সুখীকে খুজে বের করার মিশনে আমি যে লাড্ডা মারবো সে ব্যপারে শতকরা একশ ভাগ নিশ্চিত /আমি সারাজীবন কোনো কাজ করতে পেরেছি নাকি নিজের মত করে ? একলা একলা ?
ঠিক করে !!
হো হো হো !
বাপের হোটেলে খাইছি , মায়ের আচঁলের তলে ঘুমাইছি /
কথাটা মিথ্যা হয়ে গেল না ? আচঁলের নীচে আবার ঘুমাইলাম কখন ? আমি তো আমার বিছানায় একাই ঘুমাই /
মাঝে মাঝে একটা কোমল হাত আমার কপাল খানি ছুঁয়ে দেয় , আমার গায়ে কম্বল টেনে দেয় , দক্ষিনা জানালাটা কখনও কখনও বন্ধ করে দেয়/
আমি তো একলাই /
কিন্তু আমার মিশনের কি হবে ? ফেলটুস মারা তো যাবে না /ছেলেটার কাছে আমার বেশ ক' কাপ চা আর সিগারেটের দাম বাকী পড়ে আছে / না শোধ করে চলে গেলে ছেলেটা গালি গালাজ করবে /
ওর টাকা গুলো আমি এখনই শোধ করে দিতে পারি / কিন্তু এখন আমি আর চাই না জানা কারো কাছে যেতে / কি জানি শেষ পর্যন্ত র্দুবল হয়ে আত্মহননের ইচ্ছা পরত্যাগ করে ফেলি যদি /
রাত গভীর না হলে সুখীর মত মেয়েদের খোজ মেলে না / আর যারা সুখীর মত মেয়েদের খোজ দিতে পারবে তাদের কয়জনের সাথে আমারও মোটামুটি একটা পরচিয় আছে / তাদেরকওে সন্ধা নামার আগে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই /
মাত্র দুপুর যাই যাই করছে এখন /
ঢের সময় বাকী /
এই তোর নাম কি রে ?
সবুজ ?
সবুজ কি রে... ?
সবুজ মিয়া /
ও , তা সবুজ মিয়া সুখী কি এমন মাঝে মাঝেই হারায় ?
হ , তয় এক রাইত /
অ , শোন্ সন্ধার আগে খোজা যাবে না / তুই আমারে এক কাপ চা আর দুইটা সিগারেট দিয়া তোর ব্যবসা কর গা / আমি ঘুমাই/ আমাকে সন্ধায় জাগাবি/
খালি পেটে চা যেতেই পেটে মুচরা মুচরি করা শুরু হলো/ দাড়া শালা আগুন দিতাছি / ওহহ্ রে ... এ আবার কি রে বাবা !
দুই টান ধোঁয়া ছাড়ার পর তিতা পানিতে মুখ ভরে গেল /চোখেতে র্শষে ফুল দোলা শুরু হলো /
লম্বা হয়ে বেন্চিতে শুয়ে পড়লাম/
আহ্ আরাম লাগছে এখন /
এমনতেই কয়দিন ধরে আরামেই আছি ? ঘুমাইতে গেলেই ছাঁড়পোকার কামড়, যখন তখন অন্ধকার করে দিয়ে কারেন্ট চলে যাওয়া, পকেট গড়ের মাঠ ,মোটা চালের আধাসিদ্ধ ভাত--- বাহ্ ভালোই তো জীবন !
এ জীবনের সাথে আমার পরিচয় ছিলো না /
বাবার দেয়া অঢেল প্রাচুর্যের মাঝে আমি বড় হয়েছি/ যদিও এখন আর আমি সেই পরিচয় বহন করছি না / আমি এখন আর কারো কিছু না /আমার থাকা না থাকাতে এখন আর কারো কিছু আসে যায় না /নাহ্ এভাবে বললে ভুল বলা হবে /
আমার মা ! প্রচন্ড ভালোবাসেন তিনি আমাকে /
মনে হয় স্বপ্নই দেখছিলাম ! তা না হলে এত তাড়াতাড়ি সন্ধা নামলো কি ভাবে ?
কয়েকটি উৎসুক মুখ আমার সন্ধার আকাশটাকে ঢেকে আমার উপর ঝুঁকে আছে /আমি ঝট্ করে উঠে বসতেই হুড়মুর করে সব মাথা গুলো সরে গেল /
আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকাতেই বললো একজন, চিন্তাত পড়ছিলাম , মইরছুননি !
হা হা হা হা হা ! মরার আগেই মরা ! উৎসাহী লোকজন চলে যেতেই হাত পা ঝাঁড়া দিয়ে উঠে বসলাম/
সন্ধা হয়ে এসেছে/
আমি মনে হয় কারো জায়গা দখল করে আছি /দুই কইন্যা এদিক পানে তাকিয়ে আছে /
দেখা যাক কি করে ,এখনই উঠবো না এখান থেকে/
সবুজ কামিজ পড়া কইন্যা সরাসরি এদিকেই তাকিয়ে আছে /
আচ্ছা আমার সব রঙ বাদ দিয়ে সবুজের কথা কেনো মনে পড়লো? অন্য কোনো রংও তো হতে পারে !
এই অন্ধকারে রং তো দেখার কথা না , তবুও সবুজ কেন ?কারনটা আমার জানা তবুও মেয়েদের মত ঢং করছি/সবুজ সালোয়ার কামিজ মোড়ানো এক টুকরো স্বপ্ন একদিন টুপ করে ঢুকে গেছিলো আমার দু’চোখের মধ্যে/
সখী কারে কয় ভালোবাসা !!
টিকালো নাক, মাজা গায়ের রং,গুচ্ছ চুল তার কপালে খেলা করে সারা বেলা/
আমি ঘর অন্ধকার জানালায় দাড়িয়ে তাকে দেখেছি অনেক অনেক সন্ধা/
ভুলে গেছি সব/
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬