সিইপিজেড এ স্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলের উপর শাসকগোষ্ঠীর পেটোয়া বাহিনী পুলিশ হামলা চালিয়ে শতাধিক শ্রমিককে আহত করা সহ হত্যে করেছে ৪ জন শ্রমিককে। কিছুদিন আগে ঘোষিত হয়েছিল জাতীয় মজুরি। যে মজুরি মাত্র ৩০০০ টাকা। এর মধ্যে আবার অন্তর্ভুক্ত আছে বাসা ভাড়া অন্যান্য খরচ। আকাশছোঁয়া দ্রব্যমুল্যের এই সময়ে মাত্র তিন সহস্র টাকায় কিভাবে চলবে একজন শ্রমিকের পরিবার সেই প্রশ্ন রুলতে তুলতে শ্রমিক সহ দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল জণগন এখন বিরক্ত প্রায়। কথা ছিলো এই বছরেরই নভেম্বর মাস থেকে চালু হবে নামমাত্রে বর্ধিত মজুরি কাঠামো। কিন্তু এখন দিসেম্বর মাস চলছে, কিন্তু দেখা নেই নতুন মজুরির। বরং মালিকশ্রেণী নানান টালবাহানা করছে। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রমিক্রা যখন তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে এল বাধ্য হল ঠিক সে সময়ে পুলিশকে দিয়ে হামলা চালালো সরকার, মালিকশ্রেণীর মুনাফার আয়োজক তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার। এখানে লক্ষ্য করার মত বিষয় হল, মালিকরাই শ্রমিকদেরকে দেয়া কথা অনুযায়ী সময়মতো মজুরি না দিয়েই শ্রমিকদের কে বাধ্য করেছে বিক্ষোভ করতে।
আজকের এই ঘতনায় সবচেয়ে ঘৃণ্য যে বিশয়টি দেখা গেল সেটি হল, সরকার দলীয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কর্মী বৃন্দ পুলিশভাইদের সাথে মিলে হামলা করেছে শ্রমিকদের উপর। তাদের কে জিজ্ঞেস ক্করা হলে তারা বলেন যে, তারা নাকি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমীন কর্তৃক নির্দেশ পেয়েছে। ছি! এই মন্ত্রীই ভোট নেবার সময় বলেছিলো সকল জণগনের জন্য কাজ করে যাবেন। কিন্তু হাজার হাজার শ্রমিকের স্বার্থ আজ তার কাছে মূল্যহীণ। মুনাফালোভী এই মন্ত্রীর কাছে টাকাওয়ালা কয়েকজন মালিকের মুনাফা বাঁচানোর দায়িত্ব দুই বছর আগে দেয়া কথার চেয়েও এখন মূল্যবান। এই ধরণের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে দেশ এগুবে কিভাবে তা নিতান্তুই প্রশ্নের সম্মুখীন।
আজ লাখো শ্রমিকের মাঝে আমার নিজেকে দেখতে বড় ইচ্ছে করছে।
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে 'দুনিয়ার মজদুর এক হও।'