কয়েক মাসের মধ্যেই মেডিকেলের জীবনটা বি:স্বাদ হয়ে উঠলো। শুধু মুখস্ত করতে হয়। আবার শিবিরের উপর তখন খুব অত্যাচার হচ্ছিল। সামরিক শাসকদের এটি পুরানো কৌশল। তারা ছাত্রদেরকে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত রাখে যাতে ছাত্রেরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে।
এরকম সময়ে একদিনে ক্লাস শেষে হলে ফিরে দেখি খাকি খামে চিঠি। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য স্কলারশীপ পেয়েছি।
বাবা-মা ডাক্তারী পড়া চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। তাছাড়া আন্ডারগ্রাজুয়েট লেভেলে বাইরে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে, সব কিছু বুঝিয়ে বলাতে রাজী হলেন।
দ্রুত সব গুছিয়ে নিলাম। আমাদের সময়ে মেডিকেলে ভর্তি হলে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট জমা দিতে হতো। ভর্তি বাতিল না করলে সার্টিফিকেট ফেরত পাওয়া যেতো না। অবশেষে ভর্তি বাতিল করে সার্টিফিকেট তুলে নিলাম।
আমাকে বিদায় দিতে এয়ারপোর্টে ঢাকা মেডিকেলের শিবিরের সব ভায়েরা এসেছিলেন। তারা আমাকে একটা জায়নামাজ আর অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ কোরান শরীফ উপহার দিয়েছিলন। সেই উপহার দুটো এখনও আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি।
১৯৮৯ সালের ৪ জানুয়ারী দেশ ছেড়ে চলে গেলাম।