ছোট শিশুরা যখন এই ছবির প্রকৃত অর্থ হৃদয়াঙ্গম করতে পারে তখন কিন্তু সে সচেতনহয়। সেই শিশুটি ছেলে হলে বুঝে থাকে তার মা, বোন এবং পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রী... না দেখা, মূল্যায়িত না হওয়া এমন অনেক কাজ করছে যা অনেক সময়ই খালি চোখে দেখা যায় না।
আপনি পুরুষ যখন দিন শেষে কাজ থেকে ফিরে পরিষ্কার বাসায় প্রবেশ করেন তখন কিন্তু আপনার মাথায় অনেক সময়ই কাজ করেনা এই বাসাকে পরিস্কার রাখতে আপনার স্ত্রী সারাদিন শ্রম দিচ্ছেন।
কিন্তু আপনি যখন বাসায় ফিরলেন দেখলেন আপনার স্ত্রী টিভি দেখছে বা (ক্লান্ত শরীরে) একটু বিছানায় গা এলিয়েছে...।
আপনি ধরেই নিলেন আপনার স্ত্রী সারাদিন এইই করে বেড়ায়।
তাইতো অনেক পুরুষই বলতে ছাড়েনা...সারাদিনতো খালি খাওন আর ঘুমানি...
কাজের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। ছোটবেলা থেকেই যদি এই মানসিকতা নিয়ে শিশু বেড়ে উঠে তবে সে ভবিষ্যতেও তাই করবে যা সে ছোটবেলা থেকেই করছে, দেখছে।
এই ছবিটা দেখুন...সংসার দু'জনে মিলে সুষ্টুভাবে মিলিমিশে সামলানোই আসল কথা। কোনটা কে করবে সেটা জরুরী নয়।
মিনা কার্টুন দেখেছি বা মিনা কার্টুন সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ কমই আছে। এই কার্টুনে খুব পরিষ্কারভাবেই বোঝানো হয়েছে কারো কাজই ছোট নয়। তা গরুর গোবর পরিস্কার হোক, বা চুলা জ্বালানো বা মুরগীকে খাবার দেয়া হোক বা গরুর রাখালি করাই হোক।
তাইতো রান্নার জন্যে পাতা, কাঠ সংগ্রহ করা কোন কাজ নাকি? পাতা যোগার করা থেকে শুরু করে রান্না করলে বোঝা যায় কতো গমে কতো আটা!
ছবি কৃতজ্ঞতা: প্রথম ছবিটি আমার কন্যা পত্রিকা থেকে দেখে এঁকেছে। বাকীগুলো ওদের স্কুলের ক্লাসমেটদের আঁকা।
------------------------------
বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮