং আসুন আমরা সবাই তথাকথিত ভাবে এই দিনটি কে উদযাপন না করে এই দিনটির আবেগ সারা বছর ছড়িয়ে দিই আর ভালোবাসি আমাদের মা'কে।
আমি কবিতা লিখি ক্লাস 7 থেকে, প্রথম কবিতা লিখেছিলাম মা'কে নিয়েই, কিন্তু ৪ বছর আগে আমার কবিতার ডাইরিটা হারিয়ে যাওয়ায় আমি সেই কবিতাসহ আমার আরও অনেক কবিতা হারিয়ে ফেলি, আমার মা'কে নিয়ে লেখা প্রথম কবিতা আমি মা'কে চিঠি দিয়ে লিখে দেখাই, আজ এই দিনের প্রাক্কালে আমিও একটা কবিতা লিখলাম সকালে, নিম্নে তা দিলামঃ
আম্মা
অশ্রু হাসান
আমি খুব জানি, তুমি ভাবছো আমাদের নিয়ে;
"মিতু কি করছে?" "মাহি খেয়েছে নাকি?" "মুমু পড়ছে নাকি?"
কয়েক শত ক্রোশ দূরে থাকলেও
তোমার চিন্তা-চেতনায় যে আমরাই বসত করি,
তা আমি খুব জানি আম্মা।
ছোট থেকে চোখের উপর চামড়া ভাজ করা কপালী
অভিমানী ছেলেকেই হয়তো দেখে আসছো,
মাটির ঢিবির আকারের অভিমানগুলি
আজ হয়তো পাহাড় সমান,
কিন্তু সেই পাহাড় নিমিষেই ভেঙ্গে খানখান হয়ে যায়;
আম্মা তোমার আদর মাখা হাতের পরশে।
বাস্তবতা হয়তো আমাকে কাঠ-মানব করে দিয়েছে,
বাস্তবতা হয়তো তোমাকেও লৌহ-মানবী করেছে আম্মা,
কাঠ-মানবের ভিতর এক শ্যামল-মনা ছেলে বাস করে
যেমন জানো তুমি আম্মা,
ঠিক সেই ভাবেই আমিও জানি আম্মা;
লৌহ-মানবী তোমার ভিতরেও
চিরাচরিত এক কোমল-মনা মা বাস করে।
১১.০৫.২০১৪