--ভালোবাসার রোদ বৃষ্টি-----------------------------
- (ফিকশনধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস)------------------
- সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু
ভারতের ব্যাঙ্গালোর যেন ভার্সিটিরই শহর যার প্রতিটা ভার্সিটিতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় প্রায়ই লেগে থাকে।লেখক তার সুনিপুন হাতে এ উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন- ব্যাস্ত শহর ব্যাঙ্গালোরের বিভিন্ন ভার্সিটিতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের চাল-চলনের সহজ চিত্র। সেখানকার শ্রীনাল মনিপাল ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ হতে আগত হ্যান্ডসাম "চৌ" এ উপন্যাসের নায়ক আর নায়িকা হচ্ছেন- পরীসদৃশ অনিন্দ্য সুন্দরী রাশিয়ান মেয়ে "রোজরেগেনেহেম স্যাগেল্স শোর্নে" সংক্ষেপে "স্যা"। এমফিল-এ ভর্তি হতে গিয়ে চৌ রাশিয়ান সুন্দরী "স্যা" এর চোখে প্রথম দেখায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেন, ভুলতে পারেন না- সুন্দরীর গভীর নীল দুটি চোখ ও পেলব গোলাপী ঠোঁট। তাই আরেকবার দেখার আশায় সারারাত তৃর্ঞ্চাথ হয়ে থাকেন।পরদিন চৌ চারদিকে শুধু নীল চোখা পরীকেই সবার মাঝে খুজে ফেরেন, নিরাশ হন। কিন্তু নিরাশ বদনে ক্লাসে ঢুকার একটু পরই সেই নীল চোখা পরীর সাথে চোখাচোখি হন। তখন তাঁর তপ্ত মনে এক ঝাপটা জলের ছিটে পড়ার মতো সুখানুভূতির জন্ম নেয় ও বুকে ভয়ের ঢাং ঢাং ঘন্টা বেঁজে উঠে। পরদিন থেকে চৌ ক্লাসের রিগুলার স্টুডেন্ট। ক্লাসে প্রতিদিন সে সুন্দরীর সাথে দেখা হয়, হাই-হ্যালো হয়। সেই হাই-হ্যালোর খুশির স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক দুর ও আনমনা করে সবসময়। এভাবে চৌ, স্যা এর প্রতি ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়েন। স্যা এর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সান্জি তা বুঝতে পেরে চৌ এর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে।
অন্যদিকে সারাবিশ্বে বৈশ্বিক উঞ্চতার কারণে বাংলাদেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম, পাকিস্তানের করাচী, ভারতের তিনটি প্রদেশের অনেকাংশ অতিবৃষ্টির পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা উক্ত ভার্সিটিতে "গ্লোবাল ওর্য়ামিং" বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করেন। সে সেমিনারে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য শেষে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে "গ্লোবাল ওর্য়ামিং" রোধ করতে উপযুক্ত প্রজেক্ট আহবান করা হয়। সেমিনার শেষে ব্যালকনি দিয়ে চলে আসার সময় চৌ, স্যা' কে দুষ্টামীর ছলে "আই লাভ ইয়্যু" বলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তাই পরদিন থেকে স্যা ক্লাস মিস করতে শুরু করে, চৌ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সৃষ্ঠ সমস্যা সমাধানে সান্জি এগিয়ে এসে স্যা ও চৌ কে নিয়ে মুভি দেখতে যায়, কিন্ত সেখানে সান্জি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। স্যা ও চৌ মিলে সান্জিকে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করায় ও ক্যাবিন নেয়। ফলে চৌ, স্যা-এর নিকটে আসার -এক বিছানায় বসে গল্প করার ও ভাব আদান-প্রদান করার সুযোগ পায়। ক্যাবিনের তিনদিন-তিনরাতের প্রতিটা মূহুর্ত, স্যা ও চৌকে ভালোবাসার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছেঁ দেয় অসংখ্য অন্তরঙ্গ মূহুর্তের মধ্য দিয়ে। ভুলা যায় না এমন অনেক অন্তরঙ্গ মূহুর্তের মধ্য দিয়ে লেখক এটিকে দারুণ একটি প্রেমের গল্পে পরিণত করেছেন তাঁর সুনিপুন লেখনী শক্তির মাধ্যমে, যা সত্যি প্রশংসনীয়।
ক্যাবিনের সেই অবিস্মরণীয় রাতগুলোতে স্যা-এর সঙ্গে গল্প করতে করতে চৌ ঠিক করে নিয়েছিলেন- নিজের প্রজেক্টটি (যে প্রজেক্টের মাধ্যমে তিনি সারা পৃথিবীর অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রেনে এনে পৃথিবীকে সবার জন্য আরামদায়ক ও নিরাপদ বাসস্থানে পরিণত করতে চান এবং জাপানী বিজ্ঞানীদের প্রজেক্টকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ন্ত্রেনে আনার ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত নয় প্রমাণ করতে চান।) ও একই সাথে ঠিক করে নিয়েছিলেন- স্যা এর প্রজেক্টটিও (যে প্রজেক্টের মাধ্যমে স্যা তাঁর নিজের ও চৌ-এর ডি-এন-এ থেকে এমন দুটি টেস্ট টিউব বেবীর জন্ম দেবেন, যাদের দুটি করে হাত থাকবে-হাতের পেছনে একটি করে ডানাও থাকবে। ফলে তারা আকাশে উড়তে পারবে-পানিতে ভাঁসতে পারবে ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় পানিতে ভেঁসে ভেঁসে বেঁচে থাকতে পারবে।)।
কিন্ত প্লান অনুযায়ী তাঁদের এ দুটি প্রজেক্টের কাজ দুটো পৃথক ল্যাবে সফলতার সহিত এগিয়ে যাবার সময় তাঁদের দুজনার আন্তরিকতাপূর্ণ প্রণয়কে লন্ডভন্ড করে দেয় বহুমুখী প্রতিবার অধিকারী চৌ-এর ড্যান্স কম্পিটিশানের একটি দৃশ্য। স্যা কোনোভাবেই সে দৃশ্যকে স্বাভাবিকবভাবে মেনে নিতে পারে না। তাই তাঁরা দুজন বাচ্চাদের ভ্রুণের টেস্টটিউবে পাশাপাশি বসে কাজ করলেও স্যা, চৌ-এর কোনো কথার জবাব দেয় না, নিরুত্তর থাকে। দুজনের চোখ কান্নার জলে লাল হলেও সম্পর্কের উন্নয়ন হয় না। সম্পর্কের উন্নয়নে স্যা বার বার র্ব্যথ হয়ে চিরতরে রাশিয়া চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এক্সিট পারমিট ও এয়ার টিকেট সংগ্রহ করে। বাচ্চা দুটো মাতৃহীন হতে যাচ্ছে দেখে অসহায় চৌ নিরুপায় হয়ে সান্জিকে কল করে, স্যাকেও কল করতে বাধ্য হয়। স্যা ইন্ডিয়া ত্যাগের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। চৌ বাচ্চা দুটোকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, তারঁ দু'চোখের পৃথিবী ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। তারপর. . . . . . . . . . ! তারপর. . .আরো অনেক কিছু। আন্তরিকতাপূর্ণ প্রণয়, আবেগাপ্লুত মিলন, বিষাদ জড়ানো বিচ্ছেদ, হাসি-কান্না, কৌতুক ও বাস্তবতায় পূর্ণ ফিকশন টাইপ রোমান্টিক এ উপন্যাসটি ১৪৪ পৃষ্ঠার, মূল্য- ২০০ টাকা। বইটি প্রকাশ করেছে- একুশে প্রকাশন, ঢাকা। লেখককে হ্যালো:-০০৮৮-০১৮১৩৮৩০১০৩,০০৮৮-০১৯২০৭৭০৯৯৬ ।
[email protected]
প্রাপ্তি স্থান:-
-------------------------------------ঢাকা:- -----------------------------
(১) গ্যালারী জিরাস কে,শপ নং-৩,ব্লক-এ,লেভেল-৬,বসুন্ধরা সিটি,পান্থপথ,ঢাকা।
(২) বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি, নিউ মার্কেট,ঢাকা।
---------------------------আন্দরকিল্লা,চট্টগ্রাম- ----------------------
(১) ছাত্র শিক্ষক লাইব্রেরী।
(২) প্রাইম বুকস।
(৩) হোসাইনিয়া লাইব্রেরী।
(৪) আল-মদিনা কুতুব খানা লাইব্রেরী।
(৫) বাতিঘর লাইব্রেরী।
(৬) পাঠকপ্রিয় লাইব্রেরী।
(৭) স্টুডেন্ট লাইব্রেরী।
---------------------------------চকবাজার,চট্টগ্রাম-----------------------
(১) বুক ব্যাংক লাইব্রেরী।
(২) ডান ভার্সিটি লাইব্রেরী।
(৩) নুর লাইব্রেরী।
----------------------------------বান্দরবানে-------------------------------
(১) হোপফুল,উজানী পাড়া, বান্দরবান।
-------------------------চকরিয়ায়(চিরিঙ্গায়)----------------------------
(১) নিউ আজাদ লাইব্রেরী।
(২) জেনুইন লাইব্রেরী।
(৩) বই বিতান।
(৪) মের্সাস ইত্যাদি ষ্টোর।
-------------------------কক্সবাজার-(মার্কেট শর্ট)।--------------------
--------------------------- কুতুবদিয়া----------------------------------
(১) ছাত্র বন্ধু লাইব্রেরী।
(২) আইডিয়াল বুক হাউস।
(৩) বিছমিল্লাহ লাইব্রেরী।
কক্সবাজার-ও অন্যান্য জায়গায় বিক্রি শেষ।(মার্কেট শর্ট)।
উপন্যাসটি বিস্তারিত এখান থেকে পড়ে নিন
http://facebook.com/novel.bhalobasar.rood.bristy
ফেইচবুকে ভালোবাসার রোদ বৃষ্টির পেইজ
ভালোবাসার রোদ বৃষ্টির আকাশছোয়া জনপ্রিয়তার পর তিনি প্রকাশ
করতে যাচ্ছেন--
ভালোবাসার ঝড় তুফান (উপন্যাস)
পরী রাণীর বন্দিশালা (রুপকথা)
ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় (কাব্যগ্রন্থ)
(আগ্রহী প্রকাশকরা যোগাযোগ করুন-হ্যালো: -
০০৮৮-০১৮১৩৮৩০১০৩,০০৮৮-০১৯২০৭৭০৯৯৬ ।
[email protected]