প্রথম দেখেছিলাম তোকে এপ্রিল মাসে,
ফিজিক্স টিউশানে,
করুণাময়ীর সরকারি আবাসনের একটা ফ্ল্যাটে।
প্রথমদিনেই তোর সাথে হয়েছিল ঝগড়া---বায়োলজি নিয়ে;
আবার বাড়ি ফেরার পথে,
আলোচনার বিষয়ও ছিলিস 'তুই', বন্ধুর সাথে।
এখন মনে হয়---হয়ত সেই এপ্রিলের ১৩ তারিখেই
হয়েছিল আমার ভাগ্য-লিখন!
তারপর বন্ধুত্ব হল আস্তে আস্তে ,
সব শত্রুতা ভুলে।
হয়ে উঠলাম তোর খুব কাছের এক বন্ধু।
একদিন আবিষ্কার করলাম---
তোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি!
হঠাৎ ঘটল ছন্দপতন।
একরাতে কথা বলার সময় তুই জানালি---
একটা ছেলেকে ভালোবাসিস।
তোর ফোনটা রেখে দিয়ে
আমি ছাঁদে দাড়িয়ে কেঁদেছি,
আমার সমস্ত আবেগ দিয়ে
ওই অন্ধকারে বসেই লিখেছি;
দুঃখের কবিতা নাকি ভালোবাসার কবিতা?
তারপরও বন্ধু হয়ে থেকেছি তোর পাশে,
একবারও নিজের মনের কথা বলিনি তোকে।
শুধু এই ভেবে---যদি দুঃখ পাস।
ভালোবেসে গেছি তোকে
একই ভাবে, অন্তরে অন্তরে।
হঠাৎ কী যেন হল তোর অগাস্টে,
রাত জেগে কথা বলতে থাকলি আমার সাথে,
ভালোবাসিস তুইও জানালি একরাতে।
তারপর অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি একসাথে;
দেখেছি তোকে আরও কাছ থেকে,
ভালোবেসেছি তোকে আরও অনেক বেশি করে।
তারপর শুরু হল মান-অভিমানের পালা।
বুঝতেও পারিনি একবারের জন্যে
এত অভিমান জমে গেছে তোর বুকে।
একদিন বিচ্ছেদ এল দুঃসপ্নের মতো;
কিন্তু থেকে গেলো অদ্ভুত এক টান।
বিচ্ছেদের পরে নিজেকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি,
কিন্তু প্রতিবারই সেই একই উত্তর পেয়েছি---
তোর কণ্ঠে 'ভালোবাসি'।
আর এখন জানুয়ারিতে এসে
আমি আর তুই যেন
আবদ্ধ কোন বন্ধনহীন চিরন্তন বন্ধনে।
এটা আমার উপলব্ধি 'তোকে ভালোবাসি';
তোর উপলব্ধিটা কি তাও হয়ত জানি।
তবুও তোকেই ভালোবাসি,
হ্যাঁ পাগলী তোকেই ভালোবাসি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৬