ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে বলেছিল সন্ধ্যা সাতটায়। এলো সাড়ে আটটায়। ছবিতে তো ছেলে ফর্সা ছিল, কিন্তু আসলে কালো। কালো এই ছেলের নাম জাহির। কিন্তু চেহারার কাটিং ভালো। বেচারা এসে কাঁচুমাচু হয়ে সোফায় চুপচাপ বসে আছে। মেয়ে রিতু তার ছবির মতোই সুন্দরী। তারা কেউ কথা বলবে না কিন্তু রিতুর বাবা হাসতে হাসতে বললেন, বিয়ের আগে ছেলে মেয়ের একটু একা কথা বলতে দেওয়া উচিত।
জাহিরের বাবাও সম্মতি দিল। তারপর দুইজনকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ছাদে। রিতুকে অনুসরণ করেই জাহির ছাদে উঠল। ছাদে দুটো চেয়ারের ব্যবস্থা করা হল। কিন্তু কেউই চেয়ারে বসল না। রিতু দাঁড়িয়ে রইল চেয়ারের পাশে, আকাশে চাঁদ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রিতু আকাশের দিকে চুপচাপ তাকিয়ে আছে।
জাহিরও রিতুকে অনুসরণ করে দাঁড়িয়ে আছে। কি বলবে মনে মনে সাজাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ ফক করে একটা কথা বলে ফেলল, আপনি কি বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন?
রিতু জাহিরের দিকে সন্দেহ চোখে বলল, কেন?
আমার বিরিয়ানি অনেক পছন্দ তো তাই জিজ্ঞাসা করলাম।
না পারি না।
ও আচ্ছা।
তবে আপনি চাইলে বিরিয়ানি রান্না করা শিখে নিব।
জাহির আবেগকম্পিত স্বরে বলল, বাহ! তাহলে তো দারুণ হবে!
তবে একটা শর্ত আছে। আপনাকে এখন একটা গান গাইতে হবে।
জাহির ইতস্তত ভঙ্গিতে বলল, আমি তো গান গাইতে পারি না।
তাহলেও সমস্যা নেই। আমি আপনার জন্য বিরিয়ানি রান্না করা শিখব। আপনি আমার জন্য একটা ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখে রাখবেন।
আচ্ছা।
প্রমিজ?
প্রমিজ।
এখন নিচে চলেন, সবাই অপেক্ষা করছে। আর হ্যা, সিগারেট খান? সত্যি বলবেন...
মাঝে মধ্যে একটা দুইটা।
আর খাবেন না।
আচ্ছা।
চলেন।