ভালোবাসি খুব ভালো কথা। তাই বলে, সারাদিন কথা বলার দরকার আছে? রাইবা আবার একবার ফোন না ধরলে, ফোনের উপর ফোন দিতেই থাকে। বিশালকার ম্যাসেজে পড়ার মতো বেশ কয়েকটা বিরহ রচনা! সাধারণ কাপল গুলোতে, মেয়েরা তার প্রেমিকের উপর রাগ করে বহুদিন থাকতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার প্রেমিক তার রাগ ভাঙায়। কিন্তু আমাদের ব্যাপারে উল্টো!
!
আমি রাগ করে থাকতে পারি। কিন্তু রাইবা থাকতে পারে না। তবে অবশ্য আমি ওর মতো ঘন ঘন রাগ করি না। রাগ করার মতো বিশেষ কিছু না ঘটলে রাগ করি না। মেয়েরা খুব ঘন ঘন রাগ করে, এতে তাদের রাগের মূল্য এক সময় হারিয়ে যায়। সবসময় রাগ করি না বলে, যখন রাগ করি, তখন সেই রাগের মূল্যটা পাই।
.
আজ সকাল সাড়ে সাতটায় আমি রাইবাকে ম্যাসেজ দিলাম। -"ছাদে যাও"
রীতিমতো সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লে এলো। "আচ্ছা" সারারাত জেগেছে আজও। সারারাত ভরে কিসের জাপানি এনিমেশন দেখে! আমাকে কত গল্প বলে। জাপানি গানও গায় গুনগুনিয়ে। আমাকে দেখার জন্য কত করে বলেছিল। একবার চেষ্টাও করেছিলাম। আগামাথা কিছু বুঝি না। -"আজও সারারাত জেগেছো?"
- "হ্যাঁ। এনিমে দেখছিলাম। চারটা পর্ব শেষ করেছি। ঘুমোতে যাব, তখন ম্যাসেজ দিলে... "
-"তাহলে ঘুমোতে যাও। ছাদে যাওয়া লাগবে না... "
-"ছাদে চলে এসেছি! এখন বলো, কি করব?"
আমি ওকে সারারাত জেগে এনিমেশন দেখতে বাধা দেই না। ও ওই এনিমেশন দেখে খুশি থাকছে! কারও খুশিতে বাধা দেবার অধিকার আমার নেই। আর ওর চোখের নিচে কালি পড়লেও আমার সমস্যা নেই। ভালোবাসি তো ভালোবাসি।
ফোনে টপ টপ করে শব্দ হচ্ছে। আমি টাইপিং করছি ম্যাসেজ। -"একবার পূর্ব দিকে তাকাও তারপর পশ্চিম দিকে তাকাও... "
এরপরে কোনও রিপ্লে আসল না। সোজা ফোন দিয়ে দারুণ উত্কন্ঠা নিয়ে বলতে লাগল, -"এটা কিভাবে সম্ভব? সকাল বেলা চাঁদ আর সূর্য একসঙ্গে!"
-"হ্যাঁ। আগে কখনও দেখোনি?"
-"তুমি তো আগে কখনও দেখাওনি!"
রাইবা হাসে। আমিও হাসি। আমি জানি, যেদিন রাইবার দেখা হবে সেদিন সে এই কথাটা তুলবে। বলবে,-"তুমি যদি না দেখাতে। তাহলে হয়তো কোনও দিন দেখতাম না!"
মেয়েরা অবাক হতে ভালোবাসে। আর অবাক করানোর সুযোগ পেলে হাতছাড়া করব কেন? ❤
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৮