ফেসবুকে তার ব্যবহারকারীদের প্রচুর ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। এইসব তথ্যের বেশিরভাগই যার তথ্য সেই বাজারে ছেড়ে বেড়ায়। "আমি আজ সকালে সেন্ট মার্টিন গিয়েছিলাম, এই দেখুন তার ছবি। আজকে আমার দাদা মারা গিয়েছেন, এই দেখুন তার ছবি।" এই টাইপের তথ্য ছড়িয়ে বেড়ানো মানুষজনেরও কিছু গোপন তথ্য থাকে। যেমন ইমেইল আইডি, ফোন নাম্বার, বাসার ঠিকানা, ইত্যাদি। এইসব তথ্য একাউন্ট খোলার সময় ফেসবুককে দিতে হয়, ফেসবুক এইগুলা গোপনে নিরাপদে সরিয়ে রাখে অথবা গোপনে অন্যের কাছে বিক্রি করে। "গোপনে" শব্দটা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোপন তথ্য গোপন রাখতে হবে, যা করার গোপনেই করতে হবে। পাবলিক জানলে কোম্পানীর লস, মালিকের লস।
কোম্পানী হিসেবে সামুর লাভ-লসের হিসাবটা কিভাবে করা হয়? প্রশ্নটা আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন, সামু এরকম গোপন তথ্য পাবলিকের সামনে এনেছে গোপনীয়তার ধার না ধেরে। একজন ব্লগারের গোপনীয় ইমেইল সামু ব্লগে পাবলিশড হয়েছে। সামুর তথ্যের গোপনীয়তা নীতিমালায় এই কার্যকলাপকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম।
আমার তথ্য কি আপনাদের কাছে নিরাপদে গোপন আছে? আমার একাউন্টের পাসওয়ার্ড? অথবা আমার ইমেইল এড্রেস? আমার কম্পিউটারের আইপি এড্রেস ট্র্যাক করে ছাত্র-লীগ-শিবির-দলের হাতে তুলে দেয়া হবে না তার গ্যারান্টি আছে? কেউ আবার আমার আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আমার ব্লগে আমার নামে উলটাপালটা লেখবে না তো? তখন যে মামলাটা হবে সেখানে কি আমাকে দায়ী করা হবে নাকি সামুর মডারেটরদেরকে?
জাস্ট জানতে চাইলাম। ভাল লাগলে উত্তর দেবেন, নাহলে মাইন্ড করে আবার একাউন্ট ব্লক করে দিয়েন না। ব্লক করে দিলে যদি একাউন্ট ডিলিট করতে না পারি, তাহলে সমস্যাটা ঝুলে থাকবে, সমাধান হবে না।
আপডেট: দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ এ আমার তোলা অভিযোগের ব্যাপারে সামু মডারেটর কাভা ভাই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ব্লগারদের গোপন তথ্য সামুর কাছে গোপনে নিরাপদ আছে। সাম্প্রতিক তথ্য ফাঁসের ব্যাপারে সামু কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা ছিল না। সংবেদনশীল এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ এর জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৮