somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ আসিফ আমান আপন
আসসালামুয়ালাইকুম,ধন্যবাদ আমাকে ভিজিট করার জন্য। আমি বর্তমানে পড়াশোনা করছি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনলজি, খুলনাতে। আমি একজন কোম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট। অনেকদিন থেকে লেখার তগিদ থেকে লেখা শুরু করছি। জানি না লেখা কেমন লিখি, তবে লিখতে ভালো উপভোগ করি

নিরুত্তাপের প্রথম পাতা

৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ধারাবাহিক গল্প

গল্পটির চরিত্র গুলো বাস্তব হলেও গল্পটি ইন্সপায়ার্ড।



জানালার ওপাশ থেকে ভোরের আলোর ঝটা একদমই পছন্দ নয় সাবিতের। বাবা মা এর দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ ফসল সাবিত। একটু বেশিই নিরুত্তাপ আর কিছুটা একগুয়ে স্বভাবে নিজকে বাকি দুনিয়া থেকে একটু আলাদা রাখাই যেন সৃষ্টিকর্তার দেওয়া একমাত্র কাজ তার জন্য। তো যেটা বলছিলাম ভোরের আলো আটকাবার জন্য কর্মযজ্ঞের কমতি ছিলোনা সাবিতের ছয়ফিটের ছোট্ট রুমে। ওই আলোটা যেন তার কাছে সকালের পানির ঝাপটা মনে হতো। যাই হোক জীবনের সৃষ্টিশিল সকল কাজ ফেলে একমাত্র সাবিত চিনেছিলো কিছু ভার্চুয়াল দুনিয়ার বন্ধুদের। ফিলিপিনো বা জাপানিজ বন্ধুগুলোর সাথে কথা বলার জন্য সারাদিন গেমের আলো জমকালো দুনিয়ায় বুদ হয়ে কেটে যেতো সারাদিন। যেন লম্বা কোন শীত ঘুমে সাবিত ঘুমিয়ে আছে, হারিয়ে গেছে স্বপ্নের দুনিয়াতে। বাবা প্রাক্তন শিক্ষক ও মা বরাবরই ঘরে কাজ করেই এসেছেন। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে আর বড় ভাই তার মতো। সাবিতের এই চারিত্রিক গঠনগত ট্রুটি চোখে পড়েনি কারোরই। সংসারে অভাব অনোটন যাই হোক সাবিত কিছু শুনতে চায়না চায়নি কখনো।
ইউনিভার্সিটি ক্লাসগুলোর এ্যাটেন্ডেন্স শিটে সাবিতের নাম তো আছে, উপস্থিতি শূণ্য। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই একদিন ভোর ঠিক তিনটা বেজে চৌত্রিশ সাবিত ঘুমিয়ে পড়লো গেম অন থাকা অবস্থায়ই। ঘুমটা ভেঙ্গে সে দেখলো সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশ একেবেরেই পরিচিত ছিলো না কিছুই। তারপরও কিছু কিছু যেন ঠিক পরিচিত ঠেকলো।

যেন ভুলে কেউ সাবিতের ঘরের নকশাটা ঝুল আর ধুলো দিয়ে বোঝাই করে দিয়েছে। কিছু বোঝার আগেই দরজা খুলে গেলো আর সামনের পথ গিয়ে পড়লো একটা কমন গ্রাউন্ডে যেখানে আরো অনেকেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করছে নিজেস্ব ঘর থেকে। কোন অদৃষ্য উৎস থেকে কেউ বলে উঠলো সবাইকে আপসাইড ডাউনে স্বাগতম। আপনারা অনেকেই অবাক হয়েছেন আপনাদের ঘুম ভাঙার পর আমরা জানি। তবে এটা কোথায় তার প্রশ্নের উত্তর কোনদিন আপনারা পাবেন না। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারের ঐক্যমত্যে তৈরী করা একটি কমন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ব্যাটেলগ্রাউন্ড যেখানে আপনাদেরকে আনা হয়েছে দেশগুলোর অনপ্রোডাক্টিভ জনগোষ্টিদের সামাজিকিকরনের শতকরা সম্ভাবনা বিশ্লেষনের পরে। এই প্রকল্পে আপনারা তারাই স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যাবেন যারা সবাইকে হারিয়ে জীবনের সঠিক মূল্যবোধে ফিরে যেতে পারবেন। অথবা আটকে যাবেন লুপে বার বার প্রথম থেকে।
যেন যে গেম সাবিত খেলে কোন গেমের ইন্টারফেস এর মতো করে সাজানো কোন গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আছে সাবিত আর তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বর্ণের ও গোত্রের মানুষ। ব্রিফং চলতে থাকলো, বর্তমানে আপনারা নিউরো কানেক্টর দিয়ে আটকে আছেন পৃথিবীরই ভূগর্ভে কোন স্থানে যাকে আমরা নাম দিয়েছি আপসাইড ডাউন এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে ঘটা ঘটনা সেটা স্পর্ষ হোক বা কথা বলা স্বাভাবিক ভাবে শুনতে ও অনুভব করতে পারবেন। তবে স্বাভাবিক জীবনে গিয়ে কখনোই কাউকে বলা হলে আপনাদেরকে পুনরায় আবার গেমে ফিরিয়ে আনা হবে এবং স্বাভাবিক জেলের মতো সাজার দন্ডবিধী অনুযায়ী গেমে অবস্থান করতে হবে।
সাবিত বুঝতে পারলো একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বেশ কটি ভাষায় বলা হোলো।
এই পুরো গেমটি তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে যার কোন পূর্বাভাষ আপনাদের দেওয়া হচ্ছে না এটা সময়ের সাথে আপনাদের বুঝে নিতে হবে। মনে রাখবেন এটা একটা সামাজিকিকরনের প্রকল্প যারা আপনারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তাদের ফিরিয়ে আনাই এই গেম বা প্রকল্পের উদ্দেশ্য।.....................(চলবে)

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

১. ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক সাবিত উপখ্যান।

৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

লেখক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকবেন

২. ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সাবিত চলে গেলো এক অদ্ভুত কল্পরাজ্যে। ঘুম ভেঙ্গে যেন সে স্বাভাবিক হয়ে উঠে এইটাই প্রত্যাশা। বর্তমান প্রেক্ষাপটের লেখা ভালো লাগলো :)

৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

লেখক বলেছেন: সময় সব বলে দেবে। সাথে থাকবেন।

৩. ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কতদিন চলবে লেখা এই গল্প?

৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

লেখক বলেছেন: সেটা তো আপসাইড ডাউনের কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে। সাথে থাকবেন......

৪. ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকবেন
অবশ্যই থাকবো।

৫. ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৭

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: এটা প্রথম পর্ব?

০১ লা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

লেখক বলেছেন: জ্বি প্রথম পর্ব

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে কিসে পরিণত হয়?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭



স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে শিবির কিংবা হেফাজতে পরিণত হয়, যারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

মুসলিম বিশ্বে, গরীবদের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় গিয়ে, আধুনিক জীবনভাবনা থেকে বিদায় নেয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

ইহা, উহা, ইহার, উহার, ইহাকে, উহাকে - ইত্যাকার সাধু ভাষার শ্রুতিমধুর কিছু শব্দসম্ভারের প্রয়োগ কদাচিত আমাদের প্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাফ-লেডিস বলছি.......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮


(ছবি নেট হতে)

আজ ব্লগ না থাকলে কবেই আত্মহত্যা করতে হতো। জ্বী আমার কথাই বলছি। আমার মতো উপযোগহীণ গর্দভ টক্সিক ব্যক্তি বেঁচে আছি শুধু ব্লগের জন্যে। কিভাবে? তবে বলছি শুনুন।

ছোটবেলা হতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুলে যাচ্ছি কত কিছু=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



ভুলে যাচ্ছি মমতার ঋণ, বাবার আদর
ক্রন্দনরত দিন, বৃষ্টির ঝুম আওয়াজ
ভুলে যাচ্ছি কত কিছু দিন দিন
বিছানো ছিল কোথায় যেন স্নেহের চাদর।

ভুলে যাচ্ছি দেহের শক্তি, সরল মন
কঠিনের মাঝে ডুবে ধীরে
ভুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রেমিট্যান্স যোদ্ধা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৬


সদ্যই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপরিবারে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন। নির্বাচনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরসহ অন্যান্য সবাইকে এক প্রীতিভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা যাচাই-বাছাই করে সেসব অতিথিদের ভেতরে ঢুকতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×