গতকাল উত্তরা থেকে আসলেন আংকেল আজিমপুরে। আমাদের বাসা হয়ে এয়ারপোর্টে যাবেন। আব্বুর সাথে কি জানি কাজ আছে। আজকাল মানুষ উত্তরা থেকে আজিমপুরের মতো এলাকায় আসতে চায় না। জ্যাম গরমে ভর্তা হয়ে কেইবা আসতে চায়!?
আংকেল পার্মানেন্টলি আমেরিকায় শিফট হতে যাচ্ছেন। উনার ভাই-বোন সবাই আমেরিকায় থাকেন। ওরাই ভিসা পাঠিয়ে আংকেল আর তাঁর ফ্যামিলি কে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে আংকেলকে যেতে হবে। তাঁর ইচ্ছে কোনও মতে ওখানকার অবস্থাটা একটু গুছিয়ে, তারপর আন্টি আর তার দুই মেয়েকে নিয়ে যাবেন আমেরিকায়। এতে এক-দু বছর সময় লাগবে।
আব্বুর সাথে কাজ শেষ করে তিনি চলে গেলেন। আমি আর ভাইয়া ওনাকে ট্যাক্সি করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিলাম। উনার বড় মেয়েটা দারুণ রকমের সুন্দরী। আমাদের বাসায় আগে যখন আসতো তখন কেমন যেন দেখতে ছিল। এটা অনেক আগের কথা। এখন ফেসবুকে এড আছে। ওখানেই ছবি দেখেছি। এখন দেখতে অনেকটা এমা স্টোনের মতো। তবে ফেসবুকে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে ছবি দেয় -_-। এখন ভরসা শুধু ছোট মেয়েটা।
আমি আর ভাইয়া বাসায় চলে আসি। বিকালে ফোন আসে, ওই আংকেল আমেরিকায় যাননি। আমরা যখন তাঁকে এয়ারপোর্টে ছেড়ে চলে আসি তখন তিনি অনেকক্ষণ ওয়েটিংরুমে বসে কি ভেবে আবার উত্তরায় চলে যান। আব্বু উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল, না যাওয়ার কারণটা কি। এতদিন ধরে এত কষ্ট করে ভিসা পাঠানো হল। উনার উত্তর ছিল কিছুটা এমন,
-"বাচ্চা গুলারে ছেড়ে যেতে মন বসছে না। একবছর ওদের না দেখলে মরে যাব। রুবার মাকে (রুবা উনার বড় মেয়ে) ছেড়ে যেতে মনটা কেমন জানি করতেছে। তাই ওয়েটিংরুমে বসে চলে আসলাম। গেলে একসাথে যাব..."
এটা কি বোকামি না বাঙালি বাবাদের ইমোশন, বুঝলাম না। আমি হলে চলে যেতাম...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩