ছোটবেলা থেকে বাংলা ১ম পত্রে বিভিন্ন চরিত্র বিশ্লেষণ করতে করতে বাঙালিদের চরিত্র বিশ্লেষণের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে......
ইহারা নিজ চরিত্র ব্যাতিত সকল চরিত্র বিশেষ করে নারীদের চরিত্র বিশ্লেষণে অত্যন্ত প্রফেশনাল।
বিশেষত সুন্দরী দেখলেই ইহাদের চরিত্র বিশ্লেষণের হুজুগ আকাশচুম্বী হয়ে যায়...
# নারী, নারী, আহা নারী !!!
এলাকার নারী, টেলিভিশনের নারী, খেলোয়ারগনের বউ, প্রতিবেশীর বউ, নারী ক্লাসমেট-কলিগ কেউই ইহাদের বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্তি হতে রক্ষা পায় না, এমনকি বোরখা পড়িয়াও ইহা হইতে নিস্তার অসম্ভব। পরিশেষে ফলাফল একটাই, 'চরিত্রহীনা' ট্যাগ ধরায় দিয়া, কিছু হাদিস শুনাইয়া এরা উপসংহার টানিয়া দেয়।
# ভার্জিনিটি.....
বাঙালি এই কিংবদন্তী চরিত্র বিশ্লেষকগণ স্বীকার করিতে নারাজ যে এদেশে কোন ভার্জিন বা কুমারী মেয়ে অবশিষ্ট আছেন, কিন্তু কে বা কাহারা এদের ভার্জিনিটি ধ্বংস করিল তাহা লইয়া এরা কোনদিন প্রশ্ন তুলিবে না, আলোচনা করিতেও নারাজ।
# ধর্ষণ....
ধর্ষিতার চরিত্র বিশ্লেষণে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি আগ্রহী ও সুদক্ষ বাঙালি চরিত্র বিশ্লেষকগণ। ধর্ষকের জননাঙ্গ কাটিয়া দিবার সাজেশন দিয়াই ইহারা বলিবে, "মেয়েটাকে কেন ধর্ষণ করা হইল? নিশ্চয়ই মেয়েটার জামাকাপড় ঠিক ছিল না, নিশ্চয়ই মেয়েটা ছেলেটাকে ধর্ষণে প্ররোচিত করেছে, নিশ্চয়ই মেয়েটার চরিত্রে সমস্যা আছে। [ * উল্লেখ্যঃ বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার ৬৯% এর বয়স ১২ বছরের নিচে। ] "--এই বক্তব্যের মাধ্যমে তাহারা ধর্ষণকে একটি আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তিরূপে প্রমান করিতে চায়, হালাল বলিয়া জায়েজ করিতে চায়।
মধু, মধু !!!
চরিত্র বিশ্লেষণ চিরজীবী হোক......
বাঙলার এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীময়......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯