তিনি কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি বলে জাতিকে বিভক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালান। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রচার করে বেড়ান। অথচ তিনি মুক্তিযোদ্ধা তো দূরের কথা বরং একজন রাজাকার ছিলেন। কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমসহ সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে সত্য কাহিনী না শুনলেতো আমরা জানতামইনা যে এই ভন্ডটা রাজাকার ছিলো এবং যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে মুরগি সাপ্লাই দিতো। মুরগি সাপ্লাইয়ের জন্য তাকে অনেকে মুরগি কবির বলেও সম্বোধন করে থাকে। যদিও আমি তাকে এই নামে সম্বোধন করতে চাইনা।
গতকালও তাকে নিয়ে “জামায়াত জামায়াত করা শাহরিয়ার কবিরের মুদ্রাদোষ” শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলাম। আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় নাসিরনগর নিয়ে তার একটা স্বাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেই স্বাক্ষাৎকার পড়েতো আমি পুরাই বিমোহিত, মুগ্ধ, অভিভূত, টাস্কিত, আশ্চার্যান্বিত হয়ে গেলাম!!! ক্যামেনে পারো ম্যান এসব??? কিছু মন্তব্যসহ সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরলাম-
.....................................................
প্রথম আলো: নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা কেন ঘটল, কারা ঘটাল?
শাহরিয়ার কবির: কারা ঘটিয়েছে, তা পরিষ্কার। একাত্তরে যে মৌলবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করতে চেয়েছিল, তারা কখনোই বাংলাদেশের অস্তিত্বকে মেনে নিতে পারেনি। সেই অপশক্তিই বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরও আমরা দেশব্যাপী তাদের ভয়াবহ তাণ্ডব দেখেছি। নাসিরনগরের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।
**(সেই অপশক্তি কি তাহলে আওয়ামী লীগ?? কারন আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে আওয়ামী লীগের কোন্দলের জেরে আওয়ামী লীগই নাসিরনগরে হিন্দুদের উপর এই হামলা ও মূর্তি ভাংচুর করেছে। )
প্রথম আলো: কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের হিসেবেই হিন্দুসম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা হয়েছে।
শাহরিয়ার কবির: সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের জামায়াতীকরণ হয়েছে। জামায়াতের ক্যাডাররা আওয়ামী লীগে ঢুকে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে।
**( হা হা হা...... আবার সেই জামায়াত, সেই মুদ্রাদোষ, উনি মনেহয় স্বপ্নেও দেখেন জামায়াত ওনাকে ধাওয়া করছে )
প্রথম আলো: কিন্তু জামায়াত তো এখন দৌড়ের ওপর আছে। ...
শাহরিয়ার কবির: গোপনে তারা এসব করছে। তাদের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী। আওয়ামী লীগে ঢুকে তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। ওরা বিএনপিকে গিলে ফেলেছে। এখন আওয়ামী লীগে হাত দিয়েছে।
**( ওরে বাপ্রে!! জামায়াত এত ক্ষমতাশালী? বিএনপিকে অলরেডি গিলে ফেলছে!! আওয়ামী লীগকেও গিলতে শুরু করছে!!! বুঝলাম না এত ক্ষমতা দিয়েও তাদের নেতাদের কেন ফাঁসি থেকে বাঁচাতে পারলো না?? )
প্রথম আলো: আপনারা নাসিরনগরে গিয়েছিলেন, কী দেখলেন?
শাহরিয়ার কবির: স্থানীয় প্রশাসন সীমাহীন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা কেবল মৌলবাদী গোষ্ঠীকে সমাবেশ করতেই দেয়নি, ওসি ও ইউএনও বক্তৃতা দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন শক্ত হলে মৌলবাদীরা এই কাণ্ড ঘটাতে পারত না।
**(আবার সেই মৌলবাদি!! অথচ ঘটনা ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ, এটা স্বয়ং আওয়ামী লীগই বলছে!! )
প্রথম আলো: ২০০১ সালে হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছিল, তখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায়। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের শাসনামলেও সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক হামলা হচ্ছে। কীভাবে দেখছেন?
শাহরিয়ার কবির: ২০০১ সালে হামলা-নির্যাতনের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করা হতো। এখন তো সেটি হচ্ছে না। রামুর ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টারে এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত মানুষগুলোকে সহায়তা করেছেন। নাসিরনগরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাওয়া উচিত ছিল।
**(২০০১ সালে কেনো ওনাদের অভিযোগকে অস্বীকার করা হতো, কারন ওনারা মিথ্যাচার করতেন। ওনারা ২০ হাজার টাকা দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাকে দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা সাক্ষ্য দিইয়েছিলেন। কারন ওনারা এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর এজেন্ডা নিয়েই কাজ করেন। এই ভিডিওতে দেখুন সেই পূর্ণিমা ও তার পরিবারের জবানবন্দি (ভিডিও লিংক ) )
প্রথম আলো: কিন্তু ২০০১ সাল থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর যেসব হামলা হয়েছে, তার বিচার হয়েছে?
শাহরিয়ার কবির: আমার জানামতে সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা শীলের ঘটনা ছাড়া কোনোটির বিচার হয়নি। বারবার বিচারের কথা বলে আসছি। এই বিচারহীনতার দায় সরকার এড়াতে পারে না।
**(‘এড়াতে পারেনা’ বলেই শেষ??)
প্রথম আলো: নাসিরনগরের আক্রান্ত মানুষকে রক্ষায় সরকার কি যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে?
শাহরিয়ার কবির: এই মুহূর্তে সেখানকার আক্রান্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত। একই সঙ্গে আমরা রসরাজ দাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। এ কারণে আমরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে দাবি জানিয়েছি যে তাঁর মামলাটি যেন ঢাকায় স্থানান্তর করে তাঁর নিরাপত্তা ও আইনি লড়াইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়।
**(হুম, তিনি সবসময়ই রসরাজের পক্ষে ছিলেন আছেন। রসরাজ অন্যায় করলেও তিনি রসরাজের পক্ষে!! কারন সে হিন্দু, সংখ্যালঘু, তাদের দাবার গুটি!! তিনি অলরেডি রসরাজের পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন। রসরাজ নাকি গ্রামের গন্ড মুর্খ ছেলে, সে নাকি ফটোসপ বুঝেই না!! দুনিয়ার সব ফটোসপ নাকি শিবিরের পোলাপাইনই করে!!! আশ্চর্য ব্যপার হলো, রসরাজ গ্রামের গন্ডমূর্খ ছেলে হলেও সে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ক্ষমা চাওয়া নির্ভুল স্টেটাসটা ঠিকই লিখতে পারছে!!)
..............................................
স্বাক্ষাৎকারটির শিরোনামই ছিলো, “রসরাজের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন : শাহরিয়ার কবির” । রসরাজ নির্দোষ হয়ে থাকলে তার ন্যয় বিচার প্রাপ্তিতে আমি জীবন দিতে পারি। কিন্তু এখনো তদন্ত না হওয়া একটি ব্যপারে একজন অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে মিথ্যাচার করে নির্দোষ দাবি করা সম্পুর্ণ একপেশে দৃষ্টিভঙ্গিরই বহি:প্রকাশ। এই একপেশে ভাব কেবলই শাহরিয়ার কবিরের হলে না হয় আমি মেনে নিতাম। কারন শাহরিয়ার কবির মানেই একটি সার্কাস, হাসির বাক্সো!!
কিন্তু অন্যদেরকেও দেখেছি তাকে ফলো করে নিজেদেরকে হাসির বস্তুতে পরিণত করতে। মুদ্রাদোষ আসলেই খুব খারাপ জিনিস। এটা একপ্রকার ছোঁয়াছে রোগও বটে। তাই হয়তো এতটা ছড়াচ্ছে। এর বাহক শাহরিয়ার বেটাকে সমাজচ্যুত করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে আসলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২