প্রচলিত ধ্যান-ধারণা হচ্ছে নারী হবে নরম-কোমল, সর্বংসহা (মাতা), মনোরঞ্জনকারিনী (বধূ)।
তারা থাকবে অন্দরমহলে।
আর তাই প্রবাদে শোনা যায়...
'ঝি নষ্ট হয় হাঁটে, বউ নষ্ট হয় ঘাটে'।....অর্থাৎ ঝি কে হাঁটে-বাজারে-মার্কেটে পাঠানো যাবে না আর বউকে পুকুর ঘাটে পাঠানো যাবে না (যদিও গ্রাম এলাকায় পরিবারের পানির যোগান দাতা সাধারণত নারীই)। অন্দর মহলের নারী, মাতা-বধূ যখন স্বামীর মৃত্যুতে, স্বামীর নির্যাতন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কারণে আশ্রয়হীন হচ্ছে, স্বামীর দূরারোগ্য ব্যাধিতে/ অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অর্থকষ্টে অন্যের কাছে হাত পাতছে, কন্যা শিশুটির যখন আর স্বাভাবিক, নিরাপদ শৈশব, কৈশোরের নিশ্চয়তা থাকে না তখন প্রশ্ন জাগে মনে, তাহলে অন্দর মহলের এই হেরেমবাসিনী মাতা-বধূ-কন্যার ভবিষ্যৎ কী? সে কি তার বাবা-ভাইয়ের কাছে আশ্রয়, সাহায্য প্রার্থনা করবে, শিশুটি অন্যের গলগ্রহ হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে বেড়ে উঠবে?
আর তাই প্রয়োজন নিরাপদ শৈশবের, প্রয়োজন আত্ননির্ভরশিলতার, শিক্ষার যেই শিক্ষা তাকে আলোর পথ দেখাবে, বলবে মুক্তির কথা। যে অন্যের কাঁধের বোঝা হয়ে নয় বরং নিজে একাই পথ চলতে পারবে আপন আলোয়।
রিপোস্ট: প্রথম প্রকাশ: ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৮
উৎসর্গ: সুবিধা বঞ্চিত নারী, তোমার চরণে
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩