প্রিয় ব্লগার ভোরের সূর্য,
আমার ফুটবল ও সে সংক্রান্ত কিছু সস্তা চেতনা এবং ছোট একটি কথা না বললেই নয়.... লেখাটিতে আইনগত দিক থেকে আপনি যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তার প্রতি আমার সম্মান আছে। সেখানে একটু পর আসি। আমার মনে হয়েছে আপনার প্রাতুত্তরে আমার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো লেখা প্রয়োজন, এজন্যই এই ব্লগটি লেখা।
অলিম্পিকে একজন খেলোয়াড় দেশের হয়ে খেলতে যেয়ে পতাকা ওড়ানো আর একজন দর্শক পতাকা ওড়ানোর তফাৎটা অনেক, সেটা বোঝার বুদ্ধি বোধকরি আপনার রয়েছে।
আইনের কথা বলছিলেন? ঢাকার জাহাঙ্গীর গেট থেকে শুরু করে, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বিজয় সরণী, মানিক মিয়া এভিনিউ, মিন্টো রোড ও এর আসেপাশের কিছু স্থানকে বলা হয় ভিআইপি রোডস। এসব রাস্তায় সাধারন অবস্থায় অনুমতি ব্যাতিত যেকোনো স্টেজ তৈরি, সভা-সমাবেশ কিংবা এরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। কিন্তু এদেশের সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখে এই আইন পুরোপুরিভাবে বরখেলাপ হয়, কিন্তু তখন আইনের কার্যকরীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। কারন, এটা একটা সার্বজনীন উৎসব, আর এই একদিনের জন্য ঘটা করে আইন পরিবর্তনের চিন্তাও করা হয়না, এর প্রয়োজনও নেই। তেমনি বিশ্বকাপ ফুটবলও একটি সার্বজনীন উৎসব, এখানে যুগের পর যুগ ধরে শুধু বাংলাদেশে না, সারা পৃথিবীতে শত কোটি মানুষ নিজেদের পছন্দের দলের পতাকা ওড়াচ্ছে। এটা নিয়ে আমেরিকা বা ইতালির মত জাতীয়তাবাদী দেশেও কেউ এমন প্রশ্ন তৈরি করছেনা, সেখানেও সুস্পষ্টভাবে পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত আইন মেনে চলা হয়। বাংলাদেশের মানুষও সেই শত কোটির থেকে আলাদা নেই।
দৃষ্টিকটু বলছেন? যেখানে সারা বিশ্ব একই ভাবে উৎসব পালন করে চলেছে সেখানে দৃষ্টিকটুত্ব কোথা থেকে আসে?
আর এর জন্য আইন পরিবর্তনের প্রস্তাবও নিছক নির্বুদ্ধিতা ও হাস্যকরও বটে।
আশা করি আমার কথা আপনি বুঝবেন।