তিনি বাংলার অহংকার-1 এরপর
উচ্চ শিক্ষার্থে লন্ডন যাবার জন্য IELTS কোর্স করতে মার্চের দিকে ব্যাঙ্গালোর যান। গিয়ে জানতে পারেন- নারী সংক্রান্ত একটি ঝামেলার কারণে গুপ্ত ড্যান্স একাডেমীর কার্যক্রম দীঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। তিনি তা পুর্নগঠনের চেষ্টা করে বুঝতে পারেন সবাইকে গ্রুপে রাখলে আবারো ঝামেলার সৃষ্ঠি হতে পারে। তাই ইন্সপেরিয়াল ড্যান্স একাডেমীর আমন্ত্রনে সাড়া দিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত নৃত্য প্রেকটিস করেন এবং " কর্ণাটক এ্যানুয়েল ড্যান্স ফেষ্টিভল 2005" এর ব্রেক ডান্স বিভাগে ইন্সপেরিয়াল ডান্স একাডেমীর অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের সাথে দলীয় ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে২৭ টি দলকে হারিয়ে দিয়ে প্রথম পুরস্কার পান।
গ্রুপের সকল সদস্যদের সাথে পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ীদের দলপতি ( উল্লেখ্য এ বছরের এ প্রতিযোগিতায় সকলের সম্মতিক্রমে তিনই গ্রুপের দলপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরের বছর দলপতি নির্বাচিত হবেন গ্রুপের অন্য কোন নৃত্যশিল্পী।) একজন বিদেশী নাগরিক জেনে একমাত্র মিস্টার চৌধুরীকে উপস্থাপিকা তার সাক্ষাতকার গ্রহনের জন্য তাঁকে মঞ্চে আমন্ত্রন জানানসাক্ষাতকার সহ পুরো অনুষ্ঠানটি স্থানীয় চারটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
মুর্হুতেই এই বাঙ্গালীর কৃতিত্বের কারণে টিভি সেটের সামনে বসা ব্যাঙ্গালোরিয়ানদের প্রত্যেকের কানে "বাংলাদেশ" শব্দটি সগর্বে ঢুকে পড়ে। তাই প্রোগ্রাম শেষে বিজয়ী এই নৃ্ত্যশিল্পী মিস্টার এম. এম. চৌধুরী হাজার হাজার দর্শকের অভিবাদন, হ্যান্ডশেক ও ফুলবৃষ্টির মুখোমুখি হন। এতে গ্রুপের সবাই মুগ্ধ হলেও দর্শকদের বিশাল ভিড় সামলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দারুন বিপাকে পড়েন দায়িত্ব রত পুলিশ ও বিজয়ী গ্রুপের সবাই। ভিড়ের অনেকে ততক্ষনে চারদিকে " বাংলা হিরো-বাংলা হিরো" করে স্লোগান তুলে।
দর্শকদের ভিড় ঠেলে প্রায় এক কি: মি: পথ ভক্তদের সাথে হ্যান্ডশেক করে করে এগিয়ে যেতে মিস্টার চৌধুরীর ও তাঁকে নিরাপত্তা দানকারী গ্রুপের সবার প্রায় দুই ঘন্টার কাছাকাছি সময় নষ্ট হয় ও সবাই অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং নিরুপায় হয়ে পুলিশের গাড়িতে করে গ্রুপের সবাই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। ফলে কম সময়ের মধ্যে অতি দ্রুত "বাংলা হিরো" নামে চারিদিকে মিস্টারর চৌধুরীর আরো খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন থেকে যেদিকেই যাচ্ছেন হুন্ডায় করে বা হেঁটে, পরিচিত-অপরিচিত তরুন-তরুনীদের " হাই-হ্যালো" লেগেই আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে নিজের এত জনপ্রিয়তা দেখে তিনি নিজেই বোকা বনে যাচ্ছেন।
এরই কয়েকদিন পর যখন তিনি আবারো IELTS ক্লাস রিগুলার করছেন, তখন হুট করে রাতের ৯:৩০ ( বাংলাদেশে তখন রাত ১০:০০ টা) এর পর এসপি অফিসের ফরেইনার সেকশানের পুলিশ অফিসার দুজন কনস্টেবল নিয়ে মিস্টার চৌধুরীর ফ্ল্যাটে এসে মস্টার চৌধুরীর কাছ থেকে 500 ডলার ঘুষ দাবী করেন ( বাংলায যা ৩০,০০০টাকার বেশী,তখন প্রতি ডলার ছিল ৬২ টাকা) মিষ্টার চৌধুরী সাথে সাথে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন ও সিঙ্গল ওয়ান রুপিও ঘুষ কাউকে দেবেন না জানিয়ে দিয়ে এসপিকে সবকিছু জানাবার হুমকি দেন। তখন সেই পুলিশ অফিসার মিষ্টার চৌধুরীকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ ফেরত পাঠাবার হুমকি দেন। মিষ্টার চৌধুরী তাতেও না দমে তাদের সামনে দিয়ে হুন্ডা নিয়ে ইনষ্টিটিউটের ডাইরেক্টরের উদ্দেশ্যে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পড়েন। আলাপ শেষে নিজ কক্ষে ফিরে আসেন। পরদিন দুজন সাংবাদিক নিয়ে এস.পি. ও থানায় ওসিকে অবহিত করেন। ফলে উক্ত পুলিশ অফিসার নিজের অপরাধ ঢাকতে মিস্টার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যে অভিযোগ তৈরী করেন, যা তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মি: চৌধুরী, বাঙ্গালোরের বাসান্ত নগরের ডিসট্রিক্ট এসপির কাছে উক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ডিউটির সময়ের পরে ফরেইন ষ্টুডেন্ট এর বাসায় গিয়ে ঘুষ দাবীর ও না দিলে দেশে ফেরত পাঠাবার হুমকি প্রদানের অভিযোগ তুলে তাকে সাত বছরের জন্য চাকুরী থেকে সাসপেন্ড করান। এ যেন দূর্নীতিবাজ ইন্ডিয়ান পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী ছাত্রের এক বিরাট বিজয়। এরপর স্থানীয় বন্ধুদের অনুরোধে ভিন্ন ভাষী বন্ধুদের মাধ্যমে "ভালোবাসা দু:স্বপ্ন (আই.এস.বি.এন. প্রাপ্ত)" উপন্যাসটিকে হিন্দী ভাষায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন। এ বছরের শেষ নাগাদ 34 টি চিত্রকর্মের কাজ শেষ করেন (ভারতের বাঙ্গালোরে ও আবুধাবীতে একক চিত্র প্রদশনী দেবার লক্ষ্যে।
নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে IELTS কোর্স সমাপ্ত করেন কিন্তু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা অসুবিধার কথা ভেবে ইংল্যান্ডে এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা এম.বি.এ. ইন ম্যানেজম্যান্ট করার পরিকল্পনা বাতিল করেন এবং এম. এসসি. ইন কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং- এ ভতি হন এবং ড্রীম স্কোপ থিয়েটারে অডিশানের মাধ্যমে ন্যাট্যভিনেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু 2006 সালের 18 ই জুলাই পযন্ত ভিসা না থাকায় কর্নাটক এ্যানুয়েল ডান্স ফেষ্টিভল 2006 তে অংশ গ্রহণ করতে পারেন নি। নতুন ভিসার জন্য বাংলাদেশ আসতে তিনি ১১-ই জুলাই ব্যাঙ্গালোর ত্যাগ করেন।নতুন ভিসা নিতে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু জোট সরকারের পদত্যাগের পর রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ হঠাৎ ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করাতে জনমনে শংকা বাড়তে থাকে। সেই সাথে পেছাতে থাকে মিষ্টার চৌধুরীর ভারত গমনের তারিখ । তত্বাবধায়ক সরকার এসে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করে রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের (নিদোর্ষ হলেও) বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করার কৌশল হিসেবে নৌবাহীনীদের ক্যাম্পে অভিযোগ বক্স বসায়। মিষ্টার চৌধুরীর পিতা ছিলেন একজন প্রভাবশালী সক্রিয় রাজনীতিবিদ , যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী ও দূর্নীর্তির বিরুদ্ধে অনড়, তাই দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাঁকে সহ্য করতে পারেননা । ঘরে বাইরে তার গোপন শত্রুর অভাব নেই। কিন্তু সেসব শত্রুদের কারো প্রকাশ্যে শত্রুতামী করার শক্তিও নেই সাহসও নেই। ফলে, তারা ছদ্মনামে নৌবাহিনীদের অভিযোগ বক্সে সাজানো ও ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র ফেলে আসে। ফলে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মিস্টার চৌধুরী সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে পছন্দ করেন আর পছন্দ করেন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পরপরই তা সমাধানের পথ খুজে বের করা। সৃষ্ট সমস্যার কারণে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- সমস্যা থেকে মুক্ত না হওয়া পযর্ন্ত তিনি দেশেই থাকবেন।
তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের প্রতিটা মিনিট পার হত- মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামারিকের হাতে নির্যাতিত হবার / নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করার আতংকে।কারণ, ইতিমধ্যে সারাদেশে অনেকে মিথ্যা অছভযোগে অভিযুক্ত হয়ে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের মাধ্যমে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে সামরিক / নৌ-বাহিনীর লোকদের এসব কর্মকান্ডকে তিনি সমর্থন করেননা। কারণ বাহিনীর লোক হলেও তারা যেমন এমবিবিএস না পড়ে কাউকে চিকিৎসা দিতে পারার কথা নয়,, তেমনি এল.এল.বি. ও বেরিষ্টারী না পড়ে তাঁরা কাউকে সাঁজা দিতে পারার কথাও নয়।যার কাজে তাকে সাঁজে, সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। হলে ডাক্তারদের এম.বি.বি.এস. পড়তে হতো না, উকিলদের উকালতি পড়তে হত না। বিচারকদের ব্যারিষ্টারী পড়তে হত না। আর যদি বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে সব কাজ সম্ভব হত, তবে দেশে এত থানা-আদালত-বিচারকের প্রয়োজন হতো না।
তবে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা খুবই জ্ঞানী ও উচ্চ শিক্ষিত। তাই তাঁরা অভিযোগ পাওয়ামাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি, সত্যিকারের অপরাধী কিনা জানতে, ঐ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা আছে কিনা দেখে তারপর পদক্ষেপ নেন। তবে অফিসারদের সবাই এধরনের বুদ্ধিমান নন।যে কারনে মিস্টার চৌধুরীর বুঝতে বাকি ছিল না- অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবার নয়। তাই সময়কে কাজে লাগাতে তিনি শিশু কিশোরদের জন্য লিখতে শুরু করেন" পরী রানীর বন্দিশালা ( যা ২০১৩ সালের একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হবে)" " স্বপ্ন পরীর রুপকথা " ও" ডিমের আলো" কিন্তু তার কোনোটি শেষ না করে বড়দের জন্য তিনি প্রেমের উপন্যাস " বিদেশী গ্রামের মেয়ে" লিখতে গিয়ে অতিবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়া মানুষের দূর্ভোগ দেখে তাঁর চিন্তা ভাবনা থমকে দাঁড়ায়।
বিশেষ করে, সারা পৃথিবীতে বায়ুমন্ডলের চরম উঞ্চতার কারণে সৃষ্ট বিগত ২০০৬ সালে পশ্চিম চীনের বেশকিছু এলাকায় নেমে আসা ভয়াবহ খরায়
মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এক কোটি আশি লাখ লোকের পানি সংকটে সৃষ্ট সমস্যা ও প্রচন্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হাজার হাজার লোকের মৃত্যু ও একই সময়ে প্রবল বর্ষণে ডুবে যাওয়া পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচীর রাস্তা-ঘাট ও একই সময়ে প্রবল বর্ষনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া কলকাতা, অন্ধপ্রদেশ ও তামিল নাড়ুর মানুষের কষ্ট দেখে ও ২০০৭ সালে
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত ৩৪ টি জেলার প্লাবনের পানি নেমে যাওয়ার সময় কুল
ভেঙ্গে হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বসে নিয়ে যাওয়াতে ঘর-ভিটেহারা হাজার হাজার মানুষের গগনবিদারী কান্না ও আহাজারী লেখকের হৃদয় থেকে সেদিন রক্ত ঝারিয়েছিল, তখন তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন সারাবিশ্বে অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে বৈশ্বিক উঞ্চতার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে (যেমনঃ বৈশ্বিক উঞ্চতা কি?এর ক্ষতিকর প্রভাব কি কি? কেন এটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে? গাছ কাটলেও এটা কেন বাড়ে? গাছ লাগালে কিভাবে এটা হ্রাস পায়?) জনচেতনতা সৃষ্টি করে বন নিধন করা থেকে মানুষকে বিরত রাখা।যাতে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড আর বৃদ্ধি না পায় ও বৃক্ষ দ্বারা শোষিত হয়ে বায়ুমন্ডলের কার্বন বলয় ভেঙ্গে পড়ে। আর এসব কথা মানুষের কানে কানে পৌঁছে দিতে অর্থাৎ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জন-সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি সাধারণ কোনো উপন্যাস না লিখে ফিকশন ধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস "ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি" রচনার কাজে হাত দেন। অভিভাবকদের নেতিবাচক মন মানসিকতার কারেণে উপন্যাস রচনা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্থ হন।
কিন্তু লেখকও দমে যাওয়ার পাত্র নন। রাতের দশটায় রুমের আলো নিভিয়ে ধপাস করে বিছানার উপর পড়েন যাতে শব্দ হয় ও সে শব্দ শুনে যাতে অভিভাবকরা মনে করেন- ছেলে লাইট নিভিয়ে ঘুমাচ্ছে। ঘন্টা খানেক পর বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি বিড়ালের মতো নরোম পায়ে নীরবে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নেমে পড়েন ও নিঃশব্দে দরজা জানালা আঁটকে দিয়ে (যেন তিনি রুমের ভেতরে আলো জ্বেলে উপন্যাস লিখলেও কেউ বুঝতে না পারে)উপন্যাস রচনা করতে থাকেন।
পূর্বাকাশ ফর্সা হবার একটু পুর্বে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করে ঘুমাতে যান ।এভাবে উপন্যাসটি শেষ করতে দীর্ঘ ষোলো মাস পেরিয়ে যায়।ততদিনে তার পিতার বিরুদ্ধে নৌ-বাহিনীর কাছে দেয়া অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হতে শুরু করে, তারপরও লেখকের পিতা সমস্য থেকে পুরোপুরি মুক্ত হবার আগেই তিনি লেখককে ব্যাঙ্গলোরে মার্স্টাস করতে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন( মুলত লেখকের উপন্যাস রচনা করাকে থামিয়ে যাওয়ার জন্য)। লেখক তখন সেটা বুঝতে না পারলে ও তখন লেখক ভাবছিলেন অন্য কথা।ব্যাঙ্গালোরে এম.এসসি.তে এ্যাডমিশান নেবার পরে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে যখন লেখকের দেড় বছর সময় নষ্ট হয়ে গেছে আর অনেক কষ্টে রাত জেগে যখন এত বড় একটা উপন্যাস লিখতে তিনি সফলকাম হয়েছেন, তখন আরেকটা মাস ব্যয় করে উপন্যাসটা প্রকাশ করে বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি বা বৃদ্ধির কাজটা শুরু করে দেয়া বুদ্ধিমানের বৈ মূর্খের কাজ বলে গণ্য হবে না। কারণ বৈশ্বিক উঞ্চতার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি/বৃদ্ধির এটাই গুরুত্বপূর্ণ সময় । কিন্তু উপান্যাসটি প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক বুঝতে পারলেন- বই প্রকাশ করা খুব জটিল একটা ব্যাপার। কারণ প্রকাশনা জগতের সাথে জড়িতদের প্রায় সবারই(কবি-লেখক ও সাহিত্যিকরা ছাড়া) ঈমান-জবান ঠিক নেই। সব মিথ্যুক, দু'নম্বর ও ধান্দাবাজ। লেখকও অবশ্য হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নন, যা করবেন বলেন তা করেই ছাড়েন । তাই অভিভাবকদের প্রবল বিরুধীতা স্বত্বেও অটল সিদ্ধান্তের কারণে তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশনা জগতের ধান্ধাবাজ মিথ্যুক লোকদের উপর প্রেসার ক্রিয়েট করে উপন্যাসটি প্রকাশ করতে সক্ষম হন।
আর উপন্যাসটি প্রকাশিত হবার পরপরই সকল বয়সের বই পড়ুয়া পাঠকদের কাছে বিশেষ করে স্কুল,কলেজ ও ভার্সিটিগামী তরুন তরুনীদের কাছে প্রিয় উপন্যাসে পরিনত হয় এবং তিনি পরিণত হন তাদের প্রিয় লেখকে ও প্রিয় এক স্বপ্নে ।যা পাঠক পাঠিকাদের ফোনে প্রেরণ করা বিভিন্ন এসএমএস ও কল থেকে অনুমান করা যায়।
ভালোবাসার রোদ বৃষ্টির ৩০ পৃষ্ঠা পড়তে ক্লিক করুন X
এরপর
তিনি বাংলার অহংকার -৩
নির্মাণের কাজ চলছে, একটু ধৈর্য্য ধরুন, রবির স্লো নেটের কারণে ও বিভিন্ন ধরণের ব্যস্ততার কারণে একটু সময় লাগছে। ধন্যবাদ।