অপরিণত ডানার আনন্দে প্রবীণ এক আরশোলা
উড়তে উড়তে পড়তে পড়তে পৌঁছে গেল
গার্লস কমনরুমে : সন্ন্যাসে নিদ্রিত জানালার ফাঁকে
যৌনকাতর এন্টেনা দিয়ে মুহূর্তেই শুষে নিলো
সদ্যমৃত কোনো প্রাণির নখের মতন সুস্বাদে
মহীয়সী সেইসব মহা-চারুকলা : চোখ , ঠোট , নিতম্ব-কোমর
এবং সর্বাপেক্ষা বেশি বাতাসে মিশ্রিত নেশাগ্রস্ত প্রসাধন
বিশ্রী পুঞ্জচোখে এতসব দৃশ্য অন্তর্গত করার পরেই তার
চোখে পড়ে : মানবীদের কালো খোঁপাতে ফুলের গৌরবে আছে বসে
উজ্জ্বল রঙিন সব প্রজাপতি ; তার ভিতরে বেদনা জেগে ওঠে
তার কিমাকার এন্টেনাতে এইসব তথ্য ঢোকার পরে সে লক্ষ্য করে :
ঈশ্বরীদের মেঘজ কব্জিতে সবুজ রুলির মত বসে আছে অলংকারে
প্রতিবেশী ঘাসজীবি এক পতঙ্গ : ফরিঙ
এই আরশোলা তাই হয়ত ঈর্ষার পাপ সেদিন করেই ফেলে
আর তৈলাক্ত শরীরে শুষ্ক দুঃখ মেখে : মেলে তার কদাকার ডানা -
কমনরুমের সিলিঙের দিকে এবং জীবনে প্রথমবার
আত্মপ্রকাশ করে ।
অতঃপর
চিৎকার , আতঙ্ক আর ভয়ার্ত বিবমিষায় বিষাদ কক্ষে নেমে এলে
হত্যাপীড়িত একরকম অনুতাপ তার প্রবীণ শরীরে নেমে আসে
এবং সে উড়তে উড়তে পড়তে পড়তে পৌঁছে যায়
নিকটস্থ ধারালো ফ্যানের ক্ষমাহীন ঘূর্ণনের কেন্দ্রে ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৭