আমি ছয়তলা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। মানসিক চাপ প্রচন্ড ছিল। মস্তিষ্ক কাজ করছিল না।
কতক্ষণ পর পর মনে হচ্ছিল, ছাদ থেকে লাফ দেওয়া থেকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করা অনেক ভাল। ছাদ থেকে লাফ দিলে বেশি ব্যাথা পাব এই ভেবে। এই সিরিয়াস সময়েও আমার মাথায় রসিকতা কাজ করছে, যে বাংলা সিনেমার মতো একটা ছোট কাঁচের শিশিতে মধু ভরে উপরে কাগজে "বিষ" লিখে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেই। তারপর ওখান থেকে মধু খেয়ে, মরে যাওয়ার এক্টিং করি।
আমি ছাদের রেলিং উপর দাঁড়ালাম। প্রচন্ড বাতাস। কিন্তু আজ পা কাঁপছে না। অন্য দিন হলে, পা কেঁপে ভূমিকম্পনের সৃষ্টি হয়ে যেত। আমি ভাবলাম মরব যখন একটু ফিলিং নিয়ে মরি। তাই দু হাত দু দিকে বাড়িয়ে "টাইটানিক"এর মতো করতে লাগলাম। চোখ বন্ধ করতেই চার-পাঁচটা মুখ আমার সামনে দিয়ে ভেসে গেল। এই মুখ গুলো আমার খুব চেনা। আমি সাথে সাথে নেমে গেলাম।
আমি মারা গেলে এই মুখ গুলোর কি হবে? -নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলাম। একটা মুভিতে দেখেছিলাম, তুমি যখন মারা যাবে তাহলে এই ছবির সিক্যুয়াল তৈরি হবে। তার মানে আমি মারা যাওয়ার পর "টাইটানিক" এর সিক্যুয়াল "টাইটানিক-2" তৈরি করা হবে! আর আমি "টাইটানিক-2" দেখতে চাই যে কোন কিছুর বিনিময়ে।
পৃথিবীর উন্নতি আমাকে দেখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে মানবতা দেখতে হবে। প্রিয় মানুষ গুলোকে হাসাতে হবে, চোখে পানি আনতে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষায় ডাব্বা পেতে হবে। ভালবাসতে হবে। প্রেমে পড়তে হবে। মাগরিবের নামাজটা অন্তত পড়তে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি...
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বেঁচে থাকার কারণ গুলো বের করতে লাগলাম। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কতই না কারণ আছে। অবাক হলাম। বাসায় যাওয়ার পর আম্মু জিজ্ঞাসা করল,
-কিরে, কোথা থেকে এলি?
আমি আমার বত্রিশ দাঁত বের করে বললাম,
-
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৯