(১)
আমি ধুমকেতুর মত আসি
উল্কার বেগে চলে যাই
মাঝখানে একশ্রেণী পাঠক তৈরী হয়
সংগ্রামী যোদ্ধার মত,
ওরা সময়ের সাথে প্রতিদন্দ্বীতায় নামে
জীবনের সাথে করে সংগ্রাম
মৃত্যুকে করে অবহেলা
বলে- মৃত্যু! এ আর এমনকি
জন্মগত অধিকার আমার
গ্রহিতে হবে একদিন।
(২)
আমাকে তোমরা হতাশ করেছ ‘বিদ্রোহী’ উপাধিতে
আমি বিদ্রোহী নই
আমি বিদ্রোহের নগরী
আমার নগরীতে জন্ম নেয়া প্রতিটা যুবক বিদ্রোহী
আমি প্রতিটা বিদ্রোহের একটি নতুন সূচনামাত্র…।
বঙ্গ তখনও হয়নি ভঙ্গ
আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়েছিল বন্ধ
ইতিহাসের অকাল স্রোতের টানে
আমি জেল থেকে বলেছিলাম
সিপাহী বিদোহের আমিই মূল কারণ।
ছেচল্লিশের দাঙ্গায় বিভক্ত আমি
হৃদয়ের উষ্ণতা থেকে বলছি
দুটি সম্প্রদায়ের বিভাজনে
রক্তাক্ত রক্তস্রোতে স্নাত হতে চাইনি।
(৩)
আমাকে তোমরা কবি বলেছ
কিন্তু...
কবিতা লেখা হয় কলম দিয়ে
আর আমার সমস্ত লেখা চিত্রিত হয়েছে রক্তে
কিংবা হৃদয়ে জন্ম নেয়া
ভালোবাসার বিনিময়ে।
আমি আগেও বলেছি বহুবার, এখনও বলেছি
আমি বিজ্ঞানী হতে আসিনি
আমি কবি হতেও আসিনি
আমি এসেছি মানুষকে ভালোবাসতে।
আমি একটি অব্যক্ত ভাবের প্রকাশ
আমি একটি চিন্তাশীল চেতনা
আমি একটি তন্দ্রাচ্ছন্ন স্বপ্ন
সর্বোপরি আমি অভ্যন্তরীণ জাগ্রত বিবেক।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬