ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, তিতুমির কলেজ সহ মোট সাতটা কলেজকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি নিজেদের অধীনভুক্ত করেছে। কিন্তু পরীক্ষা হচ্ছে কেবল মাত্র ঢাকা ইউনিভার্সিটির। অন্যান্য কলেজ গুলোর রুটিনও দিচ্ছে না, পরীক্ষাও হচ্ছে না। এ নিয়ে ওই সাতটা কলেজের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলন করারই মতোই ব্যাপার!
গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে আন্দোলনের এক পর্যায়ে পুলিশরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। ওই সময়েই সেই ক্যাঁদানে গ্যাসের শেল সিদ্দিকুর রহমানের চোখে গিয়ে আঘাত করে। ওই পুলিশ সদস্য এত কাছে থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে যে, শেলের আঘাতে তিতুমির কলেজের সিদ্দিকুর রহমানের চোখ প্রায় বেরিয়ে আসে! এখন তার দুচোখের দৃষ্টি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অতিব।
পরীক্ষার জন্য দাবী এখন সিদ্দিকুর রহমানের চোখের চিকিৎসায় রূপ নিয়েছে। এখন ঢাকা কলেজের অনার্সের ভাইয়ারা, ইন্টার লেভেলের ছেলেদের কাছে ঘুরে ঘুরে বন্ধুর জন্য কিছু সাহায্য একত্র করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আন্দোলন কদ্দুর আগাবে জানি না। হয়তো পরীক্ষার জন্য যে আন্দোলন করা হচ্ছিল, তা মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু যদি সিদ্দিকুর রহমানের চোখের দৃষ্টি চলে যায়, কেউ তো আর তাঁর চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারবে না। হসপিটালে সিদ্দিকুর রহমানে মা কাঁদছে; গরিবের সন্তান বহু কষ্টে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। আমি ভাবি, এতে কার কি?
বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যে দেশে পুলিশের উপস্থিতি মানুষকে ভীতগ্রস্ত করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪২