ঠোঁটে টকটকে লিপস্টিক, মুখে মুসকি হাসি, আর গায়ে আইসিইউ গাউন। পেছনে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির মুহুর্মুহু কোপে মৃত্যুপথযাত্রী নাকে-মুখে নল লাগানো অচেতন খাদিজা বেগম। খাদিজাকে দেখতে গিয়ে আওয়ামী সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ অপু উকিল ও আরেকজন নেত্রীর তোলা সেলফির চিত্র এটি!!
আজ সন্ধ্যে ৭টার দিকে সাংসদ সাবিনা নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন এই সেলফি!! এক নেতা কোপায়, আরেক নেত্রী ঠোঁটে লিপষ্টিক লাগিয়ে সেটাকে সেলফির কাজে লাগায়!! বাহ! মানবতার সাথে এ কি অপূর্ব(?) উপহাস!!! ধিক্কার জানাই এমন নিকৃষ্ট মানসিকতার!!
তারা কি আসলেই খাদিজার প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই সেখানে গেছেন? একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে দেখতে কেউ ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে এভাবে সেজেগুজে যায়?? এ সাজতো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপকের নয়! এ সাজতো দৌলতদিয়ার খদ্দের খোঁজকারীর!!
অনেকেই এই সেলফি নিয়ে ভর্ৎসনা করছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, রাস্তার বেশ্যাকে সাংসদ বানালে তো এমনটাই হবে। দেখেননা শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েও ওনাদের পুরুষ সহযাত্রীরা দাঁত কেলায়া সেলফি তুলেন!!! ওরা মানুষ না ওরা আওয়ামী লীগ!!
আসলেই তো? ওরা যে আওয়ামী লীগ, ওরাই যে ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবরের হিংস্র খুনির দল। লগি বৈঠা দিয়ে যারা জ্যান্ত মানুষকে সাপের মত পিটিয়ে মেরে তার উপর লাফিয়ে লাফিয়ে উল্লাস করে, তাদের কাছে একজন মৃত্যুপথযাত্রী নারীর অচেতন দেহ কোথাকার কোন ছাই??
ওরা কোনো স্বাভাবিক মানুষ নয়। আইসিইউর খাদিজার নয়, বরং ওদেরই কোনো চেতন নেই। প্লীজ ওদেরকে এখনই শৃঙ্খলে আবদ্ধ করুণ। খাদিজার পিতা মাতার আহাজারির সাথে ওদের দাঁত কেলানো কোনো সেলফি আর আমরা দেখতে চাইনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬