দিবসের অপবিত্রতম ক্ষণে
নিঃসঙ্গতা যখন দেয় শাণ তার শীতল-ধারালো চাকুতে
এবং মস্তিষ্কের সব নন্দিত উদ্যানে জন্মায় স্মৃতির অজীবিত তুন্দ্রাঞ্চল
সত্ত্বার গভীরে ক্রমাগত অবিরত নিরন্তর বাজতে থাকে তখন
এক পরম শূন্যতার প্রবল বিলাপ ; প্রতিধ্বনিময় :
নেই , নেই , নেই ; কোথাও কিছু নেই।
চার দেয়ালের উল্লম্ব শরীর , কম্পিউটার স্ক্রিনের মায়াময় চতুষ্কোণ ,
পিতামাতা-স্বজনদের ভরসাদাত্রী মুখমন্ডল সহসা বিচ্ছিন্নতার ব্ল্যাকবোর্ড হয়ে গেলে
হৃৎপিণ্ডের আতঙ্কিত কম্পনের মতন সেখানে লেখা ওঠে শ্বেত-শূন্য অক্ষরে :
নেই , নেই , নেই ; কোথাও কেউ নেই।
দিবসের এইসব নষ্টতম ক্ষণে তাই যখন
স্মোকিং জোন ভরে ওঠে প্রেয়সীর বুকের চেয়ে প্রশস্ত অন্ধকারে
এবং জীবনের চেয়ে উজ্জ্বল সব সিগারেটের নরম আগুনে --
আমার ঠোটে অনেকক্ষণ ঠোট চেপে রাখে এক প্রকার আত্মহনন ;
আমার উপড়ানো-প্রায় হৃৎপিণ্ড বরাবর ধাবমান তামাকের বায়বীয়-যান
ফিসফিস করে ক্রমাগত উচ্চারণ করে : শান্তি , শান্তি , শান্তি ।
স্মোকিং জোনে অনেকক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার পর
শান্তভাবে হৃৎপিণ্ডটিকে পাঁজরের ভিতর ঢুকিয়ে ফিরে আসি পুনরায়
ব্যক্তিগত ঘরে , বিছানায় এলিয়ে দেই নিজের অবশ শরীর ;
ততক্ষণে হাহাকারের বদলে সত্ত্বায় নেমে এসেছে
এক প্রকার গভীর নীরবতা : কবরের মতন অসার এবং উদাসীন ;
ততক্ষণে কষ্টের কালো সব অক্ষর মুছে দিয়েছে এক অলীক ডাস্টার :
মৃত্যুর মতন সর্বগ্রাসী এবং চৌকস ;
কোথাও কিছুকে খোঁজার নেই আর
কোথাও কাউকে খোঁজার নেই আর।
স্বাভাবিক পৃথিবী তার সর্বদা-উন্মোচিত যোনী নিয়ে শুয়ে আছে আমার পাশে ;
আমি অনেকক্ষণ আর তার দিকে তাকাবো না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৭