ছোট বেলায় স্কুলে একবার আমাকে ইংরেজিতে "school" বানান লিখতে দেওয়া হল। আমি সুন্দর মতো "schol" লিখে দিয়ে চলে এলাম। ক্লাস টুর একটা বাচ্চা "school" বানান পারে না! এ কেমন কথা? ম্যাডাম আমার আম্মাকে ডাকালেন। সেদিন আম্মা ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল আমাকে নিয়ে। তাঁর চোখে মুখের সেই লজ্জা এখনও আমার চোখে ভেসে ওঠে যে, তাঁর ছেলে "school" বানান পারে না!
আসলে সেই সময় আমার এমন একটা সমস্যা ছিল না। আমি "b", "L", "k" এমন কয়েকটা অক্ষর নিয়ে আমি ভীষণ বিভ্রান্তে থাকতাম। "b" কে "d" এবং "d" কে "b" লিখে দিয়ে আসতাম। "k" আর বড় হাতের "L" কে আমি উল্টো দিকে লিখে দিয়ে আসতাম। আমি "f" আর "t" এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতাম না।
আমার জন্য শিক্ষক রাখা হল, আম্মা পড়াতে শুরু করল, স্কুল তো ছিলোই! কিন্তু আমি প্রতিবারই ব্যর্থ হলাম, এগুলো শিখতে। নিজের উপর আমার বিশ্বাসই ছিল না। অক্ষর গুলো দেখলেই ভীষণ ভয় হতো। ভীষণ দিশেহারা হয়ে যেতাম। যেন অক্ষর গুলো আমার সামনে নাচানাচি করছে!
কারও কিছু জিনিস শিখতে সময় লাগে পারে। তার মানে এই না যে সে পারে না। এজন্যই তুখোড় ইংরেজি পারা ছেলেটা গনিতে হয়তো একটু কাঁচা। আবার গনিতে একশো তে একশো পাওয়া ছেলেটা হয়তো বাংলা পারে না। নিজের উপর বিশ্বাস রেখে একটু চেষ্টা করলেই পারা যায়! সেটা অঙ্ক হোক আর ইংরেজি!
অবশ্য একটা সময় না একটা সময় আমি শিখেই গিয়েছি "school" বানান।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১