৩ দিন সময় হাতে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে ঢাকা আসতে বলা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের ফেলোশীপের চেক সংগ্রহ করতে।
বিজ্ঞপ্তিটা দেখুন এখানে
বিজ্ঞপ্তির শেষের লাইনে লেখা আছে, "বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাক্তিগত দুরত্ব ও নিয়মাচার মেনে চেক সংগ্রহ করার জন্য অনুরোধ করা হল।" যুগ্মসচিব রবিউল ইসলাম এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
যুগ্মসচিবের মাথায় কি পরিমান ঘিলু আছে সেটা নিয়ে আমি চিন্তা করছি। জানি না উনি কোন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন, তবে করোনা ভাইরাস ছড়ানো রোধ গণপরিবহন, বাস, ট্রেনে চলাচল নিরুৎসাহিত করতে ডাক্তার হওয়া লাগে না। তাছাড়া একই উদ্দ্যেশ্যে দেশে সাধারণ ছুটির মেয়াদ মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মাথায় ঘিলু কম থাকলে অন্তত এই সাধারণ ছুটির সাধারণ জ্ঞানটাও তো কাজে লাগানো যেত।
এখন মাত্র তিন দিনের নোটিস দিয়ে যে এতগুলা মানুষকে ঢাকা যেতে বলল, ট্রেন চালু হয়েছে কিনা সে খবর কি উনি নিছেন? নভোথিয়েটারে না হয় সবাই ১০ ফুট দুরত্ব মেনে চলবে, কিন্তু সারাদেশ থেকে কিভাবে ওরা নভোথিয়েটারে পৌছাবে সে চিন্তা কি করেছেন কেউ? ১২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে ১ জন করে অভিভাবক আসতে চাইলেও ২০০০ এর উপরে মানুষ এক নভোথিয়েটারে অবস্থান নেবে ৭ দিনের মধ্যে। এদের কারো করোনাভাইরাসের সংক্রমন হলে, তাদের পরিবারের কি হবে?
চেক গুলো বিতরন করার কি অন্য কোন উপায় ছিল না?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৮:০৩