নারী জাতির জন্য দাজ্জালি শক্তির জাল
দাজ্জালি শক্তি মুসলিম নারীদের জন্য ভয়ানক জাল তৈরি করেছে এবং এ জালে শিকারীকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে চমৎকার সব ধ্বনি দিয়ে তা সাজিয়ে রেখেছে। তারা ভালো করেই জানে যে, মুসলিম নারীজাতি যদি এ জালে ফেঁসে যায়, তবে মুসলিম পুরুষজাতিকে পরাজিত করা তাদের জন্য কঠিন কিছু হবে না। কেননা, মুসলিম নারীগণ ইসলামকে রক্ষার জন্য যুগে যুগে বড়ত্ব ও বাহাদুরীর স্বাক্ষর রেখেছে। যেখানেই ইসলামের উন্নতি সাধনে পুরুষগণ প্রতিযোগিতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে নারীগণও কোন অংশে পিছিয়ে রয়নি। এমনটি কখনও হয়নি যে, পুরুষগণ রণাঙ্গন বিজয় করে ফেলেছে সাথে সাথে নারীদের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা সেখানে পরিলক্ষিত হয়নি। বরং এক সময় তো এমনটি হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষদের সেনাদল একের পর এক পরাজয় বরণ করতে লাগল এবং শত্রুরা মুসলমানদেরকে ধারাবাহিকভাবে পরাভূত করছিল। মুসলিম দেশগুলোকে একের পর এক কাফেররা বিজয় করছিল। এমনকি শেষ পর্যন্ত সেখানে না মসজিদ বাকি ছিল না মাদ্রাসা – কাফেররা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। মাদ্রাসাগুলোকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উলামাদেরকে জীবিত দাফন করে দেওয়া হয়েছিল। মসজিদগুলোকে মদের আড্ডাখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ইসলামী নামকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। প্রত্যেক মুসলমানকে জোরপূর্বকভাবে মুরতাদ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে পুরুষদের সাহস ভেঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু এমন কঠিন ও নাজুক পরিস্থিতিতেও মুসলিম মহিলাগণ সাহস না হারিয়ে স্বীয় প্রতিশ্রুতিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর তরফ থেকে দেওয়া দায়িত্বসমূহকে পালন করেছিল। তারাই ঘরের আঙ্গিনায় বসে বসে নিভু নিভু করতে থাকা ইসলামের আলোকে জ্বালিয়ে রেখেছিল। সন্তানদের সিনায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর কালেমা জীবিত রেখেছিল এবং শিখিয়েছিল যে, তারা মুসলিম জাতি।
দাজ্জালি শক্তি মুসলিম মহিলাদেরকে এ ভয়ানক জালে ফাঁসানোর জন্য একটি বাণী আবিস্কার করেছে যে, মহিলাগণ যদি ঘর থেকে বের না হয়, তবে সামাজিক উন্নতি সম্ভব নয়। মনোবৃত্তির পূজারী পুরুষগণ প্রত্যেক যুগেই নারীদেরকে কলঙ্কিত করে আসছে। নারীরা যতই তাদের বাণী, কার্যক্রম এবং ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা রাখবে, ততই তাদের দুঃখ দুর্দশা, কষ্ট ও অপমানের সম্মুখীন হতে হবে। এ ব্যাপারে কুরআন হাদিসে এতকিছু বর্ণিত রয়েছে যে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের জন্য এর চেয়ে বেশি কিছুর দরকার নেই।
কিন্তু মডার্ন (দাজ্জালি) সংস্কৃতির জাদু যেহেতু মহামারীর আকার ধারণ করেছে, সেহেতু সমাজের মা ও বোনদের জন্য (যারা পশ্চিমা বিশ্বের দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবীদের বানীগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন) দার্শনিক ও সাহিত্যিক খলিল জিবরানের নিম্নোক্ত বাক্যগুলো পেশ করা হলঃ
Modern woman,
Modern civilization has made woman a little wiser, but it has increased her suffering because of man’s covetousness. The woman of yesterday was a happy wife but the woman of today is a miserable mistress. In the past she walked blindly in the light, but now she walks open-eyed in the dark. She was beautiful in her simplicity and strong in her weakness. Today she has become ugly in her, ingenuity, superficial and heartless in her knowledge” (A Third Treasury of Khalil Gibran, P: 144)
হে প্রিয় মা ও বোনেরা! আপনাদের এবং আপনাদের সন্তানদের ধ্বংসের জন্য দাজ্জালি শক্তি কি কি কার্যক্রম শুরু করেছে, এগুলো একটু লক্ষ্য করুনঃ
“আপনি হয়ত খেয়াল করে থাকবেন, পশ্চিমারা প্রায়শই নানাবিধ অধিকারের নামে বাচ্চাদের কোলে নেওয়া, তাদের লালন পালন করে বড় করা, বাচ্চাদের সাথে পিতামাতার ব্যবহার, মায়ের সুস্থতা, বাচ্চাদের স্বাধীনতা এবং চারিত্রিক ও ধর্মীয় দিক থেকে বাচ্চাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করে থাকে। তাদের ভাষ্যমতে, পিতামাতাকে সন্তানের প্রতি কোনরূপ ধর্মীয় বিষয় গ্রহণের জন্য বাধ্য করা ঠিক নয়। পিতামাতার উচিত তার সন্তানকে ধর্মীয়, চারিত্রিক ও আভ্যন্তরীণ বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা।
বাচ্চাদের সর্ববিষয়ের বইপুস্তক, পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন অধ্যায়ন করার স্বাধীনতা থাকা চাই। এমনকি সে যদি অশ্লীল বা যৌন বিষয়ক ম্যাগাজিন ক্রয় করতে চায়, তবে এটাও তার মৌলিক অধিকার। পিতামাতাকে বাচ্চার ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করা চাই। পাশাপাশি অশ্লীলতার এ কাজগুলো যদি সে মুখের দ্বারা বা লেখালেখির দ্বারা প্রচার করতে চায় বা টিভি/ইন্টারনেটের মাধ্যমে বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে চায়, তাহলে এসব কাজেও তার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকা উচিত।
স্বাধীন নিরাপদ যৌনসম্পর্ক, এ বিষয়ে তথ্যাবলী, যোগাযোগ মাধ্যম এবং যৌন শিক্ষা সহজকরণ – এ বিষয়গুলো প্রতিটি উন্নয়নশীল সমাজকে অনুসরণ করতে হবে। নারীগণ তাদের গর্ভ রাখবে না নস্ট করে দেবে, এটাও তাদের মৌলিক অধিকার। পাশাপাশি এমন অবৈধ সন্তান ও অবিবাহিত নারীদের এমনই সামাজিক অধিকার প্রদান করতে হবে, যেমনটি অন্যদের প্রদান করা হয়।
উপরোক্ত বিষয়াবলীতে যদি পিতামাতা সন্তানের সাথে জবরদস্তিমূলক কোন আচরণ করে, তবে সন্তানের অভিযোগে পিতামাতাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। অসদাচরণের ক্ষেত্রে মারধর ছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষায় সন্তানকে বাধ্য করার বিষয়টি শামিল”।
এধারনাগুলো পড়ার পর নিশ্চিতভাবেই মুসলিম বিশ্বের মায়েরা কেঁপে উঠবেন। কিন্তু সারা বিশ্বের কাফের সম্প্রদায় আমাদের ঘরে এমনই পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের ঘরের ব্যাপারে তাদের ইচ্ছা যে, যেমনভাবে তাদের ঘরগুলোতে অশান্তির আগুন লেগেছে, তেমনি আমাদের ঘরগুলোতেও এ আগুন লেগে যাক।
বর্তমান সময়ে দাজ্জালি শক্তিসমূহের সার্বিক প্রচেষ্টা, দিন রাত মেহনত এবং নতুন কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে একটি কথা অবশ্যই বুঝে আসে যে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বেশি জোর দুটি বিষয়ে।
একঃ মুসলিমভূমিগুলোতে আগ্রাসন। এবিষয়কে তো সারাবিশ্বের মুজাহিদীনগণ সামলে নিয়েছেন।
দ্বিতীয়ঃ আনেওয়ালা প্রজন্ম। আর এ বিষয়টিতে মুসলিম মহিলাগণ দায়িত্বশীল।
আর তাই তাদের বর্তমান টার্গেটটি হচ্ছে মুসলমানদের ঘরকেন্দ্রিক। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যে, এবার কাফেররা তাদের সকল সৈন্যসামন্ত মুসলিম মহিলাদের বিরুদ্ধে নামিয়েছে। তাদের সর্বপ্রথম লক্ষ্য হচ্ছে – মুসলমানদের সামাজিক পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া, যেমনটি ইউরোপ-আমেরিকায় করা হয়েছে।
পশ্চিমা ধাঁচে ফ্যাশন, নারী স্বাধীনতা, পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার অঙ্গীকার, ঘরের বাইরে গিয়ে দুনিয়ার হাঙ্গামায় পুরুষদের সাহচারয প্রদান ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ঐ সকল ইউরোপ আমেরিকান সভ্যতায় নিমজ্জিত করার মত ব্যাপার, যার মধ্যে একজন মহিলা প্রবেশ করার পর চিরদিনের জন্য সে পুরুষদের খেলনা হয়ে যায়।
আর এগুলোকে পূর্ণতায় রূপ দেওয়ার জন্য আমাদের আধুনিক শিক্ষিত মা বোনদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করে – “ধর্মীয় বিষয়গুলো তো এখন পুরাতন হয়ে গেছে”, “বর্তমান আধুনিক যুগে এগুলো অচল” ইত্যাদি।
অথচ যেখানে আমাদের এই সব আধুনিক শিক্ষিত মা বোনরাই পারত ধর্মীয় গণ্ডির ভেতরে থেকে যুগোপযুগী দ্বীনের চৌকস খাদেম উপহার দিতে। যারা একদিকে হতো কুরআনে হাফেজ, দ্বীনের আলেম আর অন্যদিকে হতো প্রযুক্তিবিদ।
দাজ্জালের জন্য অপেক্ষামান শয়তানপূজারী (Satanist) ও জাদুবিদ্যার রুপকারগণ
এর আগের লিখাতেও উল্লেখ করা হয়েছে, কুরআন ও হাদিসে ‘শয়তান’ শব্দটি মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেনঃ
“অনুরূপভাবে আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শত্রু স্থির করেছি – মানুষ শয়তান ও জীন শয়তান”। (সূরা আন’আম, আয়াত ১১২)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আবুজর, তুমি মানুষ ও জীন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছ কি? উত্তরে আবুজর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, শয়তান কি মানুষের মধ্য থেকেও হয়ে থাকে? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, মানুষ শয়তানের অনিষ্টতা জীন শয়তানের চেয়ে বেশি হয়।
বর্তমান সময়ে যথারীতি এমন একটি দল বিদ্যমান, যারা শয়তানের (ইবলিসের) পূজা করে থাকে। দলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি তাদের অনেক অনুসারীও রয়েছে। অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এদের অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন চলচ্চিত্র সংস্থা “হলিউড” এর প্রসিদ্ধ অভিনেতা অভিনেত্রীর অনেকেরই ধর্ম হচ্ছে শয়তানকে সন্তুষ্ট করা। বিশ্বের অনেক প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীও এই দলের অন্তর্ভুক্ত। দেখবেন, এদের অনেক কনসার্ট প্রোগ্রামে শ্রোতারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মূলত তাদের উপর শয়তান প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে তাদেরকে অচেতন করে দেয়।
এটা হচ্ছে পূর্ণ একটি শয়তানী দল, তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে “গড” (GOD) শব্দটি অত্যাধিক হারে ব্যবহার করে থাকে। তারা ইবলিসকে স্বীয় খোদা হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছে। ইহুদীদের গোপন সংগঠন “ফ্রি মেসন” এর ব্যাপারে ব্যাপক গবেষণা ও অধ্যায়নের পর এ বিষয়টি সামনে আসে যে, সে ইবলিস (Lucifer) কে খোদা মনে করে। আমেরিকার সরকারী ধর্মও হচ্ছে শয়তানের পূজা করা। আমেরিকার প্রতিটি ডলারে তাদের ঘোষণা – In God We Trust “আমরা খোদার উপর ভরসা রাখি”। এই বাক্যটি দ্বারা মূলত দাজ্জালকে উদ্দেশ্য করে থাকে, খ্রিস্টানদের খোদা নয়। আপনি খেয়াল করে থাকবেন, সেখানে যেই পিরামিডের নিচে কথাটি লিখা আছে, সেই পিরামিডের চূড়ায় একটি এক চোখের ছবি। অথচ হবার কথা ছিল ক্রুসের ছবি। এই দলের একমাত্র লক্ষ্য এবং টার্গেট হচ্ছে – ধর্মীয় (মানবতার) বিষয়গুলোকে নিশ্চিহ্ন করে সারা বিশ্বে শয়তানী রীতিনীতি এবং আচার আচরণে মানুষকে ডুবিয়ে দেওয়া। মানুষকে পরিপূর্ণভাবে শয়তানী ঢং এ রূপান্তরিত করা। জিনা, মদ্যপান, জুয়া, সুদ, হত্যাযজ্ঞ, মানুষের গোশত খাওয়া ... ইত্যাদি সমস্ত বিষয়গুলোই হচ্ছে শয়তানী ধর্মের অংশবিশেষ। আর এসব কিছুই করা হচ্ছে রুহানিয়্যাত তথা আত্মিকতার নামে।
শয়তানের পূজারী প্রায় সারা বিশ্ব জুড়েই বিদ্যমান রয়েছে। বড় বড় শিল্পপতি এবং শহরের লোকদের থেকে এর সূচনা হয়ে থাকে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলোর দায়িত্বে থাকা লোকজন অতিদ্রুত শয়তানী ধর্মের অনুসারী হয়ে যায়। কেননা, তারাই শয়তানী চাহিদাকে একটি সুন্দর আকৃতি বানিয়ে মানুষের সামনে পেশ করে থাকে। শয়তানের পূজারীদের উপাসনার নিয়ম হচ্ছে – রাতের মধ্যভাগে সকল পুরুশ-মহিলা কালো পোশাক পরে একস্থানে একত্রিত হয়। পোশাকের উপর শয়তানী চিহ্ন ও ছবি লাগানো থাকে। গলায় বিশেষ ধরনের শিকল ও তামা লটকানো থাকে। সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে মাঝখানে মানুষের মাথার একটি কঙ্কাল রাখে। কঙ্কালের চারপাশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে অত্যন্ত উচ্চ আওয়াজে মিউজিক চালু করা হয়। নেশা সৃষ্টিকারী ওষুধ খেয়ে সকলেই একজন আরেকজনের হাত ধরে আগুনের আশেপাশে ঘুরে ঘুরে নাচতে থাকে। অতঃপর প্র্যাকটিক্যাল পর্যায়ে শয়তানকে সন্তুষ্ট করার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে – যতবেশি মদ্যপান এবং জিনায় লিপ্ত হবে, ততবেশি শয়তান সন্তুষ্ট হবে। জিনার ক্ষেত্রে এরা সামাজিকতার বা আত্মীয়তার কোন বাধনকেই তোয়াক্কা করে না। এদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা মানব স্বাধীনতায় অন্তরায় সৃষ্টি করার শামিল।
সড়কের সাইডে ব্যানার/সাইনবোর্ডে, দোকানের সাইনবোর্ডে এবং অন্যান্য অ্যাডসমূহে মাঝে মাঝে আপনি আশ্চর্য ও বিরল বাক্য দেখতে পাবেন, যা ঐ বিজ্ঞাপনের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান। যেমন – I am present and I am moving on, Was I am I will be. এগুলো মূলত শয়তানের বার্তা বহন করছে।
দাজ্জাল আত্মপ্রকাশের পূর্বে জাদু এবং শয়তানী তৎপরতাগুলোকে সরকারী পাঠ্যগত বিষয় আকারে রূপ দেওয়া হবে। বর্তমানে এক্ষেত্রেও তাদের তৎপরতা চালু হয়েছে। গোপন আত্মার সাথে কথা বলা শেখানো হচ্ছে। এরকম অনেক জাদুকর নিজেকে “পীর” বলে দাবি করে মানুষের বায়াত নেয় কিন্তু ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আকিদা পোষণ করে না। আবার কাশফের দাবি করে। আর অনেক দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার তাদের মুরিদ হয়ে মূলত ঈমানহারা হচ্ছেন।
মূলত দাজ্জালের আগমনের আগেই তার অনুসারী সৃষ্টির তৎপরতা পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৯